ইসলামের বিজয় হইবই দেইখো মিয়া…।

-কি ব্যাপার কেমন আছো?

-ভালোই, অনেকদিন পর ফোন করলা। তা তোমাদের নিউজিল্যান্ডের খবর বলো? মুসলমানদের তো শেষ করে দিলো!

-দু:খজনক ঘটনা। কিন্তু পুরো নিউজিল্যান্ডবাসী আজ মুসলিমদের পাশে আছে। এ এক অনন্য উদাহরণ।

-আলহামদুরিল্লাহ! ওদের সংসদে কুরআন পাঠ হইছে। চিন্তা করো ওদের টেলিভিশনে আজান প্রচার হইছে! কেমন খুশি লাগতাছে বলো! টিভিতে দেখলাম ওদের মেয়েরা মুসলমান মেয়েদের মত মাথায় কাপড় দিয়া বাইর হইছে। জুম্মার নামাজে নাকি খ্রিস্টানরা উপস্থিত থাকব। মাঠভরা সব মানুষ শুনলাম আল্লাহ আকবর বইল্লা ডাক দিছে। ওগো মুখে এসব শুনতে কেমন লাগো বুঝো! আবার দেখো আমাগো নবীর প্রশংসাও করছে তাদের প্রধানমন্ত্রী!

-হুম। যাই হোক, তা তোমার মেয়ের খবর কি, এসএসসি না কি দিবে এবার?

-হ, ঠিক শুনছ। ঘুমায় আছে। দুপুরে বকা দিছি খুব। রাগ কইরা এখন না খাইয়া ঘুমাই পড়ছে।

-বকছ কেন আবার?

-আরে দুপুরে স্কুল থেকে আসছে কপালে রঙের ফোটা নিয়া। কয় হোলির রঙ লাগাইছে! হিন্দুগো তো আবার কি দোল না ফোল চলতাছে। মুসলমানের মাইয়া রঙ মাইখা বাইত আইলে কেমুন লাগে কও? তুই কি হিন্দু? রঙারঙি অগো অনুষ্ঠান ওরা করব-।

-আচ্ছা বন্ধু, তুমি কি চাও এই যে নিউজিল্যান্ডের যে পার্টি এখন ক্ষমতায়, বা যে মহিলাটা প্রধানমন্ত্রী তার দলই আবার ক্ষমতায় আসুক ভোটে জিতে?

-অবশ্যই চাই। আমাদের মুসলমানদের পক্ষে এরা। ডানপন্থি কেউ ক্ষমতায় আসলে দেখবা খবর আছে!

-তুমি তো আবার এরদোয়ানের খুব ভক্ত!

-হে হে হে, বাঘের বাচ্চা একটাই যথেষ্ঠ। মুসলমানদের হয়ে দেখছো কেমন কথা কয় বিশ্ব নেতাদের লগে।

-তোমার এরদোয়ান তার জনগণকে বুঝাচ্ছে, খ্রিস্টানরা মুসলমানদের মেরে শেষ করে দিবে। এরা মুসলমানদের ভালো চায় না। তার অপজিট পার্টির প্রধান হচ্ছে খ্রিস্টানদের বন্ধু। তাই তাকে বিশ্বাস করা যায় না ইত্যাদি।

-সঠিক কথা বলছে। এই খ্রিস্টান ইহুদীরা কোনদিন মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না। এটা তো ভাই কুরআন-হাদিসের কথা। এরা চিরকাল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাবেই।

-তাহলে অমুসিলম প্রধান দেশে তুমি সেক্যুলারদের ক্ষমতায় দেখতে চাও আর মুসলমান দেশে ইসলামিক দলকে ক্ষমতায় দেখতে চাও?

-আবার মিয়া শুরু করলা তোমার সেকুমাকু কথা! শোনো, এসব ধর্মনিরপেক্ষতা এখন অচল। দেখলা না নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আমাদের নবীজির আদর্শের কথা বলল। তাদের মেয়েরাও এখন মাথায় ঘুমটা দিবে। এসব সেকুমাকু আর বিশ্বে চলবে না।

-এসব তো ওদের ভদ্রতা। হিজাব পরেছে একটা প্রতীকীর অংশ হিসেবে। মুসলমানদের উপর যেন আর কোন আক্রমন না ঘটে তাই তাদের নবীর প্রশংসা করেছে একটা বার্তা দিতে।

-আরে রাখো মিয়া। কয়দিন পর শুনবা নিউজিল্যান্ডে দলে দলে সবাই মুসলমান হইয়া যাইতাছে। অরা এখন কুরআন পড়ে, মুসলমানদের নামাজ দেখে ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। ইসলামের বিজয় হইবই দেইখো মিয়া…।

-যারা নিজের মেয়ের হোলির সামান্য রঙ সহ্য করতে পারে না তাদের প্রতি -কি ব্যাপার কেমন আছো?

-ভালোই, অনেকদিন পর ফোন করলা। তা তোমাদের নিউজিল্যান্ডের খবর বলো? মুসলমানদের তো শেষ করে দিলো!

