সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি মানে কি?

সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি মানে কি? মানে এই সম্প্রীতিটা অবশ্যই সাম্প্রদায়ীক হতে হবে। অর্থাৎ সম্প্রীতিটা অসাম্প্রদায়ীক হলে চলবেনা, সাম্প্রদায়ীকই হতে হবে। শ্রীমান সেকুলার  দুর্বুদ্ধিজীবীদের মাথা থেকে এই সাম্প্রদায়ীক শব্দটা এসে থাকে। ইনারা নামে সেকুলার অর্থাৎ অসাম্প্রদায়ীক, কিন্তু সম্প্রীতির জায়গায় মোটেও অসাম্প্রদায়ীক হোক তা চান না, চান সেটা সাম্প্রদায়ীক হোক- সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি! এই সম্প্রীতির একটা বৈশিষ্ট্য হলো, সেখানে সম্প্রদায় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে, আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের মধ্যেই সম্প্রীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। মানে হিন্দুরা গিয়ে দুর্গাপূজো করলো শুনলে তারা বলবেন চল হাট এটা সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি হলো কি করে। তারা দেখবেন হিন্দুরা ইদে গেলো কিনা, ইফতারে দোয়া পড়লো কিনা। করেছে? মাসসাল্লাহ- সাম্প্রদায়ীক কি সম্প্রীতি! আচ্ছা, সেটা নাহয় করা গেলো, হিন্দুদের আপত্তি নেই। কিন্তু এর উল্টেটা হলো কিনা তা তারা ভুলেও দেখবেন না। আর উল্টোটা হবেও না এনশাল্লাহ। মুসলিমদের তো দুর্গাপূজায় আসাই কোরানে নিষেধ,  এটাকে বলে শিরক। কেউ যদি এই শিরক করে, তাহলে সে মুসলিম না, মুনাফিক।
এই কথাগুলো আমার নয়, সোজা কোরানে উল্লেখ আছে। মুর্তিপূজা নিয়ে এমন বিধ্বংসী কথা আছে যে তার অনুসারীগণের পক্ষে একই সাথে সেটা মেনে আবার সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি রক্ষা করাই সম্ভব না। হয় এটা নাহয় ওটা ছাড়তে হবে। প্রকৃত কোরান অনুসারীর পক্ষে এই টাইপের সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি হজম করা বদহজমের সামিল।

মুসলমান শব্দের মানে হলো আল্লাহর ইচ্ছায় যে নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পিত করে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা কি, সেটা জানতে হবে। জিহাদ ইসলামের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য, উল্লেখ আছে কোরানে। আল্লাহ চান সব মানুষ তাদের নিজের ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে যাক। প্রতিটি মুসলমানও তাই চান। এটা তাদের মনের কথা। একারণে যেকোনো ভাবে ছলে বলে কলে কৌশলে কোনো অমুসলমানকে মুসলমান বানানোটাও জিহাদের মধ্যে পড়ে। এর মানে শুধু যে যুদ্ধ করতে হবে তা না। একটা মুসলমান ছেলে যদি একটা হিন্দু মেয়েকে বিবাহ করে মুসলমান বানাতে পারে, সেটাও জিহাদ। এতে অনেক হিন্দু দুর্বুদ্ধিজীবীরা হাহা করে উঠতে পারেন, বলতে পারেন মেয়েটা ভালবেসেই বিয়ে করেছে। এখানে কনভার্ট করানোর কোনো ফাঁঁদ নেই, প্রেমের জয় হউক। কিন্তু তখন সেই বুদ্ধিজীবীকে বুঝিয়ে বলতে হয়,
ভালবাসা কতটুকু ছিলো বা সত্যিই ছিলো  কি না তার জন্য একটা লিটমাস পরীক্ষাই যথেষ্ট। শুধু একবার সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির অবতার প্রেমোগুরু সেই মুসলিম যুবকটিকে বলুন একবার মেয়েটিকে বিবাহ করতে উল্টো নিজেই হিন্দু হয়ে যেতে। তখন প্রেমোগুরুর স্বরূপে আবির্ভাব ঘটে যাবে। তিনি কিছুতেই রাজী হবেন না। চাইলে তিনি বিবাহ ত্যাগ করতে পারেন, ভালবাসা ত্যাগ করতে পারেন কিন্তু জান্নাতের হুরপরীকে নয়। ওহ হ্যাঁ, জানিয়ে রাখি- হিন্দু মেয়েটিকে বিবাহ করে মুসলমান (আসলে আগে মুসলমান বানিয়ে পরে বিবাহ। কারণ বিধর্মীকে বিয়ে কোরানে নাযায়েজ। তাই আগে মেয়েটিকে ইসলাম কবুল করাতে হবে, পরে বিয়ে কবুল করাতে হবে- এই হলো অফিসিয়াল প্রসেস) বানাতে পারে, তাহলে তার জন্য আছে বিরাট কমিশনঃ নিশ্চিত জান্নাত। কাজেই আপনার কাছে ভালবাসা প্রমাণ করতে গিয়ে সে কিছুতেই জান্নাতের বাহাত্তরটা হুরভোগ হাতছাড়া করবে না। এই হলো ভালবাসা। এটাকে অস্বীকার করারই উপায় নেই।

