![](https://durmor.com/wp-content/uploads/2017/02/index.jpg)
কোন উৎসবের অপেক্ষা না করে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে পরিবারের সবার সঙ্গে উদ্যাপন করুন আপনার যা কিছু আছে কেবল সেটাই আপনি ভাগ করে নিতে পারেন। আপনি যদি চান আপনার পরিবারবর্গ সুখে থাক, সবার সঙ্গে মিলেমিশে আনন্দে থাক, তাহলে প্রথমে আপনাকে সুখী আর শান্তিমগ্ন হতে হবে।আর্ট অফ লিভিংয়ের বিভিন্ন বিশিষ্ট কর্মসূচী অনুসরণ করে, এর ক্ষমতাশালী শ্বাসের প্রক্রিয়া আর ব্যবহারিক জ্ঞানের মাধ্যমে সেই সুখের উৎসে পৌঁছবার গোপন রহস্যকে উদ্ঘাটন করুন।
আপনার আবেগকে ত্যাগ করুন, ভালোবাসাকে নয়
আবেগের ঝড়ের মুখে পড়ে আমরা এমন সব বাক্য উচ্চারণ করি বা এমন কাজ করি,
যার জন্যে পরে অনুতাপ করতে হয়। তার কারণ কি ভাবে রাগ, দুঃখ অথবা নেতিবাচক
আবেগকে সামলানো যায় সে কৌশল না আমাদের স্কুলে শেখানো হয়, না বাড়িতে৷
ঠিক এসব ক্ষেত্রেই আর্ট অফ লিভিংয়ের হ্যাপিনেস প্রোগ্রামে শেখানো
শ্বাসের প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মনের প্রতিটি
স্পন্দনের সঙ্গে আছে শ্বাসের একটি নির্দিষ্ট ছন্দ। তাই মনকে সোজাসুজি বশে
আনতে না পারলে, শ্বাসের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই মনকে বশ করা সম্ভব।
শ্বাসের ক্ষমতা জানতে পারলে আমাদের চি্ন্তাধারা আর অনুভবের উপর আমাদের
দখল জন্মায়, আর আমাদের ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ করে রাগ আর নেতিবাচক মনোভাবকে
দূর করতে পারি।
আর্ট অফ লিভিংয়ের হ্যাপিনেস প্রোগ্রামে শেখানো সুদর্শন ক্রিয়া
নিয়মিত ভাবে অভ্যাস করলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি নেতিবাচক আবেগের প্রকোপ
মুক্ত হতে পারবেন, ঘন ঘন রাগ হওয়াটা কমে যাবে আর মানসিক চাপ অনেকটাই কমে
যাবে। যে কোনো পরিস্থিতিকে মেনে নেবার ক্ষমতা বেড়ে যাবে। যে কোনো
পরিস্থিতিতে অসহিষ্ণু না হয়ে, প্রতিক্রিয়াশীল না হয়ে প্রতিবেদনশীল মনোভাব
নিয়ে যথার্থ যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন।
সারাজীবন ভালোবাসাকে সতেজ ও চিরস্হায়ী করে রাখার জন্যে আপনাকে প্রাথমিক
আকর্ষণের মোহ আর ঘন ঘন আবেগের পরিবর্তনকে অতিক্রম করে যেতে হবে। আবেগের যে
কোনো ধরনের ওঠাপড়া হোক না কেন সব অবস্হায় প্রিয়জনদের সাথে জীবনকে উপভোগ
করার ক্ষমতা আপনারা অর্জন করুন৷
সংযোগের ফাটল ভরাট করুন
“আমি সত্যি ওকথাটা বলতে চাইনি, তুমি কেন বুঝতে পারছ না?”
