পাইলগাঁও জমিদার বাড়ি ।
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও গ্রাম।
এই গ্রামে বাস করতেন বাবু ব্রজনাথ চৌধুরী।
ব্রজনাথ চৌধুরীর সন্তান রসময় চৌধুরী, অার সূখময় চৌধুরী।
রায়বাহাদুর সূখময় চৌধুরী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট, দায়িত্ব পালন করেছেন সিলেটের অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে, ছিলেন সিলেট মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান।
১৯১৯ সালে তিনি পাইলগাঁও গ্রামে তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠা করেন ব্রজনাথ হাইস্কুল যা সংক্ষেপে বি এন হাইস্কুল নামে পরিচিত।
স্কুলটি প্রথম থেকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত ছিলো।
স্কুলে ছিল একটি উন্নতমানের ছাত্রাবাস।
তাই এলাকায় স্কুলটি তখনই বোর্ডিং স্কুল নামে পরিচিতি লাভ করে।
রায় বাহাদুর ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ছিলেন রসময় চৌধুরীর ছেলে, সূখময় চৌধুরীর ভাতিজা ও ব্রজনাথ চৌধুরীর নাতি।
ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ. বি, এল।
তিনি ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের নেতা, তৎকালীন বৃহত্তর সিলেট জেলা কংগ্রেসের সভাপতি, এবং অবিভক্ত আসামের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য।
সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়ায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তার পিতার নামে রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়।
তাদের সিলেট শহরের বাড়িটি ছিল চৌহাট্রায়।
এই বাড়িতেই প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট মহিলা কলেজ।
তাদের পরিবারের সবাই এখন কলকাতা এবং আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
বাংলাদেশে তাদের কেউই নেই।
রয়েছে জমিদার বাড়ির প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ।
রয়ে গেছে জমিদারীর ভূ-সম্পত্তি।
জমিদার বংশের শেষ জমিদার ব্রজেন্দ্রনারায়ন চৌধুরী মৃত্যু বরন করেন ১৯৭২ সালে।
*** ইদানীং অনেকে জগন্নাথপুরের ইতিহাস লিখেন,
অথচ সেই ইতিহাসে থাকেনা রায়বাহাদুর সূখময় চৌধূরী, রায় বাহাদুর ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধূরীর।