ইন্দিরা রোড

ঢাকার ইন্দিরা রোডঃ ইন্দিরা গান্ধী।

ঢাকার ইন্দিরা রোডঃ ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে যার নামটা সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে আছে তিনি ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যে ইন্দিরা গান্ধী সক্রিয় সাহায্য ছাড়া সম্ভব ছিলনা তা নির্ভেজাল সত্য।  বাংলাদেশের জনগনের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এর বিরোধীতা যেমন করেছিল তেমনি যারা মুক্তিযুদ্ধে দৃশ্যত অংশ নিয়েছিল তারাও বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

 

এর পরিষ্কার ছবি স্বাধীনতার পর আমরা দেখেছি এবং এখনও দেখে চলেছি। স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষের লড়াই এখনও বাংলাদেশের রাজনীতির মুল। এদের পক্ষে যে স্বাধীনতার যুদ্ধ একটি সিভিল ওয়ারের রূপ নিত তা বুঝা যায়।স্বাধীনতার নয় মাসের যুদ্ধেই মুক্তি যোদ্ধারা একে অন্যকে মেরেছে। যদি এটি আরোও দীর্ঘায়িত হত তবে নিজেদের মারামারিতেই সব শেষ হয়ে যেত।

ইন্দিরা গান্ধী সমগ্র বিশ্বে শেখ মুজিবের নাম প্রচার করেছিলেন। ভারতের  বাঙ্গালীরা মুজিবকে কতটুকু শ্রদ্ধা করত তা তাদের বিভিন্ন কর্মাকান্ডে এখনও চোখে পড়ে। কোলকাতা এবং দিল্লীতে শেখ মুজিবের নামে সড়ক আছে।

কিন্তু এতো কিছু করার পরেও ইন্দিরা গান্ধীর নামে বাংলাদেশে কোন স্থাপনা নেই। কোথাও কোন চিহ্ন নেই যে ইন্দিরা গান্ধী আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য নাম।  শেখ সাহেব ইচ্ছা করেই করেন নি তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। জিয়া এরশাদ খালেদা সহ বাকীরা তো পাকিস্তানের দালাল। তাদের কাছ থেকে এমনটা আশা অরা যায়না।

ইন্দিরা রোড

অনেকের ধারণা ইন্দিরা রোড ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আসলে তা সত্য নয়।   সেই এলাকায় একসময় বেশ সংখ্যক ধনাঢ্য ব্যক্তি বসবাস করতেন। এদেরই একজন দ্বিজদাস বাবু। ১৯৩০-এর দশকের দিকে দ্বিজদাস বাবু মনিপুর ফার্মের কর্তা ছিলেন। তার বিরাট বাড়ি ছিল বর্তমান ইন্দিরা রোডে। দ্বিজদাস বাবুর বড় মেয়ে ইন্দিরার অকাল মৃত্যু ঘটেছিল। 

দ্বিসদাস বাবুর মেয়ে ইন্দিরার নামেই সেই এলাকার রাস্তাটি ইন্দিরা রোড নামে পরিচিতি লাভ করে। আশাকরি ইন্দিরা রোড নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হবে। ইন্দিরা গান্ধীর স্মরণে এমন কিছু করা উচিত যাতে আমরা যে একেবারেই ছোটলোক নই তা প্রমানিত হতে পারে।

আরো পড়ুন…