কমলি সোরেন: ধর্মান্তরিতদের হিন্দুদের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কমলি সোরেন একমাত্র অপরাধ? দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিকের সম্মান পেতে চলেছেন মালদহের গুরুমা।
স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন তিনি। আর এই কথা চাউর হতেই সারা মালদহ জুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে।স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান তাদের জেলা থেকে এই প্রথম।
ছোটবেলা থেকেই নানা রকম অসুখ বিসুখ এর কবলে পড়েন তিনি, তাই মা বাবা ঝক্কি সামলাতে না পেরে তাকে সেই আশ্রমেই রেখে যান। হয়তো তুমি পড়াশোনা বেশি দূর করতে পারেননি, কিন্তু আশ্রমের পরিবেশের কারণেই ধর্মের প্রতি একটা ভালবাসা জন্মেছে তার। আশ্রম থেকেই ধর্ম জ্ঞান লাভ করেন তিনি ও দীক্ষা নেন। হিন্দু ধর্মের মহত্ত্ব মানুষের মধ্যে সঞ্চার করা তার প্রধান কাজ।
গুরুমার প্রধান কাজ যারা চাপে পড়ে বা বাধ্য হয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছে তাদের হিন্দু ধর্মের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনাই একমাত্র লক্ষ্য। অনেক আদিবাসী খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছে, এমনকি অনেক হিন্দু মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তাদের ফের হিন্দুধর্ম ফিরিয়ে আনাটাই গুরুমার প্রধান কাজ।
জীবনের প্রথম দিকে তিনি বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন ও মানুষের চাল-চলন ধর্ম সম্পর্কীয় আচরণ লক্ষ্য করতেন। তিনি লক্ষ্য করতেন কাদের বাড়িতে তুলসী গাছ রয়েছে, না থাকলে তিনি নিজে দিয়ে বসিয়ে দিতেন। তবে তিনি কঠিন সময়েও তাদের পাশে থেকেছেন। তাদের সাহায্য করেছেন।
2020 প্রথম দিকে বর্তমান তৃনমূল সরকারে কিছু সঙ্গপাঙ্গ একটি বিতর্কে তৈরি করে কমলিনীকে নিয়ে। তিনি ঐ সময় হিন্দু থেকে কিছু খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত আদিবাসী মেয়েদের পুনরায় হিন্দুধর্মে ফিরিযে আনার জন্য গণবিবাহের আয়োজন করেন। আর সেই থেকেই তিনাকে বিতর্ক নিয়ে আসে বর্তমান পশ্চিম বঙ্গের সরকারী দল।
মজার বিষয় এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চুপ থাকে নাই , মুখ্যমন্ত্রী তিনার এই কাজকে বিজেপি নোংরা রাজনীতি বলতেও ছাড়েনি,মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য ‘‘তিনি মানুষের আবেগ নিয়ে খেলছে। মালদহের আদিবাসী মেয়েদের জোর করে বিয়ে দিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
আমরা হয়তো গরিব হতে পারি কিন্তু আমাদের নিজের আত্মসম্মানবোধ রয়েছে। তাই এবার থেকে রাজ্য সরকার নিজেই গণবিবাহের আয়োজন করবে।’’