ইমরান ‘তালিবান’ খানের কিছু কথা।

ইমরান ‘তালিবান’ খানের কিছু কথা

আমার এই লেখার শুরুতে কুখ্যাত নিয়াজি এবং ইমরানের একটা সম্পর্ক নিয়ে ভুল লিখেছি,অনেক আগে থেকেই ওটা শুনেছিলাম আর শেষের ওই নামের মিল ইত্যাদি ওটা পরীক্ষা করে নেওয়ার কাজ করতে দেয় নি । আমি ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করছি তবে এই লোকটির বাকি কোনো কাজ যা লিখেছি একটি ও না মিলিয়ে করা না সুতরাং আর একটি ও কথা থেকে ফিরে আসছি না ! আগের ভুলের অংশ কে একটু পরিবর্তন করার এবং এই অনভিপ্রেত ভুলের জন্য আন্তরিক দুঃক্ষিত !
এইদিকের কিছু চটুল আলোচনা বা এর প্লে বয় ভাবমূর্তি নিয়ে   সঙ্গত কারণেই  আলোচনাতে আনিনি কারন আমার মূল লক্ষ্য এই লোকটির পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার আগে তার স্বরূপ তুলে ধরা,ব্যক্তিগত কুত্সা করা না । 

একাত্তরের পরবর্তী মিথ্যাচার অথবা বাংলাদেশের প্রথম আলোর অথবা আমাদের এইদিকের বাজারের আনন্দ কি বললো তার বাইরে আসুন একটু তথ্যনিষ্ঠ ভাবে দেখি সেনাবাহিনীর এবং আইএসআই এর নতুন ‘ভাড়’প্রাপ্ত এই প্রাণীটির আগের কিছু ঘটনাকে । বাংলা একটা সিনেমাতে (সবার উপরে) পুলিশের অভিনয়ে কালী ব্যানার্জির মুখে একটা অসাধারন উক্তি আছে, “কারোর খুন হওয়ার পিছনে থাকে তার অতীত জীবন “ ওটা কারোর চরিত্র বিশ্লেষন করতেও কাজে লাগে বলে মনে করি ।  এই স্বাপেক্ষে এই লেখনি ।  যদি কারোর ইমরান-অনুভুতিতে আঘাত লাগে তা হলে পাল্টা তথ্যসূত্র নিয়ে আসবেন,অকারণে ম্যাতকার করলে একদম গদাম নগদে দেওয়া হবে!

নয়ে এর সংখ্যায় প্রতিশ্রুতির খেলায় ইমরান
পাকিস্থানের এক বিশাল নতুন প্রজন্ম এবং প্রায় সব সাধারন মানুষ অতীব অর্থনৈতিক সংকটে আছে ।  ইমরান এদের অনেকের কাছেই এক পরিত্রাতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার কাজ করে চলেছে বহু কাল ।  তার এবং তার দলের দাবি
১।  তারা ১৯ দিনের মধ্যেই দেশ থেকে দুর্নীতি দমন করে ফেলবে।
২।  ৯০ দিনের মধ্যেই দেশের সন্ত্রাসবাদ আর এর স্বাপেক্ষে চলে আসা সন্ত্রাস ইত্যাদি খতম করে দেবে
তথ্যসূত্র : তথ্যসূত্র : https://tribune। com.pk/story/342104/pti-will-end-corruption-in-19-days-terrorism-in-90-days-imran-khan/
৩।  ৯ দিনের মধ্যেই দেশের কয়লার আহরন ইত্যাদির মাধ্যমে দেশকে কয়লার ‘সৌদি আরব ‘ বানিয়ে ফেলবে ।
https://www.thenews.com.pk/latest/122110-Corrupt-leaders-cannot-solve-the-issues-of-the-country-Imran-Khan
এই পর্যন্ত পড়েই আশা করি বুঝেছেন যে লোকটি একটি অতীব মিথ্যাবাদী এবং ক্ষমতার জন্য সবই বলতে রাজি .তা হলে আসুন ওই উপরে বলা অতীত জীবনের উপর একটু আলোকপাত করি ?
তার মতে ২০০১ এর থেকে চলে আসা তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই একটা ভুল কাজ এবং তালিবানদের বিষয়ে তার সহানুভুতি এবং প্রকাশ্য সমর্থন ও বারে বারে এসেছে ।  কি ভাবছেন?নিছক শত্রুতা করতে বলছি?উহু,তার প্রমান দেবো,একদম পাক পত্রপত্রিকার সূত্র ধরেই।

