আজান নিয়ে আপনাদের নাস্তিকদের এত চুলকানি কেন?

আজান নিয়ে আপনাদের নাস্তিকদের এত চুলকানি কেন? দৈনিক ৫ বার যে আহ্বান আল্লাহ আমাদের উচ্চস্বরে দিতে বলেছে সেটা শুনতে ভাল না লাগলে কান হাত দিয়া থাকেন… ইত্যাদি ইত্যাদি বলে শেষে একটু গালি। ইনবক্সে এরকম ম্যাসেজ পেয়ে জবাব দিলাম-

আজান তো কুরআন হাদিসের কোথাও নেই। এই যে আজানের আহ্বান- ‘নামাজের জন্য এসো, কল্যাণের জন্য এসো’ এটা তো জিব্রাইল এসে মুহাম্মদকে শিখিয়ে যায়নি। মুহাম্মদ স্বপ্নযোগেও আজান পায়নি। সীরাত থেকে জানা যায় একজন সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে যায়িদ স্বপ্নে আজানের লাইনগুলো পেয়েছিলেন। ইসলাম মতে নবীর স্বপ্নও ওহি হিসেবে বিবেচিত হবে। জিব্রাইল একমাত্র প্রফেটদের কাছেই আসেন। তাহলে সাধারণ একজন সাহাবীর স্বপ্ন থেকে পাওয়া গানের কলি কি করে ইসলামের আজানে রূপ পেলো? আজানের আহ্বান তাহলে কার?

সীরাতের কাহিনী অনুযায়ী, মদিনায় নিজেদের শক্ত অবস্থান নেয়ার পর মুহাম্মদ নামাজের জন্য মুসল্লিদের ডাকার একটা কৌশল খুঁজছিলেন। ইহুদীরা নামাজের জন্য শিঙ্গা ফুকত। প্রথমে ইহুদীদের অনুরূপ সিঙ্গা ফুকার কথা চিন্তা করলেও পরে সেটা মুহাম্মদ পরিত্যাগ করেন। তারপর ঘন্টা বাজিয়ে ডাকার কথা ভাবা হয়। এরকম সময়ই আবদুল্লাহ ইবনে যায়িদ কথিত তার স্বপ্নে পাওয়া আজানের লাইন নিয়ে এসে মুহাম্মদকে শোনান। মুসলমানরা কুরআন হাদিস ছাড়া আর কোন দলিল গ্রহণ করে না। তারা নিশ্চিত হতে চায় কুরআন হাদিস থেকে মুহাম্মদের দ্বারা আল্লার তরফ থেকে এসেছে কিনা। এক্ষেত্রে মুহাম্মদ নিজে আজানের বাণী বানিয়ে নিলেও কথা ছিলো না। আবদুল্লাহ ইবনে যায়িদের স্বপ্ন থেকে প্রাপ্ত কথামালা কিংবা তারই বানানো লিরিক কেন মুসলমানরা দিনে ৫ বার আবৃত্তি করতে যাবে? এই আজান তো জিব্রাইল নিয়ে আসেনি? তাছাড়া ইসলামে এত বড় বড় চরিত্র থাকতে আল্লা কিনা কোথাকার কোন যায়িদকে বেছে নিলেন আজানে শেখানোর জন্য! জিব্রাইলকে দিয়ে সরাসরি কেন মুহাম্মদের কাছে পাঠালেন না? যে আজান দিনে ৫ বার আবৃত্তি করা হবে সেই জিনিস স্বপ্নে পাওয়া মলমের মত আনঅথেনটিক সোর্স থেকেই বা কেন আল্লাহ গ্রহণ করলেন? ইসলাম বিশ্বাসী ধার্মীক ভাইরা বিষয়টি একবার ভেবে দেখবেন…।

(সূত্র: সীরাতে ইবনে হিশাম, অনুবাদ: আকরাম ফারুক, পৃষ্ঠা ১৪৪, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত)।

Scroll to Top