সর্বশেষে বলি ইসলামিক সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি নিয়ে।
মুসলমানরাও যে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রাতি চান না তা ঠিক নয়, তারাও চান। তারা সম্প্রীতি বলতে বোঝেন সবাই এক হয়ে যাক। তবে সেটার একটা প্রসেস আছে, একটা অ্যালগরিদম আছে। বলি-

১. সব মুসলমান মুসলমানই থাকুক সেটা চাওয়া
২. সব অমুসলমানও মুসলমান হয়ে যাক সেটা চাওয়া

প্রসেসে ভুল নাই। সবাই এক হয়ে যাক সেটাই চাচ্ছেন তারা।  কিন্তু সবাইকে হতে হবে মুসলমান। আহা, কি সম্প্রীতিরে বাবা! একেবারে সহি ইসলামিক সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি 😉

ধর্মান্তরের প্রচেষ্টার রকমফের দেখলে যথেষ্ট বিনোদিত হতে হয়। ধর্মের বিজ্ঞাপণের ডায়ালগ শুনলে মনে হয় সিনেমা হিট। কিন্তু সমস্ত কিছুই ফ্লপ খেয়ে যায় যদি কোনো বিজ্ঞাপণ দর্শক অমুসলমান একবার তার নিজের ভাষায় কোরানটি পড়ে ফেলে। এটা এমনই ফ্লপ খায় যে অনেক সময় মুসলমানকেও দেখা যায় কোরান পড়ার পরই লজ্জায় কান লাল করে ইসলাম ত্যাগ করে দিতে। আমারই পরিচিত অনেক মুসলমান বন্ধু কোরান বাংলায় পড়ে মানে বুঝে শেষে ইসলাম ত্যাগ করেছেন। অবশ্য সেকথা প্রকাশ্যে বলার মত পরিবেশ এ সোনার বাংলাদেশে নেই। সুদূর ভবিষ্যতে হবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন সবাই সচেতন হয়ে একবার হলেও কোরান খুলে দেখবে, বোঝার চেষ্টা করবে ঠিক কি লেখা আছে এতে।

অতএব হে কাফের, আজই স্বেচ্ছায় নিজের মাতৃভাষায় কোরান পড়ে ফেলুন। নয়ত একদিন সেই কোরানই আপনাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কালেমা পড়িয়ে মাথায় টুপি দিয়ে শিশ্ন কর্তন করিয়ে আরবীতে পড়তে হবে। সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করবেন না। আগে থেকেই সতর্ক হোন। আজই বাংলায় কোরান পড়ুন।