নবী ইবরাহীমের সাক্ষ্য, মসজিদে হত্যাকাণ্ডে আল্লাহ নিজেই হত্যাকারী।

নবী ইবরাহীমের সাক্ষ্য, মসজিদে হত্যাকাণ্ডে আল্লাহ নিজেই হত্যাকারী।

মূর্তির কোনো ক্ষমতা নাই, পৌত্তলিক মুশরিকদের ধর্মবিশ্বাস ভুল, মিথ্যা ও হাস্যকর প্রমাণ করতে ইবরাহীম ও মোহাম্মদ দ্বারা পৌত্তলিক মুশরিকদের উপাস্য মূর্তি ভাঙ্গা যদি অপরাধ না হয়, তবে ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা করে, মুসুল্লিদের হত্যা করে আল্লাহ বলে কেউ নেই তা প্রমাণ করে, মুসলমানের ইসলাম ধর্মবিশ্বাস ভুল, মিথ্যা ও হাস্যকর প্রমাণ করা ব্রেন্টন টারান্ট কেনো অপরাধী হবে?

মুমিন মুসলমানের প্রতি করা আল্লাহর ওয়াদা যদি বর্তমানেই মিথ্যাচার ও ভাঁওতাবাজি প্রমাণিত হয়, তবে মরার পরের ওয়াদাগুলি সত্যি হবে ভেবে মিথ্যাবাদী ভাঁওতাবাজ আল্লাহর উপর অন্ধবিশ্বাস অব্যাহত রেখে নামাজ-রোজা-হজ্ব অব্যাহত রাখা মূর্খতা ও বেকুবী মাত্র।

“হে ইব্রাহীম, তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার করেছ?  
৬৩. তিনি বললেন: না, এদের এই প্রধানই তো একাজ করেছে। অতএব তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তারা কথা বলতে পারে।” (কোরান – ২১:৬২-৬৩) 

“তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকার ও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না?” (কোরান – ২১:৬৬)

২১. সূরা আম্বিয়া (নবীগণ)
৫১. আর, আমি ইতিপূর্বে ইব্রাহীমকে তার সৎপন্থা দান করেছিলাম এবং আমি তার সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাতও ছিলাম।  
৫২. যখন তিনি তাঁর পিতা ও তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন: ‘এই মূর্তিগুলো কী, যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছ’?  
৫৩. তারা বলল: আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে এদের পুজা করতে দেখেছি।  
৫৪. তিনি বললেন: তোমরা প্রকাশ্য গোমরাহীতে আছ এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও।  
৫৫. তারা বলল: তুমি কি আমাদের কাছে সত্যসহ আগমন করেছ, না তুমি কৌতুক করছ?  
৫৬. তিনি বললেন: না, তিনিই তোমাদের পালনকর্তা যিনি নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের পালনকর্তা, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন; এবং আমি এই বিষয়েরই সাক্ষ্যদাতা।  
৫৭. আল্লাহর কসম, যখন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে যাবে, তখন আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যাপারে একটা ব্যবস্থা অবলম্বন করব।  
৫৮. অতঃপর তিনি সেগুলোকে চূর্ণ-বিচুর্ণ করে দিলেন ওদের প্রধানটি ব্যতীত; যাতে তারা তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করে।  
৫৯. তারা বলল: আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার কে করল? সে তো নিশ্চয়ই কোন জালিম।  
৬০. কতক লোকে বলল: আমরা এক যুবককে তাদের সম্পর্কে বিরূপ আলোচনা করতে শুনেছি; তাকে ইব্রাহীম বলা হয়।
৬১. তারা বলল: তাকে জনসমক্ষে উপস্থিত কর, যাতে তারা দেখে।  
৬২. তারা বলল: হে ইব্রাহীম, তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার করেছ?  
৬৩. তিনি বললেন: না, এদের এই প্রধানই তো একাজ করেছে। অতএব তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তারা কথা বলতে পারে।  
৬৪. অতঃপর মনে মনে চিন্তা করল এবং বলল: লোক সকল; তোমরাই বে-ইনসাফ।
৬৫. অতঃপর তারা ঝুঁকে গেল মস্তক নত করে : ‘তুমি তো জান যে, এরা কথা বলে না’। 
৬৬. তিনি বললেন: তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকার ও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না?  
৬৭. ধিক তোমাদের জন্যে এবং তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরই এবাদত কর, ওদের জন্যে। তোমরা কি বোঝ না? 
৬৮. তারা বলল: একে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও। 
৬৯. আমি বললাম: ‘হে অগ্নি, তুমি ইব্রাহীমের উপর শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।  
৭০. তারা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ফন্দি আঁটতে চাইল, অতঃপর আমি তাদেরকেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ করে দিলাম।