ইতিহাসের দানব…………..!!!

ইতিহাসের দানব
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

*** এই লেখা লেখক কতৃক সর্বসংরক্ষিত। শেয়ার করা যেতে পারে কিন্তু লেখকের নাম অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। অনত্র্য প্রকাশ করতে হলে আগেই অনুমতি নিতে হবে। বিনা অনুমতিতে কোথাও আমার লেখা প্রকাশিত করলে এবারে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেবো। আমার লেখা অনত্র্য প্রকাশ হচ্ছে এবং বই মেলায় বিক্রিও হয়েছে। সেটা অনুচিত)

                                    **********

কবে এই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হয়ে ছিলো সেটা স্থির করার দ্বায়িত্ব যারা ইতিহাস ভালোবাসেন তাদের কাজ নয়। ইতিহাস প্রেমিকদের কাজ মানুষ যবে থেকে গুহা ছেড়ে প্রকৃতির বুকে চোখ মেলে তাকালো, আস্তে আস্তে নুইয়ে পড়া ন্যুব্জ শরীর টাকে সোজা করে দাঁড়িয়ে চলতে শুরু করলো। তারা দেখা পেলো পথ চলতি আরো একই ধরনের প্রাকৃতিক প্রানী যাদের কোনো বোধগম্য ভাষা ছিলো না। অন্য প্রানীদের মতোই কিচির মিচির করে কি সব বলতো। চেহারায় সাদৃশ্য থাকায় বুঝলো ওরা আমার ই মতো। ধীরে ধীরে সখ্যতা হলো,হয়তো বা এক সংগে মিলে মিশে দু পা হাটলো, বিশ্রাম নিলো, পশু শিকার করে কাচা খেলো। ওদের কেউ একজন হঠাৎ আগুন আবিষ্কার করে ফেললো। আগুন দেখে প্রথমে ভীতি হলো।পরে দেখলো ওদের আর ঠান্ডা লাগছে না। তার পর বুঝলো ওই আগুনে মাংস গুলো একটু ঝলসে নিলে খেতে ভালো লাগে।

উদর পুর্তির ব্যাবস্থার পর পরই এসে দাড়ালো আদিম প্রবৃত্তির অমোধ পীড়ন-যৌন নিবৃত্তি। সেই সঙ্গে চিন্তা এসে দাড়ালো এতো লোকে এক সংগে চললে শিকার পাওয়া যাবে কোথায়?? উদর পুর্তি হবে কি করে ? শুরু হলো ‘গোষ্টি তন্ত্র’। পাশাপাশি গুহা থেকে বেরিয়ে আসা এবং একই রকম’কিচির মিচির ভাষা” বলা লোক গুলো ভাগ হয়ে গেলো এক এক দলে। যার মাথায় একটু বুদ্ধি বেশী আছে তাকে “গোষ্টী প্রধান’ করে শুরু হলো অন্য গোষ্টির সংগে প্রতিযোগিতা। অঞ্চল দখলের প্রতিযোগিতার সংগে সঙ্গী দখলের প্রতিযোগীতা। এই দুই প্রতিযোগীতা ধীরে ধীরে পরিনত হলো মানব গোষ্টি গুলোর মধ্যে এক তীব্র রেষারেষি মুলক অমানুষের খেলা ।সেই খেলার নাম যুদ্ধ। মানুষের সেই আদিম  খেলা আজো সমানে চলছে সারা পৃথীবী জুড়ে।

অঞ্চল কে বলা হলো রাজ্য—নিজ নিজ রাজ্য। যুদ্ধ বাজদের মধ্যে যে সব চেয়ে বুদ্ধিমান এবং শারীরিক ক্ষমতায় তুলনা মুলক ভাবে গোষ্টির অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে রইলো তিনি হলেন “রাজা” বাকি রা অর্থ্যাত তার সমর্থক রা হোলো তার প্রজা। প্রজারা তাদের জান মাল রক্ষার দ্বায়িত্ব দিলো রাজাকে। সেই কাজের জন্য তাকে দেওয়া হতো নজরানা। এই নজরানার নাম ‘কর’।

