ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে হিন্দু কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা।

নরসিংদী জেলার অন্তর্গত পলাশ উপজেলায় ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে হিন্দু কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা।(তথ্যসূত্র:এইবেলা.কম,২১.০৮.২০১৭)

বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ ঘটনাটি তদন্তে নেমেছে।

আজ ভোর ৪:৩০ মি. (আনুমানিক) এর দিকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ভিকটিমের নাম: মনি বিশ্বাস
ভিকটিমের মায়ের নাম: শেফালী বিশ্বাস
ভিকটিমের পিতার নাম: নিশিকান্ত বিশ্বাস
স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম: লক্ষ্মীপুর,উপজেলা: রায়পুরা, জেলা : নরসিংদী
বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম: পাইকসা(ঘোড়াশাল পৌর এলাকা)
                            উপজেলা: পলাশ, জেলা: নরসিংদী।
ঘটনার তারিখ: ২১.০৮.২০১৭(আনুমানিক ভোর ৪:৩০)
তদন্তের তারিখ:২১.০৮.২০১৭

ঘটনার বিবরন: সোমবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের মা শেফালী বিশ্বাস প্রান কোম্পানীতে একটা চাকুরী করেন। সেই সুবাদে রাতে তার ডিউটি থাকার কারনে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ভিকটিমের বাবাও বিশেষ কারনে রাতে বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে কে বা কারা ভিকটিমকে ধর্ষনের প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য ভিকটিমের পরিবার পাইকসা গ্রামের শ্যামল ভৌমিকের বাড়িতে ভাড়া থাকে।নিহতের মা শেফালী বিশ্বাস BDMW কে বলেন
“আমি সকালে বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ের গলাকাটা লাশ বাড়ির সামনে টালের নিচে পড়ে আছে।”

তদন্ত: বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচের সভাপতি এড. রবীন্দ্র ঘোষের নজরে আজ বিষয়টি আসলে তিনি দ্রুততার সাথে পলাশ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন নিহতের পিতা নিশিকান্ত বিশ্বাস পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন( নং: ১৪, তারিখ: ২১.০৮.২০১৭, ধারা: ৩০২/৩৪)। উক্ত মামলাটি তদন্ত করছেন একই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বিপ্লব দত্ত(০১৭৬৯০৫৮০০৮)। মি. বিপ্লবকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তবে তদন্ত চলছে। BDMW পুলিশ অফিসারদের দেয়া তথ্যানুসারে নিশ্চিত হয় যে মনি বিশ্বাসকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করেছে। BDMW মামলার বাদী নিশিকান্ত বিশ্বাসকে মোবাইলে  ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কান্না বিজড়িত কন্ঠে তার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ।

সুপারিশমালা: বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ নিহত কিশোরী মনি বিশ্বাসকে গলাকেটে হত্যার জন্য মর্মাহত ও বিস্মিত। BDMW নিম্নলিখিত দাবি জানাচ্ছে যে
১. রাষ্ট্র এহেন মানবতাবিরোধী হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
২.নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৩.আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।