*ব্যক্তিত্ব*
আপনি যেমন ঠিক তেমন ভাবেই সবার সামনে নিজেকে প্রকাশ করুন। সব সময় সত্য কথা বলুন। আপনি যা না, তেমন ভাবে নিজেকে প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন না। মেকি আচরণ বাদ দিয়ে, সব জায়গায় নিজের স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখুন। আপনি যেমন অবস্থায় আছেন কিংবা আপনি যা, তার থেকে যদি নিজেকে আরো বড় করে কিংবা আরো বেশি আকর্ষণীয় করে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন, তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে আপনাকে বড় ধরনের মাসুল দিতে হবে। এ কথা নিশ্চিত ভাবে মনে রাখবেন।
বন্ধু, বর্তমান পৃথিবীর জনসংখ্য সাতশ কোটিরও কিছু বেশি। পৃথিবীর সাতশ কোটি মানুষের ব্যক্তিত্ব সাতশ কোটি রকম। কারো সাথে কারো হবুহু মিল নেই। প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব সতন্ত্র। তার মধ্যে অনেক মানুষের ব্যক্তিত্ব অসাধারণ ঈর্ষণীয় আবার অনেকের ব্যক্তিত্ব একেবারে ঠুমকো। আমি আশা করি আপনিও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠবেন আর এজন্যই আজকের এই লেখা। বন্ধু, আমাদের মানব জীবনটা অত্যান্ত ছোট এবং অতি সংক্ষিপ্ত। চোখের পলকে জীবনের পূর্ব দিক থেকে ওঠা সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে। তাই আপনার জীবনটা এমন ভাবে সবার সামনে পরিবেশন যোগ্য হয়ে উঠুক, যাতে সবাই আপনার ব্যক্তিত্বে মূগ্ধ হয় এবং আপনাকে চিরদিনের জন্য স্মরণ রাখতে বাধ্য হয়।
বন্ধু, মনে রাখবেন কিছু ছোট ছোট দোষ-গুনের সমন্বয়ে আমাদের এই মানব জীবন। আমার গুনের জায়গাগুলোকে নয় বরং আমার দোষের জায়গাগুলোকে আগে চিহ্নিত করতে জানতে হবে। আমি যদি আমার দোষ কিংবা খারাপ অভ্যেসগুলোকে গুনে কিংবা ভালো অভ্যেসে রূপান্তর করতে পারি তাহলে আমার ব্যক্তিত্ব অবশ্যই সুন্দর কোমল নির্মল এবং আকর্ষণীয় হতে বাধ্য। আমাদের প্রতিদিনের প্রতিটা অভ্যেসকে ভালো অভ্যেসে রূপান্তর করতে শিখি। প্রতিটা দিন আমরা ভালো ভালো কাজ করি তাহলে একদিন একদিন করতে করতে জীবনের বাকি দিনগুলো আমাদের ভালোটা প্রকাশ পাবে। আর তাতে করে আমাদের ব্যক্তিত্বটা সবার কাছে আকর্ষণীয় এবং সুন্দর হিসেবে ধরা দেবে।
বন্ধু, জীবনে দুটি জায়গায় সবসময় ঠিক থাকতে হবে। একটি হলো ওয়াদা বা কমিটমেন্ট আর অন্যটা হলো লেনদেন। সবসময় চেষ্টা করতে হবে আমার যেটুকু আছে সেটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে। আমার আয় ইনকাম কিংবা ধন সম্পত্তি যদি কম হয়, তাহলে যেটুকু সমর্থ আছে ওটুকু নিয়েই কিভাবে সুখি ও সুন্দর ভাবে বাঁচা যায়, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। আয় বুঝে ব্যয় করতে হবে। আয়ের থেকে যাতে ব্যয়ের পরিমান বেশি না হয়ে যায়, সেদিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। ধার দেনা ঋণের মধ্যে যাওয়াটা খারাপ। আর আমার অবস্থা যদি এমন হয় যে, আমার ধার দেনা বা ঋণ নিতেই হচ্ছে তা না হলে আমার মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে যেখান থেকেই ধার দেনা বা ঋণ করুন না কেনো, ঠিক যেদিন ধার দেনা বা ঋণ পরিশোধের তারিখ থাকবে, তার আগেই পরিশোধ করার সর্বচ্চ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে নিজে না খেয়ে থাকবো তারপরও ধার দেনা ঋণের টাকা ঠিক সময় পরিশোধ করবো -এমন নীতি হওয়া চাই।
