সংখ‍্যালঘুদের জন‍্য বরাদ্দ ৪৭২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ১৬ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে।

এইমাত্র দূরদর্শনের সংবাদে দেখলাম, পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – মাদ্রাসা শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষা  সম্প্রসারণে ব্যাপক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সংখ‍্যালঘুদের জন‍্য বরাদ্দ ৪৭২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ১৬ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। (বৃদ্ধিটা ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন, ৪৭২ কোটি থাকে বাড়িয়ে ৪০১৬ কোটি টাকা – মহাউল্লম্ফন)।

 

দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে, রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী আদি দেবানন্দ মহারাজ-এর বক্তব্য শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আদি দেবানন্দ মহারাজ মহোদয়ের মর্মস্পর্শী বক্তব্য হচ্ছে, পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন – যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু(সনাতন)ধর্ম শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে তিনি(শিক্ষামন্ত্রী) তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবেন…
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়  কর্তৃক পাকিস্তান ভেঙে সৃষ্টি করা হিন্দু বাঙালিদের হোমল্যান্ড ‘পশ্চিম বঙ্গ’-এ, সনাতন ধর্ম শিক্ষা দেওয়া যাবে না; কেউ সনাতন ধর্ম শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করলে, তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। অথচ  মাদ্রাসা শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে কত বড় রাষ্ট্রীয় মহাযজ্ঞ-এর ঘনঘটা চলছে! কি ভয়ানক বৈষম্য।
বিগত লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখেছি, কয়েকটি ছেলে ভগবান রামচন্দ্রের নাম জপ করছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে ওই ছেলেদের ধাওয়া করেন এবং পুলিশ দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন। পশ্চিম বঙ্গে কেউ ভগবান রামচন্দ্রের নাম উচ্চারণ করলে, তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে –  এটা কেমন ধর্মনিরপেক্ষতা! ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান কি হিন্দুদের কাছ থেকে ভগবানের নাম উচ্চারণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে?
প্রতিটি বিশেষ ইসলামী উৎসবের সময়, কোলকাতার টেলিভিশন চ‍্যানেলগুলোতে হরহামেশা দেখা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আল্লাহর নাম জপ করছেন। এমনকি ২০১৬ সালে  মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করার সময়, তিনি ঈশ্বরের কথা বলার পরে আল্লাহর নামে শপথ গ্রহণ করেছেন। ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, আল্লাহর শরিক করা ‘শিরক’। কিন্তু অদ্ভুত বিষয়, কোন প্রতিবাদ দেখলাম না।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর,প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে গেলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন,”আমি মুসলিম তোষণ করি,একশো বার করব, হাজার বার করব; যে গরুটা দুধ দেয়…”
সুতরাং হিন্দুজাতি, জেগে ঘুমানোর দিন শেষ। আপনি শরীরের রক্ত জল করা রোজগার থেকে রাষ্ট্রকে আয়কর দিচ্ছেন; অথচ আপনার সন্তানকে ধর্মশিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে,আপনার প্রদত্ত্ব অর্থ দিয়ে পরিপুষ্ট করা হচ্ছে তাদের –  যারা বিদেশি শত্রুর সাথে হাত মিলিয়ে ভারতকে গ্রেটার পাকিস্তানে পরিণত করতে চায়। ধর্মনিরপেক্ষতা নামক গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে,ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার দ্রুত কমে যাচ্ছে। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা হার যদি ৫০ শতাংশের নিচে নেমে যায়, তাহলে কিন্তু কাশ্মীরের মত সমগ্র ভারত-ভূমি,’হিন্দু বধ্যভূমি’-তে পরিণত হবে।
আপনার হাতে একটি ‘ভোট’ আছে; এই ভোট-টিকে ব্রহ্মাস্ত্র-এ পরিনত করুন। আপনাদের ভোটগুলো একত্রিত করে, যথাযথ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে – হিন্দু বিরোধী সমস্ত কালাকানুনের বিলোপ ঘটিয়ে, ধর্মনিরপেক্ষতার কবর রচনা করুন। না হলে কিন্তু ভারত ভূমি থেকে হিন্দু জাতিকে মুছে যেতে হবে।
কৃত্তিবাস ওঝা