"১৯৬৪ সালে খুলনার দাঙ্গা কেনো ঘটানো হয়েছিলো???"

“১৯৬৪ সালে খুলনার দাঙ্গা কেনো ঘটানো হয়েছিলো???”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

১৯৬৪ সালের ৩রা জানুয়ারী, খুলনা থেকে শুরু করেহিন্দু নিধন যজ্ঞ কেনো হয়েছিলো??”  কোনোদিন ভেবেছেন কি????? না ভেবে থাকলে এখন ভাবতে শুরু করুন।

খুলনা জেলা আজ বাংলা দেশে। এর মুল কারন ঘৃন্য রাজনিতী এবং ভৌগলিক। মুর্শিদাবাদ যদি পাকিস্তানে যেতো তাহলে গঙ্গা নদী যেখানে ভাগিরথী এবং পদ্মা হয়ে বিভক্ত হয়েছেন সেই জায়গার দখল পাকিস্তানের হাতে চলে যেতো। আর আজ যেমন চীন বলছে আমাদের ব্রহ্মপুত্রের জল দেবেনা তেমনি আমাদের ভাগিরথীকে ওরা শুকিয়ে দিতো। আজ কিন্তু ওরা পদ্মার জলের জন্য আমাদের হাত পা ধরছে। তাছাড়া দক্ষিন বংগ উত্তর বংগ থেকে একেবারে সরু একটু জায়গা দিয়ে যুক্ত থাকতো। আজো যেটুকু আছে তাই নিয়ে ওরা গন্ডোগোল পাকাচ্ছে। চীন,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ এই তিন দেশ চায় মুল ভারতের থেকে উত্তর বাঙ্গলা এবং উত্তর পুর্ব ভারত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক। এটা করতে পারলে ভারতের ঐ অংশ নিয়ে আর একটা কাশ্মীর বানানো যাবে। দেশ ভাগের সময় খুলনায় ৫২% হিন্দু ছিলো এবং ৩ দিন ভারতের পতাকা উড়েছিলো। আমাদের গ্রামে আমার বাবা সেই পতাকা তুলেছিলেন। ম্যজিষ্ট্রেট ও চলে গিয়েছিলেন। সুতরাং ১৯৬৪ সালের দাঙ্গা খুলনা দিয়েই শুরু করা হয়েছিলো। মুল উদ্দেশ্য ছিলো পুর্ব পাকিস্তান কে হিন্দু সংখ্যা লঘু করা আর তা করতে হলে ‘নিধন যজ্ঞ ” করতে হবে। এটাই আসল কারন।

দাঙ্গা শুরু করেছিলো খুলনায়,ছড়িয়েছিলো সারা পুর্ব পাকিস্তানে। মৃত কয়েক লক্ষ। ঘর ছাড়া “আহাম্মুখ উদবাস্তু” দেড় কোটি ( আমি তো মাত্র একজন)। হিন্দুর সংখ্যা ৪ কোটি থেকে নেমে এসে দাড়ালো আজ ৮০ লক্ষ। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী আজ প্রায় আরো দেড় কোটি। “রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী” দের না এনে বসাতে পারলে এখান থেকে আবার হিন্দুদের উদবাস্তু কি করে করা যাবে ? অর্থ্যাত পশ্চিম বঙ্গকে  এবং বাংলাদেশ নিয়ে “বাংলা” (সেই পুরোনো বাংলা প্রদেশ ) এক স্বাধীন ইসলামিক রাষ্ট্র কি ভাবে বানানো যাবে?) নাম পরিবর্তন করে বাংলা দেওয়ার মুল কারন ও তো সেই একই। পাকিস্তান তৈরী হওয়ার অনেক আগেই ইকবাল ‘পাকিস্তান” নাম দিয়েছিলেন। ভুলে গেছেন ???? এতো সহজে আপনারা ভোলেন বলেই তো আজ এই অবস্থা।