বন্ধু, কখনো বাকির অভ্যেস করবেন না। বাকি খাওয়াটা আপনার ব্যক্তিত্বের জন্য হুমকি। কোনো দোকানে বা অন্য কোথাও একান্তই আপনার বাকি পরে যায়, তাহলে যতো দ্রুত সম্ভব বাকি পরিশোধ করে দিন। যতোখানী সম্ভব বাকির মধ্যে না যাওয়াই ভালো। যদি আপনার কোনো ধার দেনা ঋণ না থাকে এবং কোথাও কোনো প্রকার বাকি না থাকে, দেখবেন আপনার নিজের কাছে যেমন ভালো লাগবে আবার কারও কাছে আপনার কোনো দায় থাকবে না কিংবা কেউ আপনাকে সহজে অপমান জনক কথা বলার সাহস পাবে না। আরেকটা হলো ওয়াদা বা কমিটমেন্ট। কাউকে কোনো ওয়াদা দেবার আগে অনেক ভেবে নিবেন ওয়াদা দেবার পরে ভাববেন না।
বন্ধু, কখনো যদি কাউকে কোনো ওয়াদা দেন তাহলে, যে কোনো উপায় সে ওয়াদা রাখবেনই। জীবনে কখনো যেনো একটা ওয়াদারও বরখেলাপ না হয়, সেদিকে গুরুত্ব সহকারে খেয়াল রাখবেন বন্ধু। কারণ আপনার কথা ও কাজে যদি সবসময় মিল থাকে, তাহলে মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করবে এবং আপনার উপর ভরসা করতে শিখবে। এবং ওয়াদা বা কমিটমেন্ট ঠিক মতো রক্ষা করে চললে, আপনার নিজের কাছেও নিজে পরিষ্কার থাকবেন। মনে রাখবেন, পৃথিবীর সব থেকে বড় আদালত আপনার বিবেক, কখনো বিবেকের আদালতে দোষি সাব্যস্ত হওয়া চলবে না। বিবেকের আদালতের শাস্তি পৃথিবীর সব থেকে ভয়াবহ শাস্তি, এ কথা সবসময় স্মরণ রাখবেন।
বন্ধু, চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। ছেলে মেয়ে সবার সাথে মিশবেন তবে যার সাথে মিশবেন তার সাথে আপনার যেনো একটা অদৃশ্য গ্যাপ থাকে। জীবনে একজন জীবন সংগীকে বেছে নিন। আমার চোখে প্রেম করা কখনো অন্যায় না। একজন পুরুষ একজন নারীর প্রেমে পরতেই পারে আবার একজন নারী একজন পুরুষের প্রেমে পরতেই পারে, এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু একজন পুরুষ একাধিক নারীর সংগে আবার একজন নারী একাধিক পুরুষের সংগে প্রেম করাটা আমার চোখে অন্যায়। আমি মনে করি সত্যিকারের প্রেমের সম্পর্ক একজন পুরুষের জীবনে একজন নারীর সংগেই হয়, আবার একজন নারীর জীবনে একজন পুরুষের সংগেই সত্যিকারের প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাই আপনার যদি কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে তাকেই বিয়ে করার সর্বচ্চ চেষ্টা করুন। আর যদি কোনো কারণে আপনার প্রিয়জনের সাথে বিয়ে না হয়, তাহলে ভেঙে পরবেন না! কারণ ভগ্য বলে একটা কথা আছে!
বন্ধু! যার সাথে আপনার বিয়ে হবে তাকে প্রিয় মানুষটির মতো করে ভালোবাসার চেষ্টা করুন। আর যার সাথে আপনার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তাকে মন থেকে ক্ষমা করে দিবেন। আর কখনো পিছনের সম্পর্কের প্রসঙ্গ টানবেন না। যাকে আপনি ভালোবেসেছিলেন তাকে সব সময় সম্মানের দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার চরিত্র আপনার ব্যক্তিত্বের জন্য খুব বড় একটা ব্যাপার। কখনো কোনো ধরণের অবৈধ সম্পর্ক করার কথা, কখনো মাথায়ও আনবেন না। যদি জোড় করে অবৈধ সম্পর্ক করার কথা মাথায় চলে আসে তাহলে সবার আড়ালে নীরবে আস্তে করে নিজের মাথা নিজে দেয়ালে টাক দিন! বিশেষ করে পুরুষদের বলছি, কখনো নারীদেরকে ছোটো করে দেখবেন না। নরী মা, নারী দেবী, নারী মমতার প্রতিক। কখনো কোনো নারীকে কুদৃষ্টিতে দেখবেন না। অচেনা নারীদের বোনের দৃষ্টিতে, দিদির দৃষ্টিতে, মায়ের দৃষ্টিতে, খালার দৃষ্টিতে, ফুফুর দৃষ্টিতে, নিজের কন্যা সন্তানের দৃষ্টিতে দেখুন। আর জীবনে একজন জীবন সংগী নিয়েই সুখে থাকার চেষ্টা করুন। বিপরীত লিংঙ্গের কারো সাথে বন্ধুত্ব থাকলে অসুবিধা নেই। তবে বিপরিত লিঙ্গের বন্ধুদের বোন কিংবা ভাইয়ের মতো করে ভাববেন। সেটা জমজ ভাইবোনও হতে পারে!
