১৯৪৭সালে কেন হাজার হাজার মাইল পরেও পূর্ব পাকিস্তান হয়েছিল জানেন কি?

কারন, পূর্ব পাকিস্তান ভারতের মধ্যে দেওয়াল তুলে দিয়েছে। শুধু তাই নয় পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় ১০কোটি মুসলমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যে ঢুকে পড়েছে। বাংলাদেশ নামধারী দেশ আসলে মিনি পাকিস্তান!!
হিন্দুরা স্বীকার না করলেও মুসলমান ভাইয়েরা ঠিকই স্বীকার করে। এই বাংলাদেশের জনসংখ্যা সারা বিশ্বজুড়ে প্রায় অর্ধশত কোটি!! অবাক হবেন নাহ্!! পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানে বাঙ্গালী মুসলমান নেই!! এরা সবচেয়ে বেশি ঢুকে পড়েছে ভারতে!! এর কারন হল আবার ভারতকে কয়েক টুকরা করে নিবে। সেজন্যই এদের জনসংখ্যা ভারতে প্রতি সেকেন্ড এ ৫টা মুসলমান,৩টা হিন্দু ও অনান্য ১জন করে বৃদ্ধি তে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিনাযুদ্ধে জনসংখ্যা বাড়িয়ে একদিকে ভারত দখল করছে, অন্যদিকে ঐ এলাকা গুলো থেকে হিন্দুশূন্য করে ফেলছে।
ভারতে আর বাংলাদেশী মুসলমান না ঢুকলেও কোন সমস্যা নেই। কারন সারা ভারত জুড়ে যত মুসলমান ঢুকেছে আজ তারা ৩০% এ দাঁড়িয়ে। এখন কিছুদিন মানবতার গান গাইবে মুসলমানেরা, তারপর এভাবে ৫০% হয়ে গেলে গৃহযুদ্ধ বাঁধলে হিন্দুরা কখনই মুসলমানের সাথে পারবে নাহ্!! তার কারন অনেক রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কারন হল হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ নেই, আর কবজিতে শক্তি খুবই কম।
একটা মুসলমান আর তিন টা হিন্দুর সমান শক্তি সম্পূর্ণ ক্ষমতা রাখে।
রাজনৈতিক ভাবে হিন্দুরা প্রতাপশালী। তাই এসব ব্যাপারে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই আর থাকারও কথা নয়। এভাবে হাজার হাজার বছর কেটে গেলেও ১৯৪৭সালের ভূল থেকেও এই ৭০বছরেও তাদের মানসিকতার কোন পরিবর্তন হয় নি। বরং হিন্দুরা মুসলমানের মধ্যে থেকে সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলেছে। স্নান কে গোসল, জল কে পানি বলার মত হাজারটে উদাহরণ। তাছাড়া হিন্দুরা ভোটের জন্য মুসলমানদের বেশি বেশি বাচ্চা পয়দা করে নিতো!! তার বড় প্রমান হল তারা মুসলমানের ভোটে বারবার ক্ষমতাই এসে তাদের বছরে বছরে হাজার হাজার মসজিদ, মাদ্রাসা, দরবার শরিফ করে দেয়। ভারতবর্ষ জুড়ে কয়েক হাজার ইতিহাসে যত কোটি মন্দির স্থাপিত হয়েছে, মাত্র কম সময়ে ভারতে তারচেয়ে শতগুণ বেশি মসজিদ গড়ে উঠেছে। আজ ভারতীয়দের আযানের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে!!
শুধু তাই নয়। ভারতের মুসলমানদের মধ্যে যে ঐক্য আছে তারা অনায়াসে যেকোন রাজ্য স্বাধীন করার ক্ষমতা রাখে। কয়েকদিন আগে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রায় ১০লক্ষ ভারতীয় মুসলমান রাস্তায় নেমে যে অবরোধ দেখিয়েছিল তা ভূলে যাবেন নাহ্। অথচ দেখবেন নাসিরনগর বা রংপুরের হিন্দু বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় হাজার জনকেও প্রতিবাদ করতে দেখতে পাবেন নাহ্!!
এখানেই শেষ নয়। ইতিহাসে আরও অনেক আছে। ১৯৪৬সালে ১৯অক্টোবর কোজাগরী লক্ষী পূঁজার দিন অনেকেই বলে দেড় লক্ষ হিন্দুদের গণহত্যা ও ধর্ষণ করা হয়েছিল। আমি বলবো, প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ছিল। কারন সেটা সারা পূর্ববঙ্গে গণহত্যা হয়েছিল!! তখনও কিন্তু ভারত নিরব ছিল গান্ধীবাদের জন্য!!
আজ ভারত একটু জেগেছে। তবে সেটা যদি রাজনৈতিক ভাবে হয় তাহলে সেই জাগার কোন দাম নেই। কারন, আর প্রতিবাদ করার পর্যান্ত সময় ভারতের নেই। যদি প্রতিরোধ না করে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ভারত হিন্দুস্থান নয় বৃহত্তর পাকিস্তানের জন্ম হবে!! #ইমি_ভট্টাচার্য