মনের মধ্যে চাপ থাকলে চিন্তাধারা, বাক্য আর আচরণের মধ্যে নিশ্চিতভাবে এক ফাঁক তৈরি হয়।
যখন মন চাপমুক্ত থাকে কেবল তখনই পরিষ্কার ভাবে সবকিছু দেখা যায়, বোঝা
যায়। মুখের কথা মনের ভাবকে সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারে আর আচরণ সৌজন্যপূর্ণ
হয়ে ওঠে৷
অব্যক্তকে আরো ভালো করে ব্যক্ত করুন
একটি বীজ যেমন মাটির উপর ছড়িয়ে দিলে অঙ্কুরিত হয় না, আবার মাটির খুব
বেশী গভীরে পুঁতে দিলেও অঙ্কুরিত হয় না- সেটিকে মাটির সামান্য গভীরে পুঁততে
হয়, যাতে সেটি অঙ্কুরিত হয়ে চারাগাছে পরিণত হয়।
ঠিক একই ভাবে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে একটি পরিমিতি বোধ থাকা জরুরী, আর
ধ্যানাভ্যাসে সেই পরিমিত প্রকাশ স্বচ্ছন্দভাবে হয়ে থাকে। আর্ট অফ লিভিংয়ের
হ্যাপিনেস প্রোগ্রামে শেখানো পদ্ধতিগুলোর নিয়মিত অভ্যাস আপনাকে নিশ্চিন্ত
হতে আর চাপমুক্ত হতে সাহায্য করবে, শুধু তাই নয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের
প্রতি আপনি আরো বেশী সজাগ আর সংবেদনশীল হয়ে উঠবেন, আর এতে খুব সহজেই
নিজেকে আরো ভালোভাবে ব্যক্ত করতে পারবেন, আর আপনি কাউকে যা বোঝাতে চান, সে
তা ঠিক ঠিক বুঝতে পারবে। আপনার বাড়িতে শান্তি, ভালোবাসা আর সুখের তরঙ্গ এনে
দেবার জন্য পদক্ষেপ নিন।
একটি সুখী মন আপনাকে শান্ত করে তুললে, আপনি আরো ভালো সিদ্ধান্ত নিতে
সক্ষম হবেন, আর আপনার জীবনযাত্রার মান সামগ্রিকভাবে আরো উন্নত হয়ে উঠবে।
নীচে রাখা ফর্মটি ভর্তি করুন আর সুখের স্রোত কিভাবে আপনার জীবনকে উজ্জীবিত
করে তুলতে পারে তার শিক্ষা গ্রহণ করুন৷
সুস্থ স্বাভাবিক থাকার পরও যেন মানসিকভাবে শান্তি পান না অনেকে। সুখী
হতে পারেন না। কিন্তু শান্তি বিষয়টি যে একেবারে মনের একটি ব্যাপার এটি কেউই
বুঝতে চাননা। কেউই বোঝেন না যে আপনি যদি মনের দিক থেকে সন্তুষ্ট থাকেন
তাহলেই আপনি শান্তি পাবেন, সুখী হবেন।
পরিবারের সদস্যরা কাল্পনিক কোনো মোহে আকৃষ্ট না হয়ে বাস্তবতাকে মেনে
মানসিকভাবে সন্তুষ্ট থাকেন। কেবল তখনই ফ্যামিলিটি একটি হ্যাপি ফ্যামিলিতে
পরিণত হয়। আসুন জেনে নিই হ্যাপি ফ্যামিলি হওয়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস
সম্পর্কে।
১. একটি ফ্যামিলিতে বেশিরভাগ সময় যে বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্টি তৈরি হয় তা
হল টাকা বা আর্থিক অবস্থা। ফ্যামিলির প্রতিটি মানুষেরই এটা চিন্তা করা উচিত
যে ঈশ্বর যা দিয়েছেন তাই অনেক বেশি কিছু। তাহলে দেখবেন আপনি মানসিকভাবে
প্রশান্তি পাবেন এবং আপনার ফ্যামিলিটিও সুখী হবে।
২. আপনি একজন ফ্যামিলির সদস্য হয়ে কোনো মোহে আকৃষ্ট না হয়ে বাস্তবতাকে মেনে নিন এবং সুখী থাকার চেষ্টা করুন।
৩. মানসিক চিন্তা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি যদি
সবসময় ভাবেন যে আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী একজন মানুষ এবং আপনার পরিবার একটি
সুখী পরিবার। এতে করে আপনার মনে কোনো পঙ্কিলতা থাকবে না এবং আপনার পরিবার
সত্যিই হ্যাপি ফ্যামিলিতে পরিণত হবে।
৪. আপনি সন্তানের বাবা মা হিসেবে সন্তানকেও মানসিকভাবে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দিন।
৫. সবসময় ভালো কাজ করার চেষ্টা করুন। এতে মন ভালো থাকবে এবং আপনি
মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকবেন। এর ফলে আপনার পুরো পরিবারটিই প্রফুল্ল থাকবে।
৬. সুখী পরিবার হতে গেলে নিজের ছোট্ট স্বার্থ ত্যাগ করে সবাইকে সহযোগিতা করুন।
৭. ভালোবাসুন এবং ভালোবাসুন। একটি সুখী পরিবার হতে গেলে ছেলেমেয়েকে
ভালোবাসুন, বাবা মাকে ভালোবাসুন, ভাইবোনকে ভালোবাসুন সর্বোপরি সমস্ত
আত্মীয়স্বজননকে ভালোবাসুন।
- অদ্বৈত তত্ত্বের প্রতিষ্ঠা আদি শঙ্কর………………
- “সত্যার্থ প্রকাশ” দয়ানন্দ সরস্বতী প্রণীত অমর গ্রন্…
- ন্যায়দর্শন মহর্ষি গৌতম (গোতম বা অক্ষপাদ) এর প্রবর…
- বেদভিত্তিক ছয়টি ভারতীয় দর্শন ষড়দর্শন…………..
- গঙ্গেশোপাধ্যায় নব্যন্যায়ের প্রবর্তক……………
- বিপ্লবী গুপ্ত, দীনেশচন্দ্র……………………..
- বাংলার লোকসাহিত্য………………………………
- প্রজ্ঞার কাছে শ্রদ্ধায় অবনত সারা বিশ্ব……………
- ব্যক্তিত্বের বিকাশ