মানুষ যখন ত্রাহি ত্রাহি রবে ডাক ছাড়ে, ঈশ্বরের আসন তখন টলে।

“মানুষ যখন ত্রাহি ত্রাহি রবে ডাক ছাড়ে, ঈশ্বরের আসন তখন টলে”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
অবশেষে পরিত্রান পেলো, বাংলাদেশ থেকে মুসলমানদের অত্যাচার সইতে না পেরে ভারতে পালিয়ে এসে শরনার্থী নামধারী “ছিন্নমুল হিন্দু উদবাস্তুরা”।

নেহেরু করেছিলো “নেহেরু লিয়াকত চুক্তি”। লক্ষ লক্ষ হিন্দু শিখ কে পাকিস্তানে রেখে দিয়ে ,তাদের ওপরে বর্বরোচিত যন্ত্রনা, লাঞ্চনা এবং হিন্দু শিখ নারীদের ভোগ্যপন্যা করার ব্যাবস্থা। ভারতে রয়ে যাওয়া “পাকিস্তানের সমর্থকদের” ওপরে আজো অবধি কোনো প্রশাসনিক স্তরে বা সার্বিক স্তরে অত্যচার হয়নি। যেটুকু হয়েছে তা স্থানীয় স্তরে এবং সুত্র খুজলে ঐ “থেকে যাওয়া পাকিস্তানীদের” কারসাজি খুজে বার করা যাবে। তাদের অসিহিষ্ণুতার জন্যই সেটা হয়েছে । হিন্দুরা বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করেছিলো। 
১৯৭১ সালে নেহেরু কন্যা ‘ইন্দিরা করেছিলেন আর এক চুক্তি– “ইন্দিরা -মুজিব চুক্তি”। বাংলাদেশ থেকে কোনো মানুষ ভারতে এলে আর নাগরিকত্ব পাবে না। কিন্তু সেই বাংলাদেশে ঘটে চলেছে একের পর এক নারকীয় অত্যচার যা কোনো খবরে পাওয়া যায় না, কিন্তু ঘটে। কেনো বাংলাদেশী সংখ্যাগুরু রা এটা করে আর সরকার তা বন্ধ করতে পারে না? 
এর একমাত্র উত্তর ” দেশ ভাগের বলি বাংলার হিন্দুরা এবং পাকিস্তানের হিন্দু শিখেরা সমস্ত দুনিয়ায় এক অবাঞ্ছিত, অপাঙ্গতেয় জীব”। এদের মান সম্মান, নিজ ধর্ম সংষ্কার নিয়ে বেচে থাকার অধিকার নেই, সেটা কেড়ে নিয়েছে “নেহেরু- গান্ধী- জিন্না এবং মাউন্ট ব্যাটেন” ১৯৪৭ সালে, তারপর নেহেরু-লিয়াকত আলী এবং পরিশেষে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী। 
আজ আমার মতো লক্ষ লক্ষ “ছিন্নমুল আহাম্মক হিন্দু উদবাস্তু (এটাই আমার পরিচয় )” তাদের নিজ ভুমে পরবাসী নামটা ঘুচে ভারত কে আবার নিজের দেশ , মাতৃভুমি হিসাবে পাওয়ার ব্যাবস্থা হলো।
স্বাভাবিকভাবেই, কংগ্রেসের ভালো লাগবে না। তৃনমুলীদের ও ভালো লাগবে না, কারন তৃনমুল “কংগ্রেসের এপিঠ আর ও পিঠ”। 
কংগ্রেস ঘরানার  মানুষজন সামান্য পালটে “তৃনমুল” হয়েছে।
ভালো লাগবে না, বামপন্থীদের ও।কারন ভারত নামক দেশটি ১৭ টুকরো না হয়ে আজ কেনো “একটি দেশ” এই পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে? এটা ওদের গাত্রদাহের ব্যাপার অবশ্যই। “ভারত তেরে টুকরো করেঙ্গে” শ্লোগান যারা সমর্থন করেন সেই বুদ্ধিজীবীদের ও ভালো লাগবে না।
****** আসছে আমার লেখা, প্রযোজিত, গান লেখা আমার, মিসেস দেবনাথের সুরে,— “ছিন্নমুল” ছায়াছবি। আশাকরি ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই সিনেমা হলে পাবেন*********** দেখবেন “উদবাস্তু হলে কি অবস্থা হয়।