-দু:খজনক ঘটনা। কিন্তু পুরো নিউজিল্যান্ডবাসী আজ মুসলিমদের পাশে আছে। এ এক অনন্য উদাহরণ।

-আলহামদুরিল্লাহ! ওদের সংসদে কুরআন পাঠ হইছে। চিন্তা করো ওদের টেলিভিশনে আজান প্রচার হইছে! কেমন খুশি লাগতাছে বলো! টিভিতে দেখলাম ওদের মেয়েরা মুসলমান মেয়েদের মত মাথায় কাপড় দিয়া বাইর হইছে। জুম্মার নামাজে নাকি খ্রিস্টানরা উপস্থিত থাকব। মাঠভরা সব মানুষ শুনলাম আল্লাহ আকবর বইল্লা ডাক দিছে। ওগো মুখে এসব শুনতে কেমন লাগো বুঝো! আবার দেখো আমাগো নবীর প্রশংসাও করছে তাদের প্রধানমন্ত্রী!

-হুম। যাই হোক, তা তোমার মেয়ের খবর কি, এসএসসি না কি দিবে এবার?

-হ, ঠিক শুনছ। ঘুমায় আছে। দুপুরে বকা দিছি খুব। রাগ কইরা এখন না খাইয়া ঘুমাই পড়ছে।

-বকছ কেন আবার?

-আরে দুপুরে স্কুল থেকে আসছে কপালে রঙের ফোটা নিয়া। কয় হোলির রঙ লাগাইছে! হিন্দুগো তো আবার কি দোল না ফোল চলতাছে। মুসলমানের মাইয়া রঙ মাইখা বাইত আইলে কেমুন লাগে কও? তুই কি হিন্দু? রঙারঙি অগো অনুষ্ঠান ওরা করব-।

-আচ্ছা বন্ধু, তুমি কি চাও এই যে নিউজিল্যান্ডের যে পার্টি এখন ক্ষমতায়, বা যে মহিলাটা প্রধানমন্ত্রী তার দলই আবার ক্ষমতায় আসুক ভোটে জিতে?

-অবশ্যই চাই। আমাদের মুসলমানদের পক্ষে এরা। ডানপন্থি কেউ ক্ষমতায় আসলে দেখবা খবর আছে!

-তুমি তো আবার এরদোয়ানের খুব ভক্ত!

-হে হে হে, বাঘের বাচ্চা একটাই যথেষ্ঠ। মুসলমানদের হয়ে দেখছো কেমন কথা কয় বিশ্ব নেতাদের লগে।

-তোমার এরদোয়ান তার জনগণকে বুঝাচ্ছে, খ্রিস্টানরা মুসলমানদের মেরে শেষ করে দিবে। এরা মুসলমানদের ভালো চায় না। তার অপজিট পার্টির প্রধান হচ্ছে খ্রিস্টানদের বন্ধু। তাই তাকে বিশ্বাস করা যায় না ইত্যাদি।

-সঠিক কথা বলছে। এই খ্রিস্টান ইহুদীরা কোনদিন মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না। এটা তো ভাই কুরআন-হাদিসের কথা। এরা চিরকাল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাবেই।

-তাহলে অমুসিলম প্রধান দেশে তুমি সেক্যুলারদের ক্ষমতায় দেখতে চাও আর মুসলমান দেশে ইসলামিক দলকে ক্ষমতায় দেখতে চাও?

-আবার মিয়া শুরু করলা তোমার সেকুমাকু কথা! শোনো, এসব ধর্মনিরপেক্ষতা এখন অচল। দেখলা না নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আমাদের নবীজির আদর্শের কথা বলল। তাদের মেয়েরাও এখন মাথায় ঘুমটা দিবে। এসব সেকুমাকু আর বিশ্বে চলবে না।

-এসব তো ওদের ভদ্রতা। হিজাব পরেছে একটা প্রতীকীর অংশ হিসেবে। মুসলমানদের উপর যেন আর কোন আক্রমন না ঘটে তাই তাদের নবীর প্রশংসা করেছে একটা বার্তা দিতে।

-আরে রাখো মিয়া। কয়দিন পর শুনবা নিউজিল্যান্ডে দলে দলে সবাই মুসলমান হইয়া যাইতাছে। অরা এখন কুরআন পড়ে, মুসলমানদের নামাজ দেখে ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। ইসলামের বিজয় হইবই দেইখো মিয়া…।

-যারা নিজের মেয়ের হোলির সামান্য রঙ সহ্য করতে পারে না তাদের প্রতি কেউ আগ্রহী হবে না। যতদিন তোমরা এরদোয়ানদের ক্ষমতায় আনবা ততদিন আরো বেশি বেশি মানুষ ডানপন্থি হবে। এমন কি নিউজিল্যান্ডে এখন যারা মুসলমানদের পাশে আছে তাদের বেশির ভাগও দ্রুত তাদের মন পরিবর্তন করে ফেলবে। ভালোবাসা এক তরফা হয় না বন্ধু। তুরস্কের এরদোয়ান যেভাবে তার নির্বাচনী প্রচারণায় খ্রিস্টানদের দোষারোপ করছে, যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে- তোমাদের মধ্যে কেউ সেখানে একটা ডিম ছুড়ে মারতে পারো না তার মুখে? কেমন করে তোমরা নিজেদের প্রতি অন্যের ভালোবাসা আশা করো যখন তোমরা তাদেরই প্রতিনিয়ত দোষারোপ করে যাও?…

-হ্যালো… হ্যালো… লাইনে মনে হয় খুব ডিস্টার্ব… আচ্ছা তাইলে পরে ফোন দিয়ো, এখন কথা বুঝা যাচ্ছে না… এখন তাইলে রাখি…।