কেন দ্রৌপদীর পঞ্চ স্বামী?

***‌কেন দ্রৌপদীর পঞ্চ স্বামী?

কোন মেয়ে দ্রৌপদীর মতো হতে
পারে না, তাই অসতী বলে প্রতিপন্ন হবে। দ্রৌপদী এ সমাজের মেয়েদের মতো কোনও সাধারণ মেয়ে ছিলেন না। দ্রুপদ রাজার যজ্ঞের অগ্নি থেকে তাঁর জন্ম হয়েছিল। পূর্বজীবনে তিনি এক ঋষির কন্যা ছিলেন। অতি কঠোর তপস্যা করে তিনি শ্রীশিব ঠাকুরের প্রীতি সাধন করে ছিলেন। তখন প্রসন্ন হয়ে শিব তাঁকে বর দিতে
চাইলে তিনি করজোড়ে শিব ঠাকুরের কাছে পতি
লাভের বাসনা ব্যক্ত করেন। “হে মহাদেব, যদি প্রসন্ন হয়ে থাকেন, তবে যাতে আমি সর্বগুণ সম্পন্ন পতি লাভে চরিতার্থ হতে পারি, এরূপ বর প্রদান করুন।” এই কথা পাঁচবার উচ্চারণ করেন এবং প্রতিবারই শিব ঠাকুর ‘তথাস্তু’ বলেছিলেন।
তারপর শিব বলেন, “হে কন্যা, তুমি পাঁচবারই পতি বাসনা করেছ, তাই পরজন্মে রাজকন্যা রূপে জন্ম নিয়ে দেবগুনসম্পন্ন পঞ্চপতি লাভ করবে।” তারপর পরজন্মে সেই ঋষিকন্যা মহর্ষি উপযাজ কৃত যজ্ঞথেকে উত্থিতা হন। দ্রুপদ রাজার কন্যারূপে তিনি
দ্রৌপদী নামে আখ্যাহিত হন।