MCC আইডিয়াটা কেমন বন্ধুরা? ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ভাবনাটি অমূলক?

আমি একটা জিনিস বুঝি না, জাতিসংঘ থাকার পরও কেবলমাত্র মুসলিম দেশগুলি নিয়ে ওআইসি যদি থাকতে পারে, রেডক্রসের মত সেবা সংগঠনকে যদি মুসলিম দেশে খৎনা করে ‘রেডক্রিসেন্ট’ নাম নিতে হয় তাহলে মুসলিম দেশগুলি নিজেদের জন্য আলাদা ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন গঠন করছে না? যেমন হতে পারে ‘মুসলিম ক্রিকেট কাউন্সিল’ (MCC)! মুসলিম ক্রিকেটারদের ফিক্সিনের মত অপরাধকে এরা ঢেকে রাখার চেষ্টা করবে। মুসলিম দেশের ক্রিকেটের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে এই কাউন্সিল থেকে প্রতিবাদ করা হবে। আপাতত সদস্য রাষ্ট্র হবে- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্থান। ভবিষ্যতে ইংলেন্ডকে সংখ্যার দিক দিয়ে মুসলিমরা বেশি হয়ে গেলে MCC-তে জয়েন করানো হবে। যাই হোক, মুসলমানরা যদি ‘ইসলামী ব্যাংক’ ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ ‘মুসলিম অভিনেতা’ ‘মুসলিম খেলোয়ার’ ‘মুসলিম লেখক’ এরকম কিছুকে সাম্প্রদায়িক মনে না করে তাহলে আশা করি MCC আইডিয়াকে কেউ চুলকানি অনুভব করবেন না। ওআইসি এবং রেডক্রিসেন্টের উদাহরণ তো দিলামই। এবার তাই কথা না বাড়িয়ে MCC গঠনের উদ্দেশ্য কি হতে পারে তা বলেই কথা শেষ করা যাক-

MCC দাবী সমূহ: রমজান মাসে সব ধরণের ক্রিকেট খেলা বন্ধ রাখা। আপাতত তা সম্ভব না হলে দিনের বেলা মাঠের মধ্যে রমজানের সন্মার্থে পানি পান করা যাবে না। এই নিয়ম অমুসলিম ক্রিকেটারদেরও মান্য করতে হবে। মুসলিম ক্রিকেটার বেড়ে গেলো এই দাবীগুলো আইসিসিকে মানতে চাপ দেয়া হবে। এভাবেই আস্তে আস্তে মুসলিম সংখ্যা বেড়ে গেলে আইসিসিকে বাদ করে MCC-ই ক্রিকেট পরিচালনা করবে। তখন টেস্ট ক্রিকেটে লাঞ্চ ব্রেকের বদলে ‘জোহরের ব্রেক’, টি-ব্রেকের বদলে ‘আসর ব্রেক’ চালু হবে। রাতের ম্যাচে মাগরিব, এশার বিরতি বাধ্যতামূলক করা হবে। এতে করে মুশফিকের মত মুমিনের নামাজকালাম কাজা হবার কোন চান্স থাকবে না। তবে কাফেরদের এখনো পাধান্য বেশি থাকায় আইসিসিতে থেকেই MCC তাদের দাবীগুলো জানাতে থাকবে ধারাবাহিকভাবে। যেমন টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ‘চিয়ার্স লেডি’ নিষিদ্ধ করতে হবে মুমিন ক্রিকেটারদের ঈমানআকিদা ঠিক রাখার জন্য। এছাড়া মাঠে নারী দর্শকদের পর্দার সঙ্গে আসা নিয়ম করতে হবে। সবশেষ, যতই ক্রিকেটার হও, মনে রাখবে তুমি মুসলমান, তোমাকে ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে কাফেরদের মধ্যে। ইউসুফ ইয়োহান্নাকে মোহাম্মদ ইউসুফ বানিয়ে দিয়েছিলো পাকি ক্রিকেটাররা তাদের ইসলাম প্রচারে। বাংলাদেশের সৌম্য-লিটনদের দ্বিনের দাওয়াত দিতে হবে প্রকাশ্যে। মঈন আলী, হাশিম আমলাদের দায়িত্ব তাদের কাফের টিমে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেয়া। MCC আরো একটি দায়িত্ব নিবে- ‘অমুসলিম ক্রিকেট টিমের’ মুসলিম ক্রিকেটারদের মাইগ্রেট করে ‘মুসলিম ক্রিকেট টিমে চলে আসার আহ্বান জানানো হবে।…

MCC আইডিয়াটা কেমন বন্ধুরা? ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ভাবনাটি অমূলক?