মুসলমান ও ইসলামের আত্মসমীক্ষার যেমন প্রয়োজন আজকের দিনে, তেমনই প্রয়োজন বাকি বিশ্বের এর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার।…………………….!

মুসলমানের আত্মসমীক্ষা :
—————————–
মুসলমান ও ইসলাম নিয়ে কোনো আলোচনা, সমালোচনা বা কোনো বিশ্লেষণ মূলক লেখা লিখেলেই দেখবেন মডারেট বজ্জাৎরা  ‘তেল ও সাম্রাজ্যবাদ’ টপিক হাইলাইট করে সেই প্রসঙ্গকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রবল চেষ্টা করে । পৃথিবীর এমন একটা মুসলমান প্রধান দেশ দেখান, যেখানে অমুসলমান এমনকি বেশ কিছু ক্ষেত্রে মুসলমান উপসম্প্রদায় ক্রমশ হ্রাসমান নয় !  তারা কোথাও নিপীড়িত আবার কোথাও বা আক্রান্ত কারণ, মুসলমান প্রধান দেশে মুসলমান উপসম্প্রদায় ও অমুসলমান নাগরিক  সম-অধিকার পেতেই পারেনা ইসলাম অনুসারে । পৃথিবীর যে দেশে মুসলমান সংখ্যালঘু সেখানে তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার,ধর্মনিরপেক্ষতা, সকলের জন্য ধর্মের অধিকার দাবি করে এমনকি নিজেদের জন্য পৃথক রাষ্ঠ্রের দাবিতে ‘হাত মে বিড়ি, মু মে পান – লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ নাড়া তুলে অস্ত্র হাতে জেহাদে নেমে পরে অথচ, পৃথিবীর মুসলমান প্রধান দেশগুলোতে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, ধর্মনিরপেক্ষতা নেই, সকল ধর্মের সমান অধিকার নেই !!

মুসলমান ও ইসলামের সমস্যা ‘তেল ও সাম্রাজ্যবাদ’ নয়, যতই যাই বলুন না কেন, মূল সমস্যা হলো :’আমার দেশে আমি অধিকার দেব না, কিন্তু অন্য দেশে আমি আধিকার ভোগ করব’-এই দৃষ্টিভঙ্গি । সমস্ত মানুষকে নিয়ে একসাথে চলা নয়, কেবল নিজ ধর্মের সকলকে নিয়ে একত্র চলাই হলো মুসলমান ও ইসলামের প্রধান সমস্যা ।
ধার্মিকরা ‘ধর্ম’কে বলে থাকেন আত্ম আচরণ কিন্তু তাদেরই কথার রেশ টেনে বলি :আত্ম আচরণ, অন্যের আচরণ খর্ব করতে পারেনা । কোনো ধর্মই নিজগুনে অন্য ধর্মের মানুষকে আপন করতে পারে না আর আজকের মানবতার যুগে ধর্মের এই কূপমন্ডুকতা রক্ষা করা সম্ভব নয়, অথচ ইসলাম এটাকেই আঁকড়ে ধরে চলছে । সুন্নি-শিয়াতে বিরোধ, সুন্নি-শিয়ার বাকি মুসলমানদের সাথে বিরোধ, গোটা ইসলামের না-ইসলামের সাথে বিরোধ । ফলটা কি ?  এর ফল হলো হত্যা, ধ্বংস, ধর্ষণ ! আজকের দুনিয়ায় ইসলাম সম্প্রসারণের জন্য সন্ত্রাস একটা উন্মত্ত সঙ্কীর্ণতা । আতঙ্কবাদি পথে ইসলামের সম্মান প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাই বারবার এই বিশ্বে সন্ত্রাসের জন্ম দিয়ে চলেছে ।

মুসলমান ও ইসলামের আত্মসমীক্ষার যেমন প্রয়োজন আজকের দিনে, তেমনই প্রয়োজন বাকি বিশ্বের এর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার।…………………….!