সমাজে বেঁচে থাকার জন্য কোন তীব্র প্রতিবাদ কি হবে না?

সমাজে বেঁচে থাকার জন্য কোন তীব্র প্রতিবাদ কি হবে না?
হাতিতে চড়ে জন্মাষ্টমীর সমাবেশ মিছিলে গিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড প্রবাসী ফরিদপুর শহরের সিংপাড়ার বিশ্বজিৎ সাহা তনু। ওই কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন একজন মন্ত্রী। পরে হাতিতে চড়ে কর্মসূচীতে আসায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রীর ইশারায় ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানা পুলিশ সিংপাড়ার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বিশ্বজিৎ সাহা তনুকে।
আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বিশ্বজিৎ সাহা তনু ফরিদপুর এসেছিলেন জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করতে, কিন্তু শোভাযাত্রার পরপরই তাকে ঢুকতে হয়েছে জেলখানায়। কারন হাতিতে চড়ে অনুষ্ঠানমঞ্চের সামনে দিয়ে গিয়েছিলেন যে মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ফরিদপুরের প্রবল প্রতাপশালী মন্ত্রী। মন্ত্রীর অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এক হিন্দুর দুঃসাহস দেখে। এই সেই প্রচন্ড হিন্দুবিদ্বেষী মন্ত্রী যিনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা রানা দাশগুপ্তের চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন,মুক্ত
িযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে জেল খাটিয়েছেন,মুক্তিযোদ্ধা মানস মুখার্জীকে জেলে পঁচিয়েছেন। এই মহাত্মা ফরিদপুর শহরের অসংখ্য হিন্দু বাড়ী দখল করেছেন।
ফরিদপুর শহরের হিন্দুদের বিএনপি-জামায়াতের আমলেও এতোটা শঙ্কা নিয়ে বাস করতে হয়নি এখন যতোটা আওয়ামীলীগ সরকারের সময় করতে হচ্ছে।
কাল রাতে ফরিদপুর থেকে এক বন্ধু ফোনে জানালো যে ফরিদপুরে স্মরনকালের সবচেয়ে বড় জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা হয়েছে যেটা কোন রাজনৈতিক সমাবেশের জনসমাগমকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।আর এটার পেছনে সম্পুর্ন অর্থায়ন এবং পরিকল্পনা ছিলো আয়ারল্যান্ড প্রবাসী এই বিশ্বজিৎ সাহা তনুর। মাননীয় মন্ত্রীর এটা ভালো লাগেনি, ফলাফল বিশ্বজিতের জেলবাস। বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্ভাগ্য যে হিন্দু নেতা হিসেবে যারা নিজেদের দাবী করেন তাদের বেশীরভাগই দালাল শ্রেনীর সদস্য। ফরিদপুর শহরের জনসংখ্যার বিরাট একটা অংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী।অথচ যে হিন্দুদের প্রোগ্রামের জন্য তাকে জেলে যেতে হলো,সেই ফরিদপুরের সকল হিন্দুনেতারা চুপ হয়ে রয়েছেন। কিছু মন্ত্রীর দালালি করতে,আর কিছু ভয়ে।