ঠিক এই কারনেই, ওবাবার বিদেশ মন্ত্রী (হিলারী ক্লিন্টন)  ভারত সফরে এসে আর কোনো রাজ্যে  না গিয়ে আমাদের এই পশ্চিম বংগে কেনো আসেন? শিকাগো তে বাস করা  এক ইহুদী  (বিদেশী গোয়েন্দা) বাংলাদেশী হিন্দুদের জন্য মায়াকান্না কেঁদে পদ্মার জলের পরিমান বাড়ান এবং আমাদের এখানে এক অতি হিন্দু নেতার সংগে গলাগলি করেন??

আজ, বেশ কিছু বিদেশী শক্তি, (পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশ- অতি অবশ্যই আরো কিছু আন্তর্জাতিক শক্তির মদতে ) এবং আমাদের পশ্চিম বংগের কিছু উচ্চ স্তরের রাজনিতীক এই সুদুর প্রসারী চক্রান্তের সংগে যুক্ত। ভাববেন না একবারের জন্যও, সে যেই হোক,বাংলাদেশে বাকী ৮০ লক্ষ হিন্দুদের বাচানোর কেউ আছে। আমার বাবাদের প্রজন্ম এই সাধারন একটি শব্দ কোনোদিন বোঝেন নি । সেই শব্দ টি হলো “জিহাদ”। আমি আমার সারা জীবন দিয়ে ,ভূগে ভূগে আজ বুঝেছি। বাবা তাই হিরো থেকে হয়েছিলেন “০”। সেই জন্যই আজ দার্জিলিং জ্বলছে। কারো ভুলে নয়, ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা মাফিক ???

পরিকল্পনা চলছে সেই কতো কাল থেকে। আমার তো তখন ছোট বেলা। সেই পরিকল্পনা আজ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। রোহিঙ্গারা (যাদের জন্য শান্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও অতিষ্ঠ হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে) না  এলে রাস্তায় নেমে মারামারি করার লোক কোথায় পাওয়া যাবে????

দাঙ্গা বাধাবে ওরা, দোষ পড়বে হিন্দুদের। এই সত্য আজ অকাঠ্য হয়ে দাড়িয়েছে।

আর এই সবের আসল কারন ?????? জানেন না???? বাংলাদেশের দক্ষিন তৃতীয়াংশ তেলের  ওপরে ভাসছে। ওই তেল চাই ।তাই না????

আমার তো আর বেশী দিন বাকী নেই। ঈশ্বরের কাছে রোজ প্রার্থনা করি একটাই। এই জীবনে দুই বার “আহাম্মক উদ্বাস্তু” বানিয়ো না। তার আগেই যেনো এই ‘মানুষ নামে একটি জঘন্য প্রানী থেকে পরজন্মে পাখী হয়ে জন্মানোর ব্যাবস্থাটা পাকা করে দিয়ো। সারা জীবন বিদেশীদের ঠেলা গুতো খেয়ে জীবনের শেষ ১০ টি বছরের জন্য (সেই আশা মনে আছে) আমার পুরানো হাবড়ায় একটি বাড়ি করেছি। সেই বারী থেকে আবার কোথায় যাবো??? আমেরিকায় ??? ছেলেমেয়ের কাছে??? সেই ইচ্ছা নেই। আমাকে এই ভারতেই মরতে দিও ঈশ্বর।

ভরসা শধু দুজন। ওই যে কে একটা লোক আছে , কি নাম যেনো? হ্যা, অজিত দোভাল। মাথায় আমার মতো টাক থাকলেও লোকটি আমার মতো বোকা নয়, মাথায় প্রচুর বুদ্ধি। আর তার দেওয়া বুদ্ধি মন দিয়ে শোনা এবং সেই মতো কৌশল তৈরী করার মতো কে একজন “মুদি”- খানার দোকানদার আছে না???? ওপরে ঈশ্বর আর নীচে ওই দুই জন।