সিলেট নগরীর চালিবন্দরে মুশরিকদের একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের।।

সিলেট নগরীর চালিবন্দরে মুশরিকদের একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদ করায় হিন্দু সম্প্রদায়ের এক কাফের নেতার বাসায় হামলা চালানো হয়েছে। মুমিন মুসলমান ঈমানদার হামলাকারী ওই হিন্দু নেতাকে বাসায় না পেয়ে, তার দুই বছর বয়সী কাফের নাতনিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে আহত করে। প্রিয়া দাশ নামের ওই কাফের শিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রিয়া দাশ নামের উক্ত কাফের শিশুর মাথায় আঘাত লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে চালিবন্দরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নগরীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল আলম জানান, খলিল আহমদ নামের এক খাঁটি জিহাদি মুসলমান সন্ধ্যায় জাতীয় হিন্দু মহাজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অতিন্দ্র দেবের বাসায় হামলা চালায়।

মুমিন মুসলমান জিহাদি খলিল আহমদ গত বছরের এপ্রিলে চালিবন্দরের ভৈরব মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ওই ভাংচুরের প্রতিবাদ করায় ও এসংক্রান্ত মামলা দেখভালের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে জিহাদি খলিল এ হামলা চালায় বলে জানান তিনি।
গতবছর এপ্রিলে চালিবন্দরের ভৈরব মন্দিরের এই মূর্তি ভাংচুর করা হয় অতিন্দ্র দেব বলেন, গত বছরের ২০ এপ্রিল ভৈরব মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের পর আমি প্রথম এলাকাবাসীকে নিয়ে প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছিলাম। ভাংচুরের পর এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ভাংচুরকারী নগরীর ছড়ারপার এলাকার বাসিন্দা জিহাদি খলিল আহমদকে পুলিশের হাতে তুলে দিতেও সহযোগীতা করি। পরে এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় খলিলের ৪ বছরের জেল হয়। সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে সে সসম্মানে জামিন লাভ করে।

অতিন্দ্র বলেন, জামিন পেয়েই আজ (বৃহস্পিতবার) সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার আসায় ঢুকে আমাকে খুঁজতে থাকে খলিল। এসময় আমাকে না পেয়ে আমার নাতনির মাথায় আঘাত করে আহত করে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ২০/২৩৮ ১৩/৭/১৭।ওসি গৌছুল বলেন, ঈমানদার খাঁটি মুমিন মুসলমান খলিলকে আটক করতে ঢিমতালে চেষ্টা চালাচ্ছে অনিচ্ছুক পুলিশবৃন্দ।

http://www.sylhettoday24.com/news/details/Sylhet/43630?utm_campaign=shareaholic&utm_medium=facebook&utm_source=socialnetwork