রোহিঙ্গা ও উট………….!!!!

রোহিঙ্গা ও উট
—————————
মরুভূমিতে দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম। রাত্রে আবার উল্টোটা। তাঁবুর মরুযাত্রী ঠাণ্ডায় কাঁপছে। এমন সময় পর্দা সরিয়ে মরুযাত্রীর উট তাঁবুর মধ্যে মাথা গলিয়ে বলল, “প্রভু, ঠাণ্ডায় আর বাঁচিনে, মাথাটা যদি তাঁবুর মধ্যে রাখার অনুমতি দেন, তাহলে বড় উপকার হয়। আমাদের এই মরুযাত্রীর দয়ার শরীর। ভাবল, মাথা রাখতে কতটুকুই-বা জায়গা লাগবে? ফলে উট তাঁবুর মধ্যে মাথা রাখার জায়গা পেল।
কিছুক্ষণ পর উট আবার বলল, “হে আমার মনিব, গলাটাও যদি তাঁবুর ভিতরে রাখতে দিতেন, তাহলে আরো উপকার হয়।”
মরুযাত্রী বলল, “নিশ্চয়। এ আর বেশি কথা কী!”
মনে মনে বলল, “আহা অবলা জীব, ঠাণ্ডায় না জানি কতই কষ্ট পাচ্ছে!”
রাত আরো গভীর হল। ঠাণ্ডা আরো বাড়ল। কথায় কথায় উটের কুঁজটাও তাবুর ভীতরে চলে এল। ঠাণ্ড আরেকটু বাড়তেই উট সম্পূর্ণ শরীরটাই তাঁবুর ভিতরে নিয়ে এল। মরুযাত্রী এবার বিরক্ত হয়ে বলল, “অনুমতি কেন নিলে না? ভদ্রতা শেখনি?”
উট বলল, “ঠাণ্ডার থেকে আমাকে রক্ষা করা আপনার কর্তব্য।”
মরুযাত্রী খেয়াল করল উটের ভাষায় আর আগের মত বিনয়ের ভাব নেই। সে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে উটকে জায়গা ছেড়ে দিল। উট এবার হুকুম করল, “এত ছোট তাঁবুতে দুজনে থাকা যায় না। তুই তোর কম্বলটা আমার গায়ে জড়িয়ে দিয়ে তাঁবুর বাইরে চলে যা। নইলে লাথি মেরে বের করে দেব।”
মরুযাত্রী এবার ভয় পেল। উটের আদেশ পালন করে তাঁবু ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে বসে ঠাণ্ডায় কাঁপতে লাগল। ঠাণ্ডাতে শেষ পর্যন্ত প্রাণটাই বেরিয়ে গেল তার!

******
এটা ঈশপের গল্প। তবে এখনও প্রাসঙ্গিক। রোহিঙ্গাদের প্রতি মমতাদিদি আর সেলিমদাদার দয়ার ঠেলায় পড়ে আমাদেরও ঐ মরুযাত্রীর মত বে-ঘর হয়ে বেঘোরে মরতে হবে না তো?

From @Prabir Majumder time line)