প্রথমেই বলে রাখি ইমরান আফগানিস্থানে হয়ে চলা এবং হয়ে আসা তালিবানদের তান্ডব কে জেহাদ বলে বর্ননা করেছে।  যতটুকু পড়েছি তাতে দেখছি এই সঙ্গে দেওয়া তথ্যসূত্রের পত্রিকাটি শুধু তার উক্তি তুলে ধরে নি তারা তার মুখের কথা কে ধারণ করেছে এবং তাতেও তাই বলা আছে ,তথ্যসূত্র : https://tribune.com.pk/story/449938/war-in-afghanistan-is-jihad-says-imran/

ইমরানের সঙ্গে সেই ২০০১ এর আগের থেকেই আছে একটি সুসঙ্গবদ্ধ ‘ক্যাডার’ গোষ্ঠী যারা কোনো বিরোধিতা পেলেই তাদের স্ব্হিংস আক্রমন শানিয়েছে সাংবাদিকদের উপর । 
তালিবানদের সরাসরি সমর্থনের আরো নমুনা পাবেন এই ভিডিও সূত্র থেকে : https://www.youtube.com/watch?v=wjeRxPR9OZY
এটি ইমরান তার দার-উল-উলুম হাক্কিনা বলে একটি মসজিদ এবং মাদ্রাসার সফরে গিয়ে বলেছে ।  এই আলোচ্য জায়গাটি হলো তালিবান তৈরির মূল একটি জায়গা এবং এদের মাথাদের এমনকি সেই সময়ের বিন লাদেন কে সমর্থনের জন্য কুখ্যাত!
এই উপরের আস্থানা যে কি ধরনের কুখ্যাত তা জানতে দেখুন নিচের এই তথ্যসূত্র থেকে,আরো বলে রাখি,এই কুকর্ম কিন্তু অনেক জায়গাতেই হচ্ছে তাই সব দেশের জেগে ওঠা এখনই উচিত!নিচের সূত্র থেকে পাবেন মোল্লা ওমর থেকে লাদেন ইত্যাদির অনুসারী এবং মারাত্বক সন্ত্রাসবাদী তৈরির কি সংগঠিত চেষ্টা চলেছে ।

এছাড়া ও যদি আরো জানতে চান তা হলে আফগান উদ্বাস্তু এবং পাকিস্থানের মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে এই সন্ত্রাসবাদী তৈরির উপরে বিখ্যাত বই আহমেদ রশিদ লিখিত ‘তালিবান ‘ বইটি পড়তে পারেন । ২০০০ সালের এই বইটিতে লেখক দেখিয়েছে এই দার-উল-উলুম হাক্কিনাতে মৌলানা সামিউল হক এবং কর্নেল ইমাম(পাক সেনা বাহিনীর)কি ভাবে মোল্লা ওমর এবং লাদেনের উত্থান এবং তাদের সাহায্যের জন্য কাজ করেছে।  রশিদ আরো দেখিয়েছে, কি ভাবে আইএসআই আর এই সামিউল জনবল আর্থিক সাহায্য করে গিয়েছে এই তালিবানদের।

সম্পৃক্ত একটি খুব গুরুত্বপূর্ন সূত্র দিচ্ছি, দেখুন কি ভাবে এই পাকিস্থানের সেনা আর এই মোল্লার দল সাহায্য করে গিয়েছে তালিবানদের আর কি ভাবে লাদেন কে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার কথা দিয়েও কথার খেলাপ করে গিয়েছে এই প্রানীগুলো ।  https://nsarchive2.gwu.edu//NSAEBB/NSAEBB227/index.htm#17

এই সময়ের এক অন্ধকার যুগ যার ফলে মানুষের নির্বিচারে কতল,অনাহারে মৃত্যু,অকথ্য অত্যাচার কি ভাবে একটা দেশের উপর নেমে এসেছিল তা দেখলে যে কোনো সভ্য মানুষ শিউরে উঠবে অথচ যে লোকটি আজ পাকিস্থানের কর্ণধারের (নামেই!) গদিতে বসতে চলেছে,সে উদ্বাহু হয়ে সমর্থন দিয়ে গিয়েছে এই প্রানীদের। সময় এসেছে একটু ভাবার লোকটির প্রকৃত রূপ নিয়ে ।  কেউ কি সেই অন্ধকারাচ্ছন সময়ের তথ্যসূত্র চাইছেন? হ্যা,দিতে প্রস্তুত তবে লেখার সাথে সম্পৃক্ত না তাই সংগ্রহে আছে,চাইলেই দেবো। খালি সেই সময়ের শিশুদের আকা ছবি দেবো,যