আকবর দ্যা গ্রেট (প্রকৃত ইতিহাস) : [সপ্তম পর্ব]
(শেয়ার অবশ্যই করবেন)
পূর্বের পর…
নবী মোহাম্মদের অনুসারী নৃশংস খুনি জেহাদি আকবরঃ
…ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ আকবরের নতুন নতুন উদ্ভাবনী কৌশলে অত্যাচার করে খুন করার একটি তালিকা বানিয়েছেন।…সেই তালিকাতে আরও রয়েছে যেমন, ঝুলিয়ে হত্যা করা, হাত কাটা, শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা, বেত্রাঘাত করা, গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা, গর্তে ফেলে পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে হত্যা করা ইত্যাদি।
…এই ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য কারো কোন লিখিত হুকুমের প্রয়োজন পরতো না এবং বিচারের রায় দেয়া হত শুধু মাত্র শরিয়তি নিয়মে শান্তির উৎস কোরানের আয়াত অনুসরণের মাধ্যমে।
…২রা সেপ্টেম্বর ১৫৭৩ সালে আকবর রনথম্ভোর এবং কালিঞ্জর দখল করতে গুজরাট আক্রমণ করেন।…এতিমাদ খান ও তার হিন্দু-আফগান সেনাকে হারিয়ে যুদ্ধ জয়ের পর আকবরের নির্দেশে আহমেদাবাদে ২০,০০০ এর বেশী শত্রু সৈন্য এবং হিন্দু সাধারন মানুষের কাটা মস্তক দিয়ে একটি স্তম্ভ বানানো হয়েছিল।
…এটিই ছিল সম্ভবত সুন্নি জেহাদি মুসলিমদের সর্বোচ্চ কাটা মস্তকের তৈরী পিলার, যা পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছিল (এর আগের রেকর্ডটি ছিল তার পিতামহ বাবরের।…[Eraly, Abraham (2000). Emperors of the Peacock Throne: The Saga of the Great Mughals. Penguin Books India. page no. 143–147]।…হালফিলের ISIS নেতা আবু বকর আল বাগদাদিও যদি তা দেখতেন হয়তো তার হৃদয়ও তা দেখে কেঁপে উঠত।
…আকবরের আদেশানুসারে, ১২ই জুলাই ১৫৭৬ এ রাজমহলের যুদ্ধের পর বাংলার শাসক দাউদ খানকে যখন পরাজিত করা হয় তখন মোঘল সেনার কাছে আটটি উঁচু স্তম্ভ তৈরী করার মত যথেষ্ট কাটা মস্তক ছিল।…এটিও একটি নতুন রেকর্ড করেছিল।…বাংলার ছোট আরও দুই অঞ্চলের শাসক জুনেইদ খান এবং কতলু খান এই যুদ্ধে দাউদকে সাহায্য করেছিল।…তাদের জবাই করার আগে যখন মৃত্যু আসন্ন দাউদ খান একটু জল চেয়েছিল, আকবরের নির্দেশে তাকে জুতার মধ্যে করে জল দেয়া হয়েছিল। [আকবরনামা-আবুল ফজল]
আকবরের ন্যায়পরায়ণতার বোধঃ
…আবুল ফজলের বর্ণনার, থানেশ্বরে একটি জায়গার মালিকানা নিয়ে কুরু ও পুরি এই দুই হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ ছিল।…আকবর তাদের হুকুম দিয়ে লড়াই করতে বলে এবং ঘোষণা করে যে, বিজয়ী দল এই জায়গার মালিকানা পাবে।…নির্বোধ দুই হিন্দু সম্প্রদায় আকবরের কথায় লড়াই করে পরস্পরকে হত্যা করতে থাকে।…যখন পুরির দল লড়াইয়ে প্রাধান্য বিস্তার করছিল তখন আকবর তার সৈন্যদের হুকুম দিলেন কুরুর দলে যোগ দিতে।…পরিশেষে দুই দলই আকবর সৈনিকদের হাতে নিহত হয়।…আকবর পরে হিন্দুদের নির্বুদ্ধিতায় অট্টহাসিতে মেতে ওঠে।
…হলদিঘাটির যুদ্ধের সময় আকবর সিদ্ধান্ত নেয় যে মোঘল সেনার রাজপুত সেনারা, রানা প্রতাপের রাজপুত সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।…তুমুল যুদ্ধ চলাকালীন আকবরের সেনাপতি বাদায়ুনি তাকে জিজ্ঞেস করে কিভাবে রানা প্রতাপের সৈন্যদল থেকে মোঘল রাজপুত সৈন্য পৃথক ভাবে চিহ্নিত করা যাবে যখন কামান দাগা হবে ?…আকবর জবাবে বলে সেটা জানার কোন প্রয়োজন নেই কারন এতে করে যেই মরুক না কেন আখেরে রাজপুতরাই মারা যাবে এবং ইসলাম লাভবান হবে।
(চলবে)
( – Writankar Das – )