জাতির জনক গান্ধী দেশবাসীকে অনবরত ধাপ্পা দিয়ে গিয়েছিলেন এই বলে- ‘দেশ ভাগ হবে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে’! দেশ ভাগ হয়ে গেল কিন্তু গান্ধীবুড়ো বেঁচে রইলো। যখন পাকিস্তানব্যাপী অসংখ্য হিন্দু শিখ নারী ধর্ষিতা হচ্ছিল বাপু মৌনীবাবা হয়ে বসে রইল। যখন লাখে লাখে আবাল বৃদ্ধ বনিতা মুসলমানদের তরবারিতে দ্বিখণ্ডিত হলো তখনও নির্বিকার!
অথচ ইতিহাসের মহান ব্যক্তিত্ব মোহনচাঁদ করমচাঁদ বুড়ো বয়সেও রাত্রিবেলা যুবতীদের নিয়ে উলঙ্গ হয়ে একই বিছানায় শয়ন করতেন! না না, আঁতকে উঠবেন না, মহান জাতির জনকের কীর্তিতে! তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডঃ সুশীলা নায়ার এবং গান্ধীবুড়োকে নোয়াখালীতে কি অবস্থায় দেখে তার তামিল ব্রাহ্মণ স্টেনোগ্রাফার পরশুরাম বাপুর মুখের উপর নোটবই, পেন্সিল ছুঁড়ে দিয়ে নোয়াখালী ত্যাগ করেছিল? বাপুর ভক্তদেরকে একবার জিজ্ঞাসা করুন না? জয়প্রকাশের স্ত্রী বিভাবতীর দিকেও হাত বাড়িয়ে ছিল বুড়ো যার জন্য জয়প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরে।
গিরিজা কুমারের লেখা “গান্ধী অ্যান্ড হিজ উইমেন এ্যাসোসিয়েটস” বই থেকে সামান্য একটা অংশ :
“গান্ধীর ঘর থেকে শুনতে পাওয়া গেল তাঁর তীক্ষ্ণ চিৎকার। তারপর চপেটাঘাতের শব্দ, গান্ধীর স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্তা ডাক্তার কন্যাসম সুশীলা নায়ারকে নিয়ে কী যেন ঘটে গেছে। অন্য অনুগামীরা তটস্থ। মানুগান্ধী যিনি বাপুর নিজের নাতনী এবং সুশীলা এই দুইজন মহিলাই সে সময় তার ব্রহ্মচর্য্য নিরীক্ষার সহযোগী। পরে জানা গেল ব্যর্থতা, হতাশা আর ক্ষোভে গান্ধী কপাল ঠুকছিলেন খাটের কোনায়। কিন্তু এই ব্যাপারে বাপুর নিজের বা সুশীলার কোনও বয়ান নেই। বলা বাহুল্য বাপু তাঁকে মুখ খুলতে দেননি। পরে সুশীলা জানান রাত্রে তাঁর সেবা করতেন, নেচার কিওর করতেন। তারসঙ্গে আমি ঘুমাতাম। ঠিক যেন মায়ের সঙ্গে ঘুমোচ্ছি। ব্রহ্মচর্য্য এক্সপেরিমেন্ট বস্তুটির নাম গন্ধ তিনি পাননি। জে.বি.কৃপালনি এবং নির্মল কুমার বসু গান্ধীর সমালোচক হয়ে উঠেন। এরপর অনুমতির অপেক্ষা করেননি গান্ধী। অর্থাৎ তিনি মেয়েদের ব্যবহার করতেন। আগে আগে বহুবার এইমেয়েরা পাল্টে পাল্টে গেছেন। আগেই বহুবার বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ১৯৩৯-এ একবার মেয়েদের হাতে সেবা নেওয়াকে কেন্দ্র করে আশ্রমে ছোটখাটো এক অভ্যুত্থান হয়েছিল। আশ্রমের অন্যদের জন্য নারী পরিবর্জনের কঠোর বিধান। এদিকে নিজেকে বিধি নিষেধের উর্দ্ধে রেখেছেন। কেননা তিনি অর্ধনারীশ্বর কামগন্ধহীন।”
নাতনি মানুগান্ধীর (১৯) সঙ্গে এই মহাত্মা একই শয্যায় রাত্রি কাটাত। ২০-১২-১৯৪৬ নির্মল বসু ঘরে ঢুকে দেখে ফেলেছিলেন। নাতি কানু গান্ধীর স্ত্রী ১৬ বৎসর বয়স থেকেই বাপুজীর সাথে একই কার্যে লিপ্ত! বাপুজী পরে ছেলে মণি লালকে চিঠি লিখেছে: “এই যে মানু আমার সঙ্গে একই বিছানায় শুচ্ছে এতে বিচলিত হয়োনা। আমার বিশ্বাস ঈশ্বরই আমাকে এই কাজটি করতে প্রাণিত করেছে।”
আত্মকথা অথবা সত্যের প্রয়োগ বইতে গান্ধী বুড়ো লিখেছে: “বন্ধু আমাকে একদিন এক বেশ্যা গৃহে লইয়া গেলেন। সেই গৃহে গিয়া আমি যেন অন্ধের মত হইয়া গেলাম। লজ্জায় স্তব্ধ হইয়া সেই স্ত্রীলোকের পাশে খাটিয়ায় বসিয়া ছিলাম। স্ত্রীলোকটি ক্রুদ্ধ হইয়া প্রথমে আমাকে দুইচার কথা শুনাইল। তারপর আমাকে দরজা দিয়া বাহির করিয়া দিল।”
এই লেখাতে অনেকেই বিব্রত এবং বিরক্ত হবে জানি তবে সত্য এটাই যে গান্ধী অত্যন্ত কামুক ছিল, এবং তার আত্মজীবনীতে সে লিখেছে যে, তার পিতার মৃত্যুশয্যার শেষ অবস্থায় যখন তাকে ডাকা হয় সে তখন গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত ছিল। স্ত্রীকে ছেড়ে পিতাকে দেখতে আসেন নি!!
জয় বাপুজীর জয়!
রেফ:(দ্বিখণ্ডিতা মাতা, ধর্ষিতা ভগিনী; পৃষ্ঠা নং: ৮-৯–রবীন্দ্রনাথ দত্ত)