পরিবারটি ছিল কাশেমের নিকটতম প্রতিবেশী। বন্ধুর মতো।

১৯৪৬ সালের অক্টোবরের ১২ তারিখে নোয়াখালীর রাইপুর থানার অন্তর্গত শায়েস্তাগঞ্জের চিত্তরঞ্জন দত্ত রায়চৌধুরীর বাড়িতে একদল জিহাদী মুসলমান হামলা করে। তিনি তার পরিবারের সকল সদস্যদেরকে বাড়ির ছাদে তুলে দেন এবং নিজে ছাদ থেকে একটি বৃটিশ রাইফেল দিয়ে গুলি করে আত্মরক্ষার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেন; কিন্তু সশস্ত্র মুসলমানদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি অপরদিকে তাঁর গোলা বারুদ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি প্রতিরোধের জন্য মুসলমানদের উপর জল কামান ব্যবহার করেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ইসলামিক অসম্মান থেকে বাঁচতে তিনি তাঁর বৃদ্ধ মা এবং বাচ্চাদেরকে নিজ হাতে গুলি করেন এবং সব শেষে নিজে আত্মহত্যা করেন। রামগঞ্জ পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন সোমপাড়া বাজারের কাছে গোপাইরবাগে দাস পরিবারের উপর কাশেমের নিজস্ব বাহিনী আক্রমণ করে। দাস পরিবার ছিল কাশেমের নিকটতম প্রতিবেশী। বন্ধুর মতো। মুসলমান জিহাদী বাহিনী দাস পরিবারের ১৯ জন সদস্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। হত্যার পূর্বে বাড়ির নারীদের ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ধর্ষণ করা হয়। রামগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন নোয়াখোলা গ্রামের চৌধুরী পরিবারের উপর হামলা চালায় বর্বর মুসলমানরা। মুসলমানরা উন্মত্তের মতো হত্যার তাণ্ডব চালায়, লুটপাট করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই বাড়ির মোট ৮ জন পুরুষ সদস্যের সবাইকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। বাড়ির মহিলাদের গনিমতের মাল হিসাবে টেনে হিঁচড়ে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় ঘর থেকে বের করে প্রকাশ্য দিবালোকে সাধারণ মুসলমানদের সম্মুখে দেখিয়ে দেখিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।

*প্রশ্ন হচ্ছে, এখন নোয়াখালী দাঙ্গার এত বছর পরে পশ্চিম বাংলায় কতজন হিন্দুর বাড়িতে কয়টি রাইফেল আছে? জিহাদী মুসলমানদের সামনে কতক্ষণ টিকতে পারবেন বলে আপনার মনে হয়?

Collected Post from the Wall of fb friend রেজাউল মানিক