৭০ বছর পুরনো যুদ্ধ নীতিতে বদল করলো ভারত, এবার রক্তে স্নান করবে পাকিস্তান ।

লিখেছেন Sunita Chakraborthy দিদি। দিদির প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে এই পোস্ট কপি পেস্ট করে শেয়ার করলাম। Rezaul Manik

৭০ বছর পুরনো যুদ্ধ নীতিতে বদল করলো ভারত, এবার রক্তে স্নান করবে পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের গায়ে একটা বদনাম ছিল Soft State বা নরম দেশ হওয়ার। ভারত পাকিস্তানের থেকে সব দিকে এগিয়ে থাকলেও সীমান্তে ভারতের দামী দামী বন্দুকগুলো কেমন যেন চুপচাপ থাকতো । পাকিস্তান প্রতি নিয়ত যুদ্ধ বিরতি লংঘন করলেও ভারত সেই ভাবে জবাব দিত না।

ভারতের এহেন আচরণের কারণ ছিল পাকিস্তানের প্রপ্তি আমাদের যুদ্ধ নীতি বা War Strategy যা আমাদের সরকার এতদিন রক্ষনাত্মক বা Defensive করে রেখেছিলেন। এই কথার অর্থ হলো ভারত এতদিন শুধু পাকিস্তানের হামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করতো, প্রথমে কোনদিনই হামলা করতো না।

কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রের মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই সরকারের পুরনো এই রক্ষনাত্মক নীতির পরিবর্তন ঘটানোর দিকে মনোযোগ দেন। আর ঠিক সেই কারণেই তিনি ভারতের জেমস বন্ড হিসাবে পরিচিত অজিত ডোভালকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার (NSA) পদে আনেন।

জানিয়ে রাখি যে অজিত ডোভাল দীর্ঘদিন RAW-এর গোপন মিশনে পাকিস্তানে ছিলেন কিন্তু পাকিস্তান সরকার সেই ব্যাপারে কোনদিন জানতেই পারেনি। তাই পাকিস্তান তথা বালোচিস্তানের সম্বন্ধে ওনার ব্যাপক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই প্রধানমন্ত্রী এই পদে আনেন, এর আগে এই পদে বেশীরভাগ সময় IAS অফিসাররাই থেকেছেন।

পদে আসার পর থেকেই নিজের চেনা পরিচিত আসল রূপ দেখাতে শুরু করেন  তিনি। ২০১৫ সালে মণিপুরে ভারতীয় সেনার ওপর হামলার জবাবে ভারত মায়ানমারে ঢুকে জঙ্গীদের নিকেশ করে । সেইবারই ভারতবাসী প্রথমবার সার্জিকাল স্ট্রাইক সব্দের সাথে পরিচিত হয়। আর ২০১৬ সালে পাকিস্তানে ঢুকে করা সার্জিকাল স্ট্রাইক তো গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞেরা বলেন যে এই দুটো ঘটনার পেছনেই অজিত ডোভালের বুদ্ধি কাজ করেছে যা ভারতকে নরম দেশের বদনাম ঝেড়ে ফেলতে অনেকটাই সাহাজ্য করেছে। ভগবান হনুমানের নিজের ক্ষমতার ব্যাপারে ধারণা ছিলনা, কিন্তু কেউ মনে করিয়ে দিলেই তিনি তার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারতেন। ভারতীয় সেনার সাথে ঠিক সেই কাজটাই করেছেন এই জেমস বন্ড।

২০১৬ সালে একটি সেমিনারে তিনি বুঝিয়েছিলেন যে ডিফেন্সিভ মোড থেকে অফেন্সিফ ডিফেন্স মোডে আসছে ভারত। তিনি উদাহরণ দিয়ে বোঝান যে ডিফেন্সিভ মোডে মানুষ শুধু শত্রুর হামলা থেকে বাচার চেষ্টা করে (যা ভারত এতদিন করে এসেছে) । কিন্তু এই চেষ্টা করতে গিয়ে আপনার দিকে ১০ টা ঢিল ছুড়লে ৪ টে ঢিল আপনার গায়ে লেগে যাবে। কিন্তু আপনি রক্ষা করার সাথে সাথে যদি শত্রুকে হামলা করা আটকাতে পারেন তাহলে তারা ঢিল কম ছুড়বে ফলে আপনার ক্ষতির আশঙ্কাও কমে যাবে।

আর ২০১৮ সালের শুরুতেই ভারতের সেনা প্রধান জানিয়ে দিলেন যে আমাদের সেনা এখন অফেন্সিক মোডে চলে এসেছে অর্থাৎ আমাদের দেশের ক্ষতির আশঙ্কা হলেই পাকিস্তানের পাকিস্তানের পোষ্ট গুড়িয়ে দিচ্ছে আমাদের সেনা।

এর পরিণাম স্বরূপ বিগত কয়েক দিন ধরে কোন উসকানি ছাড়াই ভারত ক্রমাগত যুদ্ধ বিরতি লংঘন করে পাকিস্তানের সেনার পোস্ট উড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে পাকিস্তানের তরফে ভারতের দিকে হামলা করার সুযোগই পাচ্ছে না। এর কারণ হিসাবে সেনা প্রধান জানিয়ে দেন যে ” আমাদের লক্ষ্য পাকিস্তানের হামলায় আমাদের যাতে জীবনহানি কমানো যায় এবং পাকিস্তানের দিকে সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি করা যায় “।

এখানে উল্লেখ্য যে কাশ্মীরে পাথরবাজদের ঠান্ডা করার ক্ষেত্রে অজিত ডোভালের নীতিই সাফল্য এনে দিয়েছে। সেই কারণেই বর্তমান সরকার দেশের নিরাপত্তাজনিত সমস্ত বিষয় অজিত ডোভালের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছে ।