সুইস ব্যাংক!!!!
■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■
সুইস ব্যাংক’ সম্পর্কে আমরা প্রায়শই শুনে থাকি। মজার ব্যাপার হলো, ‘সুইস ব্যাংক’ নামে আলাদা কোন ব্যাংক নেই। সাধারণত সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক ব্যাংক অর্থাৎ যে ব্যাংকগুলির প্রধান শাখা সুইজারল্যান্ডে সেগুলোকেই সুইস ব্যাংকিং কর্পোরেশন বা সুইস ব্যাংক বলা হয়।
প্রায় ১৮ টি ব্যাংকের মধ্যে সবথেকে বিখ্যাত ৩টি সুইস ব্যাংক হলো UBS, Julius Bär এবং Credit Suisse
টাকা-পয়সা, গোল্ড-ডায়মন্ড এসব ছাড়াও সুইস ব্যাংকগুলি কিন্তু তাদের ভোল্টে আরেকটা খুব দামি জিনিস রাখে। সেটা হইলো “ডাটা”। সুইস ব্যাংকগুলিকে “হ্যাভেন অফ অনলাইন ডাটা” বলা হয়। কারণ পৃথিবীর কোন ডাটা সেন্টারে এতো সিকিউরিটি নাই। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাটা ভোল্টগুলি সুইস ব্যাংকে।
সুইস ব্যাংকে সবাই টাকা রাখতে চাওয়ার কিছু কারণ আছে। সুইস ফ্রাঙ্ক এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে স্থায়ী মুদ্রা যার দর সহজে ওঠানামা করেনা। ডলারের দরও প্রতিদিন ওঠানামা করে। সব মিলিয়ে সুইস ব্যাংকের স্থায়িত্ব অনেক বেশি যার মান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
এরপর অাসে গোপনীয়তার বিষয়। সুইস ব্যাংকের একাউন্টের প্রাইভেসির উপর ভিত্তি করে বেশ কিছু ভাগ আছে। অবশ্যই হাই কনফিডেন্সিয়াল একাউন্টে সার্ভিস চার্জ বেশি হয়। হাই কনফিডেন্সিয়াল সুইস একাউন্টে নরমালি কোন নাম থাকেনা। নামের পরিবর্তে একটা কোড থাকে। বাইরের কারো বোঝার কোন উপায় নেই এই একাউন্ট কার। আপনি সম্পুর্ন নিজের পরিচয় গোপন রেখে টাকা জমা এবং আদান-প্রদান করতে পারবেন। একমাত্র সুইস ব্যাংকের খুব উচ্চপদস্থ কয়েকজন আপনার পরিচয় জানবে আর কেউ না।
সুইস ব্যাংকের ভল্টের দরজাগুলি এক একটা টোটাল আড়াই ফিট ১১টা স্টিলের লেয়ার দিয়ে বানানো, ওজন প্রায় ২৫ টন। খুব হাই গ্রেডের স্টিল ইউজ করা হয়েছে যেগুলোতে নরমাল কোন ম্যাসিন দিয়ে কাটিং বা ড্রিলিং সম্ভব নয়।
এই ব্যাংকের মালিক অনেকেই আছেন, তবে সিঙ্গেল পার্সন হিসেবে বড় শেয়ার হোল্ড করছেন জার্মান ব্যবসায়ী Theo Siegert। ওনার সম্পর্কে গুগলে তেমন কিছু পাওয়া যায় না, তবে লোকটার টাকা আছে এটা বোঝা যায়। এদের সম্পদের টোটাল পরিমাণ কেউ জানতে চায় না, এরা প্রকাশও করে না। এদের কাছে কতো পরিমাণ গোল্ড রিজার্ভ আছে সেটাও সিক্রেট। এরা সবকিছু সিক্রেট রাখে। সবকিছু গুগলেও পাবেন না। কিছু আর্টিকেলে পাওয়া যায়। ওরা নিজেদেরকে সবার চোখের আড়ালে রেখে সারা পৃথিবীকে দেখে।
source : Internet