কালে কালে এক এক রাজ্যে এলেন নানা বুদ্ধিমানের দল। তারা নানা ভালোকথা বলতে শুরু করলেন। মানূষের মনের গহনে যে ‘পাপ বোধ’ কাজ করে তাদের প্রতিদিনের গর্হিত কাজ করার জন্য, সেই পাপ বোধকে কাজে লাগিয়ে এবং মানুষের মনের মধ্যে, অন্তরের মধ্যে “আরো পাবার’ যে লোভ কাজ করে, সেই লোভকে ভাঙ্গিয়ে, সর্বশক্তিমানের কোপের দোহাই দিয়ে নানা ধার্মিক তত্ব তৈরী করে ফেললো। সেই ধর্মের বেড়াজালে পড়ে অগুনতি মানুষ ধোকা খেলো, ফুলে ফেপে উঠলো ধর্ম গুরুদের খাজানা আর তাদের লালষার পুর্তির ব্যাবস্থা হলো। মানুষকে মানুষের কথা বলা হলো না। বলা হলো শুধু নিজেদের কথা, নিজের মতো করে। যারা সাধারন মানুষের কথা, তাদের শুভবুদ্ধির উদয়ের কথা বলেছেন এবং মানূষকে মানুষের কথা বলে গেলেন তারা হয়ে গেলেন ব্রাত্য। তাদের কথা ধীরে ধীরে চলে গেলো অবলুপ্তির গভীর খাদে। সেই থেকে মানুষ আর মানুষ রইলো না। রাজারা, ধর্ম গুরুরা এক একজন হলেন এক একটি দানব।

সেই এক একজন দানবের কাহিনী। যা লিপিবদ্ধ করা আছে ইতিহাসের পাতায়, সেই সত্য ইতিহাস ঘাটা ঘাটি করে সকলের জন্য তৈরী করেছি “ইতিহাসের দানব” দের কাহিনী। (আমার লেখার সোর্স জিজ্ঞাষা করলে বলা মুশকিল হবে। নানা লেখা পড়ে যা পেয়েছি তাই তুলে ধরছি। কারো পছন্দ না হলে বা দ্বীমত থাকলে আমার এই লেখা পড়ার দরকার নেই বা মতান্তর সৃষ্টি করার দরকার নেই।)

“History is little more than the register of the crime, follies and misfortune of the mankind”—Edward Gibbon

ইতিহাস আমাদের কি দিতে পারে? ঘটে যাওয়া বিগত দিনের কথা থেকে আমাদের সাবধান করে দিতে পারে।বিগত দিনের ঘটনার নায়ক এবং খল নায়ক দের কীর্তি কলাপ এবং তার ফল থেকে আমরা খুজে নিতে পারি আমাদের সামাজিক দ্বায় দ্বায়িত্ব,সহনশীলতা, ভদ্রতা অভদ্রতার মধ্যকার পার্থক্য, সাহসিকতা, এই সব গুনাবলী, যা আমাদের মানব সমাজের ভিত্তি বলে পরিগনিত হতে পারে। আমরা ইতিহাসের নায়কদের মতো সাহসী হবার চেষ্টা করতে পারি এবং সেই সংগে খল নায়কদের কৃত কর্মের পরিনতি থেকে ‘ সাবধান বানী এবং ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নিতে পারি”। ইতিহাস আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত কর্ম পন্থা ঠিক করে দিতে পারে, যদি আমরা সত্য ইতিহাস জানতে পারি।।

কিন্তু সত্য ইতিহাস জানা মুশকিল। কারন যারা ইতিহাস লেখেন বা লিখেছেন তাদের মধ্যে খুম বেশী লেখক নিজের তাগিদে, মুক্ত চিন্তা বা মুক্ত মন নিয়ে ইতিহাস লেখেন না।  বিশেষ করে শাসক শ্রেনীর একটিই কাজ। নিজেদের নিয়ে আকাশ কুসুম লেখার জন্য বেতন ভুক লেখক নিযুক্ত করা। এরা তাদের প্রভু যা বলেন যেমন বলেন, লেখক ঠিক তাই লিখে রেখে যান।  মানুষের অতীত নিয়ে,  সত্য গবেষনা করে খুব কম লেখা পাওয়া যায়।  হিন্দুদের পৌরানিক কথা নানা গল্পের আকারে কল্প কথায় পর্য বসিত। খ্রীষ্টানদের বাইবেল লেখা শুরু হয় যীশুর অন্তর্ধানের বহু বছর পর, লেখেন সেন্ট পল। বাইবেলের “ওল্ড টেষ্টামেন্ট”, যা কিনা সেই সময় কার মানুষের ইতিহাস বলে মানা হয়, তার একটি শব্দও যীশুর লেখা নয়। ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা নবী মোহাম্মদ লেখা পড়াই জানতেন না, তা লিখবেন কি করে ? তাই সত্য ইতিহাস জানা খুব মুশকিল। জন মিল্টন তার ‘প্যারাডাইস লস্ট’ এ যতোই চেষ্টা করুন না কেনো, ‘শয়তান’ সেই শয়তানই থেকে গেছে।

