সংখ্যালঘুদের জন্যে চাই একটা গ্যাস-চেম্বার !

সংখ্যালঘুদের জন্যে চাই একটা গ্যাস-চেম্বার !

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে হবে, এটা দায়িত্ব (প্রথমআলো; ১২ নভেম্বর) ।   আমি বলি, কি দরকার খরচ বাড়িয়ে? তার চেয়ে একটা কাজ করলে কেমন হয়, প্রধানমন্ত্রী? সব সংখ্যালঘুদেরকে একটা গ্যাসচেম্বারে ঢুকিয়ে হিটলারি কায়দায় মেরে ফেললে সব ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবেন আপনি।

একবার ভেবে দেখুন তো, সংখ্যালঘুদেরকে নিরাপত্তা দিতে বছরে আপনার কতো কোটি টাকার দরকার? তাছাড়া এই সংখ্যালঘুদের নেতৃস্থানীয়দেরকে সময় সময় গুম করে রাখতেও কতো ঝামেলা? যেমন ধরুন, পিটিয়ে মেরে ফেললে কি হবে, ক্রস ফায়ারে দিলে কি হবে, হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিলে কি হবে অথবা রাতের আঁধারে জ্বলন্ত ইটের ভাটায় ছুঁড়ে ফেলে মেরে ফেললে কি হবে — এ’সব কতো হাবিজাবি নিয়ে ভাবতে হয় আপনার প্রশাসনকে।

শুধু কি তাই? নিরপরাধ টিটু রায়, রসরাজ, রাকেশ –এদেরকে অপরাধী বানাতে কতো না কাঠ-খড় পোড়াতে হয়।বার বার রিমান্ডে নিতে হয়। মিথ্যাকে মিথ্যা জেনেও তাকেই সত্য প্রমানে প্রাণপণ চেষ্টা করতে হয়।

আরও কতো কি যে প্রধানমন্ত্রী ! আপনি তো সবই জানেন। আপনাকে এবং আপনার প্রশাসনকে খুশী রাখতে দেশের সাংবাদিকেরা তাঁদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে প্রকৃত খবর না ছেপে নীরব ভূমিকা পালন করেন। আবার কখনো কখনো প্রকৃত খবরকে একটু হালকা রং-তুলির সংস্পর্শে এনে পুরো ঘটনাকেই পরিবর্তন করে দিতে হয় আপনার প্রশাসনকে খুশী করতে। আর তখন সেইসব সাংবাদিকদেরকে খুশী করতে প্রতি বছর বাড়তি কোটি কোটি টাকার আলাদা বাজেট রাখতে হয় আপনাকে।

তাহলে কি দরকার প্রধানমন্ত্রী শুধু শুধু খরচ বাড়িয়ে? একটা গ্যাসচেম্বার যদি বছরে হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়ে দিতে পারে তাহলে সেই টাকা দিয়ে ঢাকা টু গোপালগঞ্জের মাঝে একটা উড়াল সেতু বা সুড়ঙ্গ রেল তৈরী হতে পারে।এতে দেশে উন্নয়নের নুতন জোয়ার বইবে। তখন দেশটা শুধুই আপনার মতোন  সংখ্যাগুরুদের হয়ে যাবে; যেখানে সংখ্যালঘুদেরকে নিরাপত্তা দেয়া নিয়ে সরকারকে আর ভাবতে হবে না।