নবীর মুত একবার খেলে জীবনে আর পেটের অসুখ হবে না!

নবীর মুত একবার খেলে জীবনে আর পেটের অসুখ হবে না! নবী মুহাম্মদ কেবল উটের মুত খেতেই উপদেশ দেননি, নিজের (নবীর) মুত খেলে সারা জীবন তার উম্মতদের পেটের অসুখ হবে না বলে দাবী করেছিলেন। হাদিসে আছে, ‘হযরত উম্মে আয়মন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাত্রিতে ঘুম মোবারক থেকে উঠে ঘরের পাশ্বে একটি মাটির পাত্রে পেশাব মোবারক করলেন। আমি রাত্রে ঘুম থেকে উঠে খুব তৃষ্ণার্তবোধ করলাম। অতঃপর মাটির পাত্রে যা ছিল তা পান করে নিলাম। পাত্রে কী ছিল আমি মোটেই অবগত নই। তার পর প্রত্যুষে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সম্বোধন করে বললেন হে উম্মে আয়মন! ঘুম থেকে উঠো এবং মাটির পাত্রে যা আছে তা ফেলে দাও। অতঃপর আমি বললাম নিশ্চয় আল্লাহর কসম মাটির পাত্রে যা কিছু ছিল তা আমি পান করে ফেলেছি। তিনি (উম্মে আয়মন) বলেন তৎক্ষণাৎ আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন এমনকি তাঁর প্রান্তসীমার দাঁত মোবারক প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আল্লাহর হাবীব বললেন, আল্লাহর কসম তোমার পেটে কখনো পীড়া হবে না (আল্লামা কাসতালানী লিখিত গ্রন্থ মাওয়াহিবে লাদুনিয়া, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৮৪-২৮৫)।

একই হাদিস ইংরেজি অনুবাদও দিয়ে দিলাম- Tabarani said: Hussain bin Is’haq al-Tustari informed us, who was informed by Uthman bin Abi Shaybah, who was informed by Shababah bin Sawwar, who was informed by Abu Malik al-Nakha’i who narrated from Aswad bin Qays, who narrated from Nubayh al-Anazi, who narrated from Umm Ayman, who said: ‘‘One night the Prophet got up and went to a side to urinate in the bowl. During the night, I rose and was thirsty so I drank whatever was in it and I did not even realize what it was. In the morning, He said, ‘Oh Umm Ayman! Throw away whatever is in the bowl’. I replied, ‘I drank what was in the bowl’. He thereafter smiled as such that His teeth appeared and said, ‘Beware! You will never have stomach pain’ (Tabarani Kabir 20740, Mustadrak al-Hakim 6912, Dalail al-Nubuwwah li-Isfahani 355).

যারা বাংলা ইংরেজি হাদিসকে সন্দেহ করেন তাদের জন্য আরবীটাও দিয়ে দেয়া হলো- عن ام ايمن قالت قام رسول الله صلى الله عليه وسلم من الليل الى فخارة فى جانب البيت فبال فيها فقمت من الليل وانا عطشا نة فشربت ما فيها وانالا اشعر فلما اصبح النبى صلى الله عليه وسلم قال يا ام ايمن قومى فاهريقى ما فى تلك الفخارة فقلت قد والله شربت ما فيها قالت فضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى بدت نواجذه ثم قال أما والله لاييجعن بطنك ابدا.

জানি এবার হাদিসের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। তবে সে আশাতেও গুড়েবালি! সমস্ত বিজ্ঞ ইমাম হাদিসগুলোকে সহি বলে রায় দিয়েছেন। আল্লামা কাজি আয়াজ তার প্রসিদ্ধ কিতাব ‘আশ শিফা’ প্রথম খন্ডের ৬৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার পেশাব মোবারক জনৈক মহিলা কর্তৃক পান করা সংক্রান্ত অনুরূপ আরো হাদিস বর্ণিত আছে। জনৈক মহিলা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার পেশাব মোবারক পান করলে আল্লাহর হাবীব এ মহিলাকে বললেন, তোমার কষ্মিনকালেও কোন ব্যাধি হবে না।’ আল্লাহর হাবীব তাদের কাউকে (যারা রক্ত মোবারক ও পেশাব মোবারক পান করলো) মুখ ধৌত করারও নির্দেশ প্রদান করেননি এবং পূনরায় পান করতেও নিষেধ করেননি। (আল্লামা কাজী আয়াজ বলেন) মহিলা কর্তৃক নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পেশাব মোবারক পান সংক্রান্ত হাদিস সহীহ বা বিশুদ্ধ। দারুল কুতনী ইমাম মুসলিমকে মৃদু অভিযুক্ত করেছেন আর ইমাম বোখারী (রা.) এর বর্ণনাকে সহীহর মধ্যে গণ্য করেছেন। সে মহিলার নাম ছিল বারাকা (যিনি উম্মূল মো’মিনিন হযরত উম্মে হাবিবার সাথে আবিসিনিয়া থেকে এসেছিলেন) আর কেউ কেউ বলেছেন, তার নাম ছিল উম্মে আয়মন’।

এই হচ্ছে ইসলামী শিক্ষা! বিশ্বাসী হিন্দুরা খায় গরুর মুত আর মুসলমান খায় উটের মুত! তাদের নবী বেঁচে থাকলে লাইন ধরে তার মুতও এরা খেয়ে ফেলত! ধর্মের নৈতিক শিক্ষা শুদ্ধতা পবিত্রতা বলতে কত রকমের গালভরা কথা আমরা শুনি। অথচ কুৎসিত রকমের প্রথা আর বিশ্বাস ধর্মগুলোর পরতে পরতে রয়ে গেছে। সেদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশে ‘ইসলামী সংস্কৃতি’ চর্চা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। তো এই হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতির ছোট এক পিস! যৌনদাসী আর গণিমতের মাল নিয়ে নবী তার জামাতাদের মধ্যে নিজ হাতে যেভাবে নারী বন্টন করে দিতেন সে প্রসঙ্গ না হয় এই লেখায় আর না-ই বা লিখলাম…।