বন্ধু, একজন মানুষের সামনে বসে আমি এক রকম আচরণ করলাম আর পিছনে বসে সেই মানুষটাকে উপহাস কিংবা বদনাম করলাম। এটা প্রচন্ড বড় অন্যায়। কখনো কোনো মানুষের দোষ পিছনে বসে বলাটা অন্যায়। কারো মুখ বা দাঁত থেকে গন্ধ আসতে পারে। আপনি তাকে সবার আড়ালে সরাসরি বলুন যে, আপনার মুখ বা দাঁত থেকে গন্ধ আসে। কিন্ত দোষ না ধরিয়ে দিয়ে পিছনে বসে বলবেন না যে, ঐ লোকটা ভালো না কারণ ওনার মুখ থেকে গন্ধ আসে! কাউকে কোনো কিছু বলতে চাইলে সরাসরি বলুন বাঁকা ভাবে বলবেন না। কখনো কারো পিছনে বসে নিন্দা করবেন না। পরনিন্দা খুব বেশি বাজে একটা স্বভাব। যারা পরনিন্দা করে এমন মানুষদের সাথে খুব কম মিশবেন। প্রয়োজনে মিশবেন না। পরনিন্দাকারী যতো বড় ধনী হোক, জ্ঞাণী হোক কিংবা ক্ষমতাধর হোক, তাকে এরিয়ে চলুন। কারণ আপনি যদি পরনিন্দা কারির সাথে চলেন তাহলে আপনারও সে একদিন নিন্দা করবেই। এ ব্যাপারে হানড্রেন্ড পারসেন্ট গ্যারান্টি রাখতে পারেন।
বন্ধু, কখনো নিজেকে অন্যের বিশ্লেষণ দ্বারা বিচার করতে যাবেন না। অন্য কেউ ভালো বললে আপনি ভালো আর অন্য কেউ খারাপ বললে আপনি খারাপ, এমন ভাবে কখনো ভাববেন না। আপনি সবসময় নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার থাকবেন। যাদের চরিত্র খারাপ, সে সব মানুষের সংগ এরিয়ে চলুন। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা, কখনো কোনো অবস্থায় অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। ধনী গরীব নির্বিশেষে সবার সাথে সমান আচরণ করুন। আপনার একজন বন্ধু প্রচন্ড ধনী আরেকজন গরীব। ধরুন দুজন বন্ধুই আপনার সামনে আছে। সে সময় গরীব বন্ধুটাকে ধনী বন্ধুর থেকে কম গুরুত্ব দিবেন না। কখনোই কোনো ভাবে কারও মনে কষ্ট দেবার চেষ্টা করবেন না। মানুষের মনে কষ্ট দেয়া সব থেকে খারাপ অভ্যেস। মনে রাখবেন বন্ধু, আজ আপনি কাউকে কষ্ট দিলে তার থেকে অনেক বড় বড় কষ্ট আপনার সামনে অপেক্ষা করে আছে।
বন্ধু, যাদের আচার আচরণ আপনার কাছে ভালোলাগবে তাদেরকে সবসময় গুরুত্ব দিবেন। অতিথীকে অনেক বেশি সম্মান দিবেন। আপনার যদি সমর্থ কম থাকে কোনো অসুবিধা নেই, অল্প সমর্থর মধ্যই যতোটুকু সম্ভব অতিথীর জন্য করুন। খেয়াল রাখবেন আপনার কোনো আচরণে অতিথী যেনো কষ্ট না পায়। আপনার অতিথী যদি আপনার থেকে অনেক গরীরও হয়, আর যদি এমন হয় যে অতিথীকে খাটে রেখে আপনার নিচে ঘুমুতে হয়, আপনি তাই করুন।
বন্ধু, কখনো নিজের ব্যক্তিত্ব ভালো কি খারাপ তা নিয়ে ভাববেন না। আপনি শুধু একটি কাজ করে যান, আর তা হলো আপনার মুখ আর অন্তর এক রাখুন। কখনো কোনো কারণে মিথ্যা কথা বলবেন না। যদি এমন পরিস্থিতি আসে যেখানে আপনাকে মিথ্যে কথা বলতে হতে পারে, দয়া করে প্রসংগ এরিয়ে যাবার চেষ্টা করুন তারপরও মিথ্যা বলবেন না। আপনি সত্য কথা বলে যদি যুক্তি তর্কেও হারেন তারপরও নিরাশা হবেন না কারণ তর্কের জয় জয় না, আপনার ভিতরের সত্যের জয় হবেই হবে।
