মমতা ইমরান, সিদ্দিকুল্লার মত জিহাদী মানসিকতার লোকদের ক্ষমতার কাছাকাছি টেনে নিয়ে দুইপারের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে দ্বিধা করবে না।

আমার ধারণা কোলকাতার অনলাইন এক্টিভিস্টদের সমস্ত ডাটা জঙ্গিদের হাতে চলে এসেছে এবং সেটা তারা নিজেরাই দিয়েছেন তাদের অগচরে!

আট মাস আগে কোলকাতার একজন সুপরিচিত ব্লগারের বাসায় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এক ছেলে তাকে বলেছিলো, কোলকাতাতে একটা লাশ পড়লে সবাই বুঝতে পারবে আনসার বাংলার ক্ষমতা কত…। কোলকাতার সেই ব্লগার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। তিনি রীতিমত তখন ভীত সেই ছেলে সম্পর্কে। আমি বলেছিলেন, আপনি তো এই ছেলেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গেছেন। এরকম কতজন কি করছে কিছুই তো জানেন না?

কোলকাতার অনলাইন এক্টিভিস্টদের একদম শুরুতেই আমি বলে দিয়েছিলাম আগে আপনাদের বাংলাদেশের ব্লগের ইতিহাস সম্পর্কে একটা ধারণা দরকার। তারপর বাংলাদেশী ব্লগারদের নিয়ে কাজ করেন। ফারাবীও ব্লগার ছিলো। অমি রহমান পিয়ালও ব্লগার। আবার অনন্ত বিজয় দাসও ব্লগার। ধর্মের প্রশ্নে পিয়াল ফারাবীর মধ্যে দুরত্ব কম। নাস্তিকদের পিয়ালরা ‘খাসি’ বলে ডাকত। নাস্তিকদের ব্লগের আইডি ব্যান করত আইজু-পিয়ালরা। এসব  ব্লগিং জট কোলকাতার ব্লগাররা জানেন না। বাংলাদেশ থেকে এক ছেলে জঙ্গিদের ভয়ে কোলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিলো। পরে নাস্তিকদের দোষারোপ করে ইসলামে ফিরে যাবার ঘোষণাও দিয়েছিলো। আমাকে পর্যন্ত ইসলামে ফিরে আসার ‘দাওয়াত’ দিয়েছিলো। পরে দেখি সে কোলকাতার নাস্তিক ব্লগারদের প্রকেটশনে দিব্যি থাকছে। কয়েকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইল তার সম্পর্কে। আমি সাফ বলে দিলাম বিপদগ্রস্তকে সহায়তা করাই মানবিকতা। তাকে সহায়তা করুন কিন্তু তাকে আপনাদের গন্ডির মধ্যে আনার চেষ্টা করবেন না। যেহেতু একবার সে ইসলামে ফিরে যাবার ঘোষণা দিয়েছে তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করবেন না।

বলাই বাহুল্য প্রায় সব কোলকাতার ব্লগারই কথাটা গুরুত্ব দেননি। আট মাস আগে সে-ই আনসারের লাশ ফেলার কথা বলেছিলো। সম্প্রতি কোলকাতায় কয়েকজন বাংলাদেশী জিহাদী গ্রেফতার হয়েছে এবং তাদের কাছে ব্লগার হত্যা্ একটি তালিকা পাবার কথা জানা গেছে। ঠিক কতজন কোলকাতার এক্টিভিস্ট তাদের সমস্ত ডাটা বাংলাদেশী ব্লগার সাজা কারোর কাছে শেয়ার করেছেন জানি না। আমি যেটা জানি কোলকাতার এক্টিভিস্টরা অচেনা বাংলাদেশীদের বিশ্বাস করে সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত কয়েকজন বাংলাদেশী নাস্তিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। একজন নাস্তিক মাওলানার সঙ্গে এরকম সাক্ষাৎ হয়েছিলো শুনেছি। উনি নিজেই সম্প্রতি বলেছেন হেফাজত ইসলামের জঙ্গিরা তাকে হত্যা করতে পারে…।

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ, তৃণমূল নেতা সানাউল্লাহ, মাওলানা বরকতী হচ্ছে কোলকাতায় বাংলাদেশী ইসলামপন্থি জিহাদীদের পৃষ্টপোষক। কোলকাতাতে আনসার বাংলার সদস্যদের আদার কার্ড, রেশন কার্ড পাইয়ে দিতে, আস্তানা গড়ে দিতে সাহায়তা করার ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে পুরোনো অভিযোগ আছে। সাংসদ ইমরানকে বাংলাদেশ একবার ভিসা আটকে বাংলাদেশ প্রবেশ বন্ধ করেছিলো। সব মিলিয়ে কোলকাতা এখন বাংলাদেশের মতই নাস্তিক ব্লগারদের জন্য নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। মমতা ব্যানার্জী ৩০ ভাগ মুসলিম ভোট হাতে রাখতে সব কিছু করতে পারেন। ইমরান, সিদ্দিকুল্লার মত জিহাদী মানসিকতার লোকদের ক্ষমতার কাছাকাছি টেনে নিয়ে দুইপারের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে দ্বিধা করবে না। একই কথা ঢাকার শাসকদের বেলাতেও সত্য। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় ভয় দুই বাংলার নাস্তিক ব্লগারদের লাশ ফেলতে একটা আয়োজন বাতাসে টের পাওয়া যাচ্ছে। সবাই সাবধান এবং নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফের হাল নাগাদ করে নিন…।