#বৈদিক_গণিত_পর্ব_২
.
.
বৈদিক যুগ, মানে ধারণা করা হয় যে যুগে বেদ রচনা করা হয়েছিলো। তার মানে বৈদিক যুগ বলতে বোঝানো হয় সেই খৃষ্টপূর্ব ১৫০০–৫০০ অব্দকে অর্থাৎ লৌহ যুগেরও শুরুর আগে। তো সেই বৈদিক যুগের ঋষিরা বড় বড় হিসাব করত মুখে মুখে, যেগুলো আমরা ক্যালকুলেটারের সাহায্যে বর্তমানে করে থাকি। তখনকার সময়ে কোনো ক্যালকুলেটার ছিলো না, না ছিলো মাপার যন্ত্রপাতি, কিন্তু তবুও তারা অনেক জটিল হিসাব খুবই সহজে করে ফেলত। আমি চেষ্টা করব ধারাবাহিকভাবে সেগুলো তুলে ধরতে, আসলে তারা কীভাবে সমাধান করত সেটাই বোঝার চেষ্টা করব এখানে। এতে আপনারা একটা জিনিস পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন কীভাবে ক্যালকুলেটর ছাড়াই বড় বড় গণিত সমাধান করা সম্ভব।
.
.
বর্গ নির্ণয়ঃ
১ম পদ্ধতি :
৯৬ এর বর্গ নির্ণয়
৯৬
= ৯২১৬
= ৯২১৬
.
এবার দেখা যাক সে যুগের মানুষ কীভাবে এত বড় গণিতের সমাধান এত সহজে ও নির্ভুলভাবে বের করত। এখানে ৯৬ সংখ্যাটি ১০০ থেকে ৪ কম দূরত্বে রয়েছে । তাই ৯৬ থেকে ৪ বিয়োগ করতে হবে । ৯৬ – ৪ = ৯২ তাহলে বাম পাশের এক অংশের উত্তর পাওয়া গেল। এবার ঐ ৪ সংখ্যাটিকে একই সংখ্যা ৪ দিয়ে গুণ করি ৪×৪=১৬ এবার ডানপাশের উত্তর অংশ পাওয়া গেল। উভয় সংখ্যা মিলে উত্তর হলো ৯২১৬।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, সবসময় সংখ্যাটির নিকটবর্তী এক শতক বা নিকটবর্তী এক হাজার মান থেকে সংখ্যাটি বিয়োগ করতে হবে। উদাহরণঃ ৯৯৮² = ৯৯৬/০০৪ =৯৯৬০০৪; ৯৯৯১² = ৯৯৮২/০০৮১ = ৯৯৮২০০৮১
২য় পদ্ধতি :
১০৩ এর বর্গ নির্ণয়
১০৩²
= ১০৬০৯
= ১০৬০৯
.
এখন যদি কোনো সংখ্যা একশত বা একহাজারের চেয়ে বেশি হয় যেমন ১০৩ সংখ্যাটি ১০০ থেকে ৩ বেশি দূরত্বে রয়েছে। এখন ১০৩ এর সাথে ৩ যোগ করুনঃ ১০৩ + ৩ = ১০৬। এখন উত্তরের বাম পাশের অংশটি পাওয়া গেল। পুনরায় ৩ সংখ্যাটিকে একই সংখ্যা ৩ দ্বারা গুণ করুন। ৩ × ৩ = ৯ এবার উত্তরের ডান অংশটি পাওয়া গেল। উত্তর হবে ১০৬০৯।
উদাহরণঃ ১০০৪² = ১০০৮০১৬ = ১০০৮০১৬; ১০১১² = ১০২২১২১ = ১০২২১২১; ১০০০৫² = ১০০১০/০০২৫ = ১০০১০০০২৫
.
.
Stay with me for Next part of Vedic Mathematics!!