তৃণমূলের অন্দরে এখনও অনেক সৎ, ধার্মিক সমর্থক আছে, আমি আজ সেই তৃণমূলের সৎ,ধার্মিক হিন্দু সমর্থকদের কয়েকটি প্রশ্ন করব।

মমতা ব্যানার্জী তো একজন হিন্দু বিরোধী মহিলা, কিন্তু তৃণমূলের অন্দরে এখনও অনেক সৎ, ধার্মিক সমর্থক আছে, আমি আজ সেই তৃণমূলের সৎ,ধার্মিক হিন্দু সমর্থকদের কয়েকটি প্রশ্ন করব যদি উত্তর দিতে পারেন তাহলে কথা দিচ্ছি আপনাদের জুতো মুখে করে বয়ে বেড়াবো….

মমতা ব্যানার্জী বিতর্কিত সিনেমা পদ্মাবতী রিলিজ করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বলে শুনছি, অথচ এই মমতা ব্যানার্জী মুসলিমদের ভয়ে জুলফিকর সিনেমা র বিতর্কিত অংশ বাদ দিতে কেন নির্দেশ দিয়েছিল একটু বলবেন?

আপনারা নিজের চোখে দেখেছেন মুসলিমদের ভোট ব্যাঙ্কের লোভে কিভাবে একটা হিন্দু সংস্কৃতি, ইতিহাস বিকৃতকারী সিনেমাকে মমতা সমর্থন করছে, আজকে যদি কোনো পরিচালক মুসলিমদের ইতিহাস বিকৃতকারী সিনেমা তৈরী করে সেক্ষেত্রে কি মমতা ব্যানার্জী বিশেষ ব্যবস্থা করবে?

চোখ খুলুন এবার নইলে কেন মা-মাটি-মানুষ জিন্দাবাদ বলে নিজেদের মাটি হারাবেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে জেহাদী শক্তির কাছে ফেলে দিয়ে যাবেন শেষে?

আপনাদের কাছে খবর আছে কিনা জানিনা, একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন মুসলিম সংগঠন গুলি কিভাবে সরকারী আধিকারিকদের কাছে গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে র আগেই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতে আসনগুলি সংরক্ষিত করার দাবী জানাচ্ছে ।

আপনারা জানেন মমতা ব্যানার্জী ত্বহা সিদ্দিকীর ফুরফুরা শরীফে কত উন্নয়ন করেছে, হজ টাওয়ার গড়ে দিয়েছে, ইমাম ভাতা দিয়েছে, মুসলিমদের বৃত্তি দিয়েছে, মুসলিমদের লোন দিয়েছে, হাজার হাজার মাদ্রাসা গড়ে দিয়েছে তবুও ত্বহা সিদ্দিকী সহ গোটা মুসলিম সমাজ মমতার কাজে অখুশী । এতো করেও মমতা মুসলিমদের মন জিততে পারল না তবুও অন্ধের মত আজও ভোটব্যাঙ্কের লোভে তোষনের রাজনীতি করেই চলেছে ।

আপনারা প্রশাসনকে জিজ্ঞেস করুন গত সাত বছরে কতগুলি থানা জ্বালানো হয়েছে এবং থানাগুলি কারা জ্বালিয়েছে ।

পশ্চিমবঙ্গে শয়ে শয়ে বাংলাদেশের জঙ্গিরা ধরা পড়ছে তবুও মমতা ব্যানার্জী রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য কাঁদছে কারন রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে ভোটব্যাঙ্ক আরও মজবুত হবে ।

আজকে মমতা ব্যানার্জীর তোষনের ফলেই বিদ্যালয়ে নবী দিবস পালনের দাবী উঠছে, দুর্গাপুজোর বিসর্জন আটকে দেওয়া হচ্ছে, ফেসবুক পোষ্টকে কেন্দ্র করে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তবুও আপনাদের শিক্ষা হচ্ছে না কেন?

আপনারা হয়তো আমাকে সাম্প্রদায়িক বলবেন কিন্তু আপনারা যদি সত্যিই ভাই-ভাই তত্ত্বে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি আপনার পরিবারকে নিয়ে পার্ক সার্কাসে গিয়ে একবছর থেকে দেখান, পার্ক সার্কাসে গিয়ে শাঁখ বাজান, পুজো করুন কারন ওরা তো আপনার ভাই ।

পার্ক সার্কাসে গিয়ে নিজের পরিবারকে নিয়ে থাকতে ভয়ও করেন অথচ তৃণমূল করেন বলে সব কিছু ভুলে ভাই-ভাই করেন এই রকম দু নৌকায় পা দিয়ে আর কতদিন চালাবেন দাদা?

নিজের বিবেককে আজ একটা প্রশ্ন করুন- মমতা ব্যানার্জী কি আদৌও ধর্মনিরপেক্ষ?
উত্তর টা আপনার বিবেক ঠিক আপনাকে দিয়ে দেবে, দাদা তৃণমূল করলে রোজগার হবে, বাড়ী-গাড়ী হবে ঠিকই কিন্তু আপনার সন্তানকে তো সেই জেহাদী শক্তির কোলে ফেলে দিয়ে যাবেন,তাহলে সেই রোজগারের কি দাম?

আজকে আমার পোষ্ট পড়ে হয়তো খিস্তি দেবেন কিন্তু ভবিষ্যতে এই সাম্প্রদায়িক লোকেরাই আপনাদের মা,বোনের ইজ্জত, সন্তানদের ভবিষ্যত রক্ষা করবে ।