জীবন নামক রাস্তায় চলার পথে সব সময় কুটিল এবং মোনাফেক (যাদের মুখে এক আর অন্তরে আরেক) মানুষদেরকে এরিয়ে চলুন। আপনাকে নিয়ে যদি কখনো কেউ পিছনে বসে সমালোচনা করে, দয়া করে তাদের কথায় কান দিবেন না। যে যা বলে বলুক আপনার স্বাভাবিক আচরণ আপনি করে যান। চাটুকারকে কখনো প্রশ্রয় দিবেন না বন্ধু। চাটুকার আপনার সব কথায় হ্যাঁ হ্যাঁ করবে কিন্তু আপনার বিপদের সময় চাটুকারকে পাশে পাবেন না। মানুষের কাছে কখনো কিছু চাইবেন না। যদি কোনো কিছু একান্ত প্রয়োজন হয় নিকট বন্ধুর কাছে চাইতে পারেন। কিন্তু কারও উপরে নিজেকে নির্ভরশীল করে ফেলবেন না। কেউ খুশি হয়ে কোনো কিছু দিলে কখনো তা ফিরিয়ে দিবেন না। যদি কেউ আপনাকে কিছু দিয়ে খোটা দেয়, তাহলে তার জিনিস তাকে ফিরিয়ে না দিয়ে, আরো ভালো কিছু তাকে উপহার দেবার চেষ্টা করুন। তবে সেটা অবশ্যই আপনার সমর্থ অনুযায়ী হতে হবে।
বন্ধু, কিছু কিছু ব্যক্তিত্ব আছে স্থায়ী। যেমন ধরুন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর লেখা এবং সৃষ্টিকর্মের মাঝেই তিনি বেঁচে আছেন। আবার ধরুন স্বামী বিবেকানন্দ। যার প্রতিটি কথা এতো উচ্চ স্তরের যে পড়ে ‘থ’ হয়ে যেতে হয়। বড় বড় ব্যক্তিত্বদের লেখা পড়লে এমন অবস্থা হয় যে, মনে হয় আমার একেবারে বর্তমান সমস্যার সমাধানের কথা তিনি বহু আগে বলে গিয়েছেন। কিকরে তাঁরা আমার জন্মের বহু আগেই আমার মনের কথাগুলো বুঝেছিলেন! তাই ভেবে আশ্চর্য হয়ে যাই। আরেকজন হলেন রবীন্দ্রনাথ! মনের মধ্যে এমন এমন ভাব হয় যা কাউকে বলা হয়ে ওঠে না, রবীন্দ্রনাথ যেনো সেই কথাগুলোই বহু আগে বলে গিয়েছেন।
বন্ধু, জীবনটাকে কর্মময় এবং স্বার্থক করে গড়ে তুলুন। নব চেতনায়, কৃয়েটিভিটিতে মন দিন। প্রতিদিন নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টা করুন। কে কি বললো, কে কি করলো, তা নিয়ে ভাবার সময় আপনার হাতে নেই। নিজের মেধাকে প্রকাশ করুন। সৃষ্টিশীল কাজে অনেক বাধা আসবে, বাধাবে গাধা বানিয়ে শুধু সামনে এগিয়ে যান। আপনাকে যদি কেউ চর দিতে চায় প্রয়োজনে আপনার গালটা তার দিকে এগিয়ে দিন। একটা চর দিয়ে সে চলে গেলে যাক। প্রতিশোধের দরকার নেই। কারণ মহাকাল সমস্ত বাজে কাজের প্রতিশোধ নেবেই নেবে-এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন।
বন্ধু, মনে রাখবেন, মানুষ ধনী থেকে গরীব হয়ে যাওয়া অপরাধ না, কিন্তু মনটা ধনী থেকে গরীব হয়ে যাওয়া অপরাধ। বন্ধু, মনে রাখতে হবে দুধ এক সময় ঘিয়ে পরিণত হয়। তখন ঘি আর দুধের সাথে মেশে না। কঠিন শিক্ষা, কঠোর পরিশ্রম এবং জীবনের নানান তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য থেকে নিজের আত্মিক উন্নতি আসে। যাদের আত্মা উন্নত তারা কখনো অন্যের ভুল ধরে মজা পায় না বরং তাদের ভিতর এমন এক বোধ কাজ করে যে, আমি কিছুই জানি না, আমাকে আরো জানতে হবে। আমি কিছুই বুঝি না, আমাকে আরো বুঝতে হবে। সবসময় মনের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করার স্পৃহা কিংবা নিজের ভিতর থেকে নতুন কিছু করার নিয়মিত তাগাদা অনুভব করার অভ্যেস জগতের সব থেকে ভালো অভ্যেস।
(অনেক কষ্ট করে আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা গ্রহন করবেন। আপনার জীবনের প্রতিটি ক্ষণ সুন্দর এবং মঙ্গলময় হোক এই কামনা করি।)