দেশে ক্যাসিনো থাকলে সমস্যা কি? সরকার এগুলোকে বৈধ করে দিলে চড়া মূল্যের ট্যাক্স বসাতে পারে। ক্যাসিনো সব দেশেই আছে। আইন মেনে বৈধভাবে এই ব্যবসা চলে। কে ক্যাসিনোতে যাবে আর কে লাইব্রেরিতে যাবে সেটা মানুষের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। ক্যাসিনো মদ নিষিদ্ধ করে এগুলো বাংলাদেশে বন্ধ করা যায়নি। সবই চলেছে তবে সেটা বিকৃত চোরাই নিষিদ্ধভাবে।
সব দেশেই এডাল্ট ফ্লিম তৈরি হয়। সি-ক্যাটাগরির অভিনেতা অভিনেত্রীরা সেই সিনেমাতে অভিনয় করেন। সেসব ছবি দেখার দর্শকরা তাদের খিদে মেটান এসব ছবি দেখে। এতে মূল ধারার সিনেমায় ‘কাটপিস’ জুড়ে দিতে হয় না। বাংলাদেশের মত স্বঘোষিত মুসলিম দেশের মূলধারার কমার্সিয়াল সিনেমায় ‘কাটপিস’ নামের পর্ণগ্রাফি প্রদর্শিত হয়েছে এ কারণেই। মদ তো উৎসব আনন্দে বিয়ে পার্টিতে সহজ পাণীয় হিসেবে গোণ্য। এটাকে হারাম, নিষিদ্ধ করে কি খাওয়া বন্ধ করা গেছে? এই ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ৯০ ভাগ মুসলিম বিয়েতে কি মদ খাওয়া হয় না? হলুদের রাতে মদ বিয়ার তো সেদিন বড় ছোট তেমন মান্য করা হয় না। সেই মদটা আসে কিভাবে বাড়িতে? নিষিদ্ধ জিনিস ঢোকানোর মত, যে লোকটা চটের ব্যাগে দিয়ে যায় সে যেন নিষিদ্ধ জগতের ক্রিমিনাল একজন মানুষ। পুলিশ ধরতে পারলেই আর রক্ষে নেই। ভুল কথা যদিও, পুলিশকে টাকা না দিয়ে মদের চোরাই ব্যবসা কেউ করতেই পারবে না। ব্যবসাটা চলে গেছে গুন্ডা বদমাইশদের কাছে।
৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ঘোমটার নিচেই খ্যামটা নাচে। নাচ যেহেতু নিষিদ্ধ তাই নাচটা বিকৃত রূপে গোপনে চোরাই পথেই খ্যামটা রূপে নাযিল হয়। নাচ যেখানে নিষিদ্ধ নয় সেখানেই ক্ল্যাসিকেল আর্টে পৌছায়। বাংলাদেশে ঘটে সেটাই। এখানে মদের লাইসেন্স দেয়া হয় কেবল হিন্দু নাগরিকদের! কি অমর্যাদাকর ব্যাপার ভাবুন! মুসলিমদের লাইসেন্স দেয়া হয় না কেন? ইসলামে মদ নিষিদ্ধ বলে? ৭২ সালে মদ জুয়া কি তাহলে সেই ইসলামী জোশে করা হয়েছিলো? মদ নিষিদ্ধ করায় নেশার জন্য ফেনসিডিল, ইয়াবায় ছেয়ে গেছে দেশ। বীয়ার খেলে ইয়াবা ফেনসিডিল খেতে চাইবে কেন?… যাক বাবা, এত কথার কাজ নাই। যে দেশে ডেটিং করতে গেলে পুলিশ ধরে গার্জেন ডাকার হুমকি দেয় সেদেশে আমার কথা খুব বেশি মানুষ বুঝবে সেই ভরসা করি না…।