তালেবান-আইএস জঙ্গিরা এত নৃশংস কেন!!!!???

তালেবান-আইএস জঙ্গিরা এত নৃশংস কেন:
…………………………………………………….
হাদিসে ভয়ংকর লড়াইয়ের ইঙ্গিত বা উশকানিটা দেখুন- “তোমাদের ধনভাণ্ডারের নিকট তিনজন খলীফা সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকা আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি (সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)। এছাড়া মাজমাউজ জাওয়াইদে উল্লেখ আছে- “পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে অবশ্যই কালো পতাকাবাহী দল আসবে। ঘোড়ার সিনা পর্যন্ত রক্তে ডুবন্ত থাকবে”। চিন্তা করুন কি পরিমাণ মানুষকে জবাই করলে ঘোড়ার সিনা পর্যন্ত রক্ত জমতে পারে! এরকম শান্তিময় হাদিস থাকার পরও যারা ইহুদীদের ক্যাপ্টাগন ট্যাবলেটে খেয়ে নৃশংস হবার গল্প ফাঁদেন তারা যে এই হাদিসগুলোকে আড়াল করতে চান সেটা তো পরিষ্কার।

ইসলাম কখনো সন্ত্রাসের পথে কায়েমের কথা বলেনি:
………………………………………………….

জেরুজালেম হচ্ছে ইহুদীদের পবিত্র ভূমি। মুসলমানদের কাছে মক্কা-মদিনা যেমন ইহুদী বিশ্বাসীদের কাছে জেরুজালেম ও বাইতুল মোকাদ্দেস তদ্রুপ। ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস মতে তাদের শেষ জমানার নবী ইমাম মাহদী মুহাম্মদের উম্মত হিসেবে জেরুজালেম দখল করে ইসলামের কালো পতাকা উত্তলন করে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে। এরকম ‘শান্তিবাদী বিশ্বাস’ যে ধর্মে থাকে তাদেরকে কি করে ইহুদীরা চক্রান্ত করে আইএসে যোগ দেয়ায়! একবার ভাবুন তো, যদি অন্য কোন ধর্মে লেখা থাকত যে তাদের শেষ নবী এসে মুসলমানদের কাবাঘর দখল করে নিবে- তাহলে দুনিয়ার এমন কোন মুসলমান পাওয়া যেতো যারা ঐ ধর্ম ও সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসী বলত না? ইহুদী কিংবা খ্রিস্টান ধর্মে মুসলিমদের কোন উল্লেখ না থাকার পরও মুসলমানদের কাছে তারা রাত-দিন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অথচ সহি হাদিসে জেরুজালেম দখল করার এরকম পরিষ্কার উশকানি থাকার পরও মুসলমানরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে –এরকম কথা খোদ ইহুদীরাই কখনো বলে না। সম্ভবত তাদের শিক্ষাদীক্ষা ও উন্নত সভ্যতা তাদেরকে শিখিয়েছে কোন জাতি বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এরকম ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা অসভ্যতা নিম্ন সংস্কৃতির পরিচায়ক।

সর্বশেষ: আইএস বা এইরকম নিত্যনতুন জঙ্গি সংগঠনগুলোর মূল্যে ইমাম মাহদীর যে মিথ তাকে কেন্দ্র করে। কাজেই এইসব জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হলে কিছু মত দশন বাদ দিয়ে আলোচনা কখনই সমাধানের পথ দেখাবে না, দেখাবে শুধু কানাগলির সন্ধান…। প্রায় সব ধর্মেই ‘শেষ যুগের ত্রাতা’ বলে একজনের আগমনের কথা বলা হয়েছে যিনি পৃথিবীতে এসে ফের ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করবেন। ইহুদী-খ্রিস্টান ও হিন্দুদের এরকম ধর্মীয় গল্প থাকার পরও তারা এখন এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। ধর্মীয় গল্প বাদ দিয়ে তারা নিজেদের উন্নতি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় নিয়োজিত করেছে। মুসলমানরা যেহেতু অশিক্ষিত আর নিম্ম সংস্কৃতির (আরব জাতীয়তাবাদ) মধ্যে রয়ে গেছে তাই এখনো এসবই ধর্মীয় মিথ আর অবাস্তব কাহিনীতে বিশ্বাস রেখে পৃথিবীতে অনাত্থ অশান্তির সৃষ্টি করছে। মুসলমানদের এইসব কল্পিত সন্ত্রাসবাদী গল্পের মূল্যে যুক্তি ও চিন্তার কঠিন আঘাত ব্যতিত তারা এইসব রূপকথা থেকে মুখ ফেরাবে না…।

আর তার জন্য শিক্ষিত মুসলিমদের কেই আগে কথা বলা শুরু করতে হবে। তবেই এ হেনো সমস্যার সমাধান সম্ভব।

(সংগৃহীত)