ইতিহাসে আজ আমরা যাদের নায়ক বলে মনে করি,তাদের মধ্যে অনেকেই আসলে ‘এক একটি দানব’। এরা অনেক গুনাবলী নিয়েই জন্মেছিলেন। কিন্তু সেই গুনা বলী মানব কল্যানের চেয়েও মানব সংহার বেশী করেছে। মানুষের সাম্প্রতিক ইতিহাসে, মানুষের অসভ্যতার , নিষ্ঠুরতার এবং মানসিক বিকৃতির প্রকৃষ্ট উদারন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের আদেশে ৬ মিলিয়ন ইহুদীকে হত্যা করা। আফ্রিকার কঙ্গো, রুয়ান্ডাতে যে কয়েক মিলিয়নকে মেরে সেখানকার শাসকেরা আজ নায়ক সেজে বসে আছেন তা আমরা ক’জন স্বীকার করি ? নামিবিয়াতে যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সেই দেশের কম্যুনিষ্ট শাসক রা মারলো, তারা আজ কম্যুনিষ্ট দুনিয়ায় নায়ক। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮০ সাল অবধি ‘কম্বোডিয়া’র কম্যুনিষ্ট শাসক ‘পল পট’ যে কয়েক মিলিয়ন কম্বোডিয়ান কে মারলো তাদের মাথার খুলি রাখা আছে এক ১৭ তলা গম্বুজের মধ্যে। নম পেন শহরের ঠিক মাঝখানে একটি হায়ার সেকেন্ডারী বিদ্যালয় কে পল পট তার বিরোধিদের অত্যাচার করার জন্য ব্যাবহার করেছিলো, সেটি একবার গিয়ে দেখে আসুন (লেখক বেশ কয়েকবার সেই মাথার খুলির ছবি পোষ্ট করেছেন ফেসবুকে)। পল পট কিন্তু একজন ভালো মানুষ হিসাবে কম্যুনিষ্ট দুনিয়ায় স্বীকৃত।

ক্রুশেডের সময় খ্রীষ্টানেরা যে ৯০০০০ আর্মেনিয়ানকে মেরে ছিলো তাই নিয়ে হিটলারের কি মন্তব্য শুনবেন ? নিজের অপকর্ম কে মান্যতা দেবার জন্য তার মন্তব্য, “ আর্মেনিয়ার কথা আজ আর কে মনে রাখে ? মানুষ সব ভুলে যায়”। স্ট্যালিন ৩০ মিলিয়ন রাশিয়ানকে মেরে ছিলো। তার সপক্ষে যুক্তি কি, তা শুনলে শিউরে ঊঠবেন,–“ একজন মানুষ মারা যাওয়া দুঃখ জনক ঘটনা, কিন্তু কয়েক মিলিয়ন মারা গেলে সেটা শধুমাত্র একটি পরিসংখ্যান হয়ে দাঁড়ায়”। একেবারে মোক্ষম আপ্ত্য বাক্য।  মাও-জে দং প্রায় ৭০ মিলিয়ন (৭ কোটি) চাইনিজ কে মেরে আজো চীনে এবং বাম পন্থী দুনিয়ায় ‘মহানায়ক/পথ প্রদর্শক’ হয়ে বসে আছে।

একটু পিছনে চলুন। রাস্তা ঘাটে ‘পিজেরো’ নামে যে জিপ গাড়িতে বসে ধনী ব্যাক্তিরা যাতায়াত করেন তারা কি জানেন ‘পিজেরো’ কে ছিলো, কি করেছে ? এই স্পেনীয় দস্যু, সারা ল্যাতিন আমেরিকায়, পেরু ,ইকুয়েডোর, মেক্সিকোতে মিলিয়ন মিলিয়ন “আদিবাসী” কে মেরে স্পেনীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। পেরুবাসী আজ এক হতাশাগ্রস্থ জাতি–ডিপ্রেসড (লেখকের ‘দেবতাদের দেশে’ পড়ুন)। ক্যারিবিয়ন নামে যে দ্বীপ পুঞ্জ আজ ‘ওয়েষ্ট ইন্ডিজ’ বলে পরিচিত সেই ‘ক্যারিবিয়নে’ আজ ক’জন “ক্যারিব” জাতি আছে ??? মাত্র কয়েক হাজার (লেখক নিজে সেই দেশে ২০ বছর কাটিয়ে এসেছেন)। স্পেন আর ব্রিটিশ মিলে তাদের মেরে কেটে শেষ করে দিয়েছে। এই সব মৃত্যু লীলার দানবেরা আজ তাদের নিজ নিজ দেশে ‘নায়ক’ হিসাবে পরিচিত। যারা এই সব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, তারা সবাই ‘বিদ্রোহী’ হিসাবে সাজা পেয়ে আজ ইতিহাসের দুর্গম খাদে পড়ে রয়েছেন।।

চেঙ্গীজ খান এক বিশাল সাম্রাজ্য তৈরী করেছিলো। সেই সব অঞ্চলে চেঙ্গীজ যাবার আগে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন মানুষ বাস করতো। চেঙ্গীজের দেশ দখল শেষে সেই সংখ্যা এসে দাড়ালো ১৩ মিলিয়নে। অথচ ,মঙ্গোলিয়াতে যান, দেখবেন সেখানকার মানুষ আজ চেঙ্গীজকে কি ভাবে নায়কের মর্য্যাদা দেয়।। তৈমুর লং সমরখন্দের প্রাচীন হিন্দু আদিবাসী দের মেরে তাদের মাথার খুলি একটি মিনারের মধ্যে ভরে রেখে দিয়ে গেছে। সেই মিনার আজো বিদ্যমান (এর ছবিও লেখক আগে বেশ কয়েকবার পোষ্ট করেছেন-দেখে নিন ফেসবুকে)। সমরখন্দে তৈমুর একজন ‘মহানায়ক’। আমাদের ভারতেও, আজো, নিজের ছেলের নাম রাখে “তৈমুর”।। এই তৈমুর ই দিল্লীতে একদিনে ১০০০০০ হিন্দুকে মেরে ছিলো। এ ছাড়া মধ্য যুগে আরো কতো কতো খল নায়ক এসেছে। মানুষ মেরেছে, রক্ত নিয়ে খেলা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। তাদের অনেকেই আজ “নায়ক”।

৬২২ সাল থেকে যে ‘জেহাদী’ তান্ডব আজো অবধি সারা পৃথিবীতে চলছে,তার ফলে কতো মিলিয়ন (প্রায় এক বিলিয়ন হবে বলে মনে হয়। এক বিলিয়ন হচ্ছে একশো কোটি) আজ অবধি প্রান দিয়েছে এবং দিয়ে চলেছে। কে সেই হিসাব দেবে। তলোয়ার দিয়ে ভালোবাসা বা শান্তি কোনোটাই হয় না। যা হয় তা হলো মৃত্যু, রক্তপাত। তলোয়ারের মুখে “শান্তি’ স্থাপন করা যায় না। আজ কে হিসাব দেবে, সামান্য এক আরবী শহর থেকে শুরু করে বিগত ১৫০০ বছর ধরে, একে একে উত্তর আফ্রিকা,পুর্ব ইউরোপের দেশ গুলোতে,মিশর, ইরান ইরাক (মেসোপটেমিয়া) ,আফগানিস্থান এবং আমাদের ভারতবর্ষে কতো মানুষ মারা গেছে?? কতো মহিলা ধর্ষিত হয়েছে এবং আজো হয়ে চলেছে ??? ধর্মের নামে এই মানুষ মারার খেলা, অপরের ধন অপহরন, নারী নির্যাতন আজ নতুন নয়। যীশুর আমলেও হয়েছে, আরবে সে খেলা আরো পরিশিলীত আকার পেয়েছে এবং আজো চলছে, ধর্মের মোড়কে । (অতি সাম্প্রতিক উদাহরন কে এক—‘রাম রহিম’। তার নাকি ৫ কোটি শিষ্য !!!!!!! )।

মানুষ মারার খেলায় যারা পারদর্শিতা দেখিয়েছে তারাই ইতিহাসের পাতায় ‘নায়ক’। কেউ কেউ আবার ধর্ম গুরু, রাজা, রাজনৈতিক নেতা, সমাজ তত্ববিদ, সমাজ সংষ্কারক, শাসকদের পরামর্শ দাতা।  এরা নিজেরা নিজের হাতে যতো টা করেছে তার চেয়েও হাজারো গুনে করেছে তাদের শিষ্য সামন্তরা এবং সহায়করা। এদের মানুষ ভোলানোর কৌশল খুব ভালো ভাবে রপ্ত করা থাকে। এদের কথায়, বক্তৃতায় মানুষ মুগ্ধ হয়, বিবেক বুদ্ধি লুপ্ত মানুষগুলো এদের পিছনে ছোটে সম্মোহিত হয়ে।  এই সব তথাকথিত ‘নায়ক’দের নির্দেশেই ‘সম্মোহিত’ সাধারন মানুষগুলো অস্ত্র শস্ত্র হাতে নেমে পড়ে মানুষ মারতে, লুট করতে, নারীদের ধর্ষন করতে।। অনেক ঐতিহাসিকের মতে বা তাদের মতাদর্শীদের (শিষ্যদের) কাছে এরা নায়ক হতে পারে, আমার ভাষায় এরা এক একটি  “দানব”। একটি মানুষের ও ক্ষতি যারা করে ‘কায়-মন-বাক্যে’, সে যেই হোক বা যে কারনেই হোক, তারা আমার কাছে ‘দানব বা দানবী”।। 

এই দানব দানবীদের ধ্বংস করতে যুগে যুগে এই ধরা ধামে আসতে হয়, সৃষ্টি কর্তাকে। মানুষের বেশে, মানুষের মধ্যে। যুদ্ধ বাজদের সঙ্গে যুদ্ধ ও করতে হয়, যোদ্ধার রথ ও চালাতে হয়।।