অনুপ্রবেশকারীদের ভাই – বোন ভাবলে আবার ভয়ঙ্কর ভুল করবেন।

বিশ্বাস ঘাতক যোগেন্দ্র নাথ  মন্ডলের কথা মনে আছে কি ?  আসাম থেকে অবৈধ বাংলাদেশি   মুলসিম অনুপ্রবেশকারী যাচাই করার কাজে  বাধা সৃষ্টিকারী  মমতাজ বেগমের উস্কানিতে  মতুয়ারা বিভ্রান্ত  হবেন না।  এতে  আপনাদের  লাভ  নেই :- খুলনা , যশোর এবং কুষ্টিয়া  সমেত অভিভক্ত  বঙ্গপ্রদেশের  একাধিক  জেলা , ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি  যোগেন্দ্র নাথ মন্ডলের  কথা  বিশ্বাস  করা  ওই জেলাগুলির  সংখ্যা গরিষ্ঠ  নমঃশুদ্র -মতুয়া সম্প্রদায়ের  হিন্দুদের বাধাদানের জন্য। ওদের নেতা  যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল  ওদের বুঝিয়েছিল, স্বাধীন ভারতে  উচ্চ  বর্ণের  হিন্দুদের সাথে  বসবাস করার থেকে পাকিস্তানের মোল্লাদের  গোলামী  করা  অনেক  সম্মানের ! 15 আগস্ট, 1947  সালে ভারত বিভাজন হয়। বঙ্গপ্রদেশের বেশকিছু হিন্দু প্রধান এলাকা পাকিস্তানকে পাইয়ে দেওয়ার ফলশ্রুতিতে তিনি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের মন্ত্রীসভায় আইন ও শ্রম মন্ত্রী হন। এর মাধ্যমে সরকার প্রশাসনে সর্বোচ্চ স্তরের হিন্দু সদস্য হন। কিন্তু , বেশিদিন সে  পাকিস্তানী মন্ত্রী সভায় কাজ করতে পারেনি।  উঠতে  বসতে প্রতি পদে পদে  অপমানিত  হওয়া এবং কাজে  বাধা পেয়ে অবশেষে  সে  1950  সালে  পাকিস্তানী  মন্ত্রিসভা থেকে  পদত্যাগ করে। তারপর  , অশান্ত  পূর্ব পাকিস্তানের  অর্থাৎ  বর্তমান  বাংলাদেশে আক্রান্ত সেই  জনতা , যারা   তাহাকে  একসময়  খুব বিশ্বাস করেছিল তাদের  বিপদের  মুখে  ফেলে  নিজের  বৌ – বাচ্চাদের নিয়ে  সোজা  কলকাতায়  আশ্রয় নিয়েছিল।  এরপর সে  আর কোনোদিন বাংলা দেশে ফিরে যাবার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি। 1968 সালে  তার  মৃত্যু  হয়।  যোগেন্দ্র নাথ মন্ডলের কথা  বিশ্বাস করে , সাবেক  পশ্চিম পাকিস্তান  এবং পূর্ব  পাকিস্তানের  মোল্লাদের  গোলামী করার সাধ , নমঃশুদ্র -মতুয়া সম্প্রদায়ের  হিন্দুদের   পূর্বসূরিদের এবং  তাহাদের মধ্যে  যারা অতীতের স্মৃতি নিয়ে  বেঁচে আছেন তাদের প্রত্যেকের   মিটেছে ! এমনটাই  আশা করি। মমতাজ বেগমের কথায়  বার  খেয়ে  অর্থাৎ  বিভ্রান্ত হয়ে  বাংলাদেশি মুসলিম  অনুপ্রবেশকারীদের  ভাই – বোন  ভাবলে  আবার ভয়ঙ্কর ভুল  করবেন।  কথায়  বলে  বাঁশ  কেন  ঝাড়ে , এস   আমার   …………      বাংলাদেশি  মুসলিম  অনুপ্রবেশকারীরা     মতুয়া  সমেত  প্রত্যেক হিন্দুদের বিপদের কারন।