বাংলাদেশে যখন প্রতিনিয়ত মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে তখন ভারতে সিনেমাহল ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হলো সগৌরবে।

বাংলাদেশে যখন প্রতিনিয়ত মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে তখন ভারতে সিনেমাহল ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হলো সগৌরবে।

একটা সময় ছিল যখন মুম্বাইয়ের নাগাপাড়া সেন্ট্রাল রোডর সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া ছিল আনন্দ ভ্রমণের মতো আনন্দময়। সর্ব ধর্মের মানুষ কোন বিধি নিষেধ ছাড়াই এই পথ দিয়ে হাঁটতে পারতো। যদিও এই রাস্তার আশেপাশে অপরাধপ্রবণ এবং অনগ্রসর নিন্মরূচির মুসলমানদের বসবাস। সেন্ট্রাল রোডের রাস্তার পাশে ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন সিনেমা হল। মুম্বাইয়ের অত্যাধুনিক হিট ছবি থেকে শুরু করে হলিউডের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত পৃথিবী বিখ্যাত সব ছবি প্রদর্শনী করা হতো সিনেমা হলটিতে। আর রাস্তার পাশের দেয়ালগুলোতে লাগিয়ে রাখা হতো দেখবার মতো চমৎকার সব পোষ্টার। এসব ভাল ভাল ছায়াছবি দেখার জন্য শিক্ষিত ভদ্র লোকজনের ভিড় লেগেই থাকতো নাগা পাড়ার ওই সেন্ট্রাল রোডে। তবে অনেককাল থেকেই আশেপাশের অশিক্ষিত নিকৃষ্ট মুসলমান জনগোষ্ঠীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে আসছিল ঐ নাপাক, নাজায়েজ সিনেমাহলটি। তারা এই সিনেমাহলটির ব্যাপারে সরব আপত্তি জানিয়ে আসছিল। 

এরপর তিন বছর আগে এলাকার মুসলমান বাসিন্দারা হঠাৎ করে একটি চমকপ্রদ আনন্দময় ঘটনা ঘটতে দেখতে পায়। তারা দেখে যে সিনেমা হলটিকে আল্লাপাকের ইচ্ছায় মসজিদে পরিণত করা হচ্ছে। ২০১১ সালের দিকে মসজিদটির নির্মান কাজ শুরু করা হয়।   স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, দক্ষিণ মুম্বাইভিত্তিক একটি নির্মান প্রতিষ্ঠানের মালিক রফিক দুধওয়ালা(যার কানেকশন দুবাই এর মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম পর্যন্ত বিস্তৃত)  সিনেমাহল সহ হলের চারপাশে ১৫শ’ বর্গফুট জায়গা কিনে নেন। এরপর তিনি ওই জায়গা মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক স্থানীয় এক জিহাদি  মুসলিম এনজিওর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তাদের যৌথ উদ্যেগে সেখানে একটি সুরম্য মসজিদ নির্মান করা হয়। ছবি দেখুন। এখন এই মসজিদটিতে স্থানীয় মুসলিমরা ছাড়াও মুম্বাই এর বিভিন্ন এলাকার ওয়ান্টেড জিহাদি মুসলমানরা নির্ভয়ে রোজ পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন। সেখানে অজস্র মাইক দিয়ে কোন রকম শব্দদুষণের তোয়াক্কা না করেই বিকট শব্দে আযান দেয়া হয়। সেই সঙ্গে নিয়মিত কুরআনের বিধর্মী ঘৃণার এবং বিধর্মী হত্যার জিহাদি  আয়াতও তরযমা করা হয়।

এদিকে এই জিহাদি মসজিদটি স্থাপনের মধ্যে দিয়ে মুম্বাইয়ের সেন্ট্রাল রোডের নাগাপাড়া ও আগড়িপাড়া নিয়ে জংগি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে সংখ্যালঘূ হিন্দু জন গোষ্ঠী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।