নীতিমালা

চতুরঙ্গ জগতে আপনাকে সুস্বাগতম!

যে কোন সামাজিক অনুষঙ্গে যেমন আমরা কিছু আদর্শ-রীতি-নীতি মেনে চলি,
চতুরঙ্গও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আমরা মনে করি সুস্থ মননের চর্চায় যে
মানস বিকশিত হয় তার জ্যোতি সদা-অমলিন। আপনার রুচিবোধ, সৌজন্য ও ভদ্রতাই
আপনার জন্য নীতিমালার সীমা নির্ধারণ করে। তবু নিয়মের খাতিরে বা
দায়িত্ববোধের ধারণায় নতুন পুরাতন সকলের জন্যে এই সার্বজনীন কিছু পথ ও মত
জেনে নেয়া ভাল।

ব্লগ লেখার ধরণ এবং বিষয়বস্তু:
১। ব্লগ লেখার ভাষা অবশ্যই বাংলা হতে হবে।
আমরা চাচ্ছি, একটি ব্লগ-পোস্টের পেছনে লেখকের মনন, প্রজ্ঞা ও
মনোযোগের ছাপ থাকুক। লেখক যেমন সময় নিয়ে তাঁর লেখাটি লিখবেন, তেমনি
পাঠকরাও সময় নিয়ে তা’ পড়ে মূল্যায়ন করবেন।

২। উপমহাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য,
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, সংস্কৃতি, মুক্তিসংগ্রাম ও অসাম্প্রদায়িকতার
আদর্শকে আক্রমণ করে লেখা পোস্ট, মন্তব্য বা যে কোন কিছুর ব্যাপারে আমরা
বড়োই অনমনীয়, ক্ষেত্রবিশেষে কঠোর। এমন নিদর্শন মডারেটরবৃন্দ যে কোন সময়
অপসারণ করতে পারেন।

৩। আমরা ব্যক্তির বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। কিন্তু অপব্যবহারের ফলে অন্য কারও বিশ্বাসকে কটাক্ষ করাকে
সমর্থন করি না। অন্য কারও বিশ্বাসকে আঘাত না করে, পরমতসহিষ্ণু ভাষায় নিজের
বিশ্বাসের কথা লেখা যাবে। তবে, অবশ্যই নিজের বিশ্বাসের প্রচারণামূলক কোন
লেখা প্রকাশ করা যাবে না।


৫। ব্লগারদের মেধা ও মনন
প্রাপ্তবয়স্ক ধরে নিয়েই আমরা প্রাপ্তবয়স্ক ভাষা, ঘটনা ও কৌতুকের পোস্টের
বিষয়টি ভেবে দেখেছি। এই ধরনের ব্লগ লেখা যাবে, তবে লেখার সময় লেখককে যে
কথাটা মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে ভাষাগতভাবে লেখাটি যেন কোনভাবেই অরুচিকর
বা অশ্লীল না হয়ে পড়ে, বরং সুখপাঠ্য এবং শিল্পিত হয়। এরকম ব্লগের
ব্যাপারে যদি মডারেটরদের মনে হয় ভাষাগত ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা চতুরঙ্গের নির্ধারিত মানদণ্ড অতিক্রম করতে পারছে না, সেক্ষেত্রে তারা
ব্লগটি ড্রাফট বা পুরোপুরি মুছে দেবার অধিকার রাখবে।

৬। পোস্ট বা মন্তব্যে অন্যত্র প্রকাশিত
উপাদান ব্যবহার করলে তার সূত্র উল্লেখ করা প্রয়োজন। যেসব লেখার স্বত্ত্ব
সংরক্ষিত সেগুলোর ক্ষেত্রে লেখক বা স্বত্ত্বাধিকারীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয়
অনুমতি নিতে হবে।

ধন্যবাদ