ঢাকার গুলিস্তানে পুলিশের উপর বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস!

ঢাকার গুলিস্তানে পুলিশের উপর বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস! জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স’ এই খবর প্রকাশ করেছে। সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য দিয়েছেন ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ারি হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রহস্যজনকভাবে দুই মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এরপরই ট্রাফিক বক্স লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে ‘দুর্বৃত্তরা’।

গুলিস্তানের মত জনবহুল একটি স্থানে বোমা হামলা করে শত শত মানুষকে মেরে ফেলা খুব সম্ভব যদি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে কয়েক মিনিট। সেই কাজটি যারা করে দিয়েছে তারা নিশ্চিত করেই সরকারী দপ্তরের লোকজন। লোডশেডিং ঐ সময় কেন দুই মিনিটের জন্য ঘটেছিলো সেটি তদন্ত করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। কিন্তু কে তদন্ত করবে আর সেই রিপোর্ট কে প্রকাশ করবে? কিংবা যারা তদন্ত করবে তারাই কি সত্যিটা লিখবে? আইএস দায় স্বীকার করেছে গুলিস্তানের ঘটনায়। যদিও কোন মানুষ এতে মারা যায়নি। যে তিনজন পুলিশের উপর হামলা হয়েছে তারা সবাই আহত। যদি তিনজনই মারা পড়ত তাহলে এতক্ষণে শোরগোল পড়ে যেতো। আইএস বাংলাদেশে আক্রমণের ঘোষণা দিয়ে বলছে ‘আমরা আসছি’! তাতেই আমাদের বিমানবন্দন নৌবন্দরে সতর্ককতা জারির প্রচেষ্টা হাস্যকর। আইএস আপনার আমার বাসার সদ্যসের মধ্যেই কেউ আছে। আপনার অতি ধার্মীক নামাজি ছোটভাইটি, সন্তান, শ্যালক, ভাতিজা- যে কেউ হতে পারে! ইন্টারনেটে আইএসের সঙ্গে নিজেকে সমর্পন করে এখানে হামলা চালাবে আর দূর থেকে আইএসের হেড-কোয়াটার দায় স্বীকার করবে। কিন্তু বিপদটা কোনখানে তার কথাটা একবার ভাবুন-

পাকিস্তানের একজন মন্ত্রীকে তালেবানরা হুমকি দেয়ার পর তিনি সরকার থেকে নিরাপত্তা রক্ষি চেয়ে আবেদনপত্রে শর্ত দিয়েছিলেন, কিছুতে তার সিকিউরিটি গার্ডদের মধ্যে মুসলিম সদস্য থাকতে পারবে না। এটাই মেইন পয়েন্ট! বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানদের দেশ। সংখ্যা অনুপাতে তাই সব বিভাগেই মুসলিম জনসংখ্যাই বেশি থাকবে। আপনি গ্যারান্টে দিতে পারেন না মতিঝিল জোনের বিদ্যুৎ বিভাগের যত মুসলিম কর্মকর্তা কর্মচারী আছে তাদের মধ্যে কে ইসলামিক খিলাফত সমর্থন, কে চোরমোনাই, কে হেফাজত, কে ওহাবী… মতালম্বী। দুই মিনিট বিদ্যুৎ চলে গেলো আর সে সময়ই পুলিশের উপর বোমা হামলা ঘটল। সেই ঘটনার দায় স্বীকার করল আইএস। মুসলমানদের দিয়ে জঙ্গিবাদ ঠেকানোর দেয়াল আসলে বেহুলার বাসরঘরের মতই ফসকা গেড়ো। লোহা দিয়ে বাসরঘর বানিয়েছিলো লখিন্দরের বাবা ছেলের জন্য। কিন্তু মিস্তিরি ছিদ্র রেখেছিলো মনসাকে প্রবেশের সুযোগ দিতে। মুসলিমদের মধ্যে সেই ছিদ্রওয়ালা নিরাপত্তা চাদর তাই সর্বদাই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবিষ্যতে জঙ্গিদের বড় বড় হামলার পর দেখবেন রসহ্যময় সব হাত হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিতে সহায়তা করেছে বলে জানা যাবে। গুলিস্তানের হামলাটি ছোট কিন্তু আমাদের বাস্তবতার জন্য বড় উদাহরণ। কে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়েছিলো?

গুলিস্তানে পুলিশের ওপর ককটেল হামলা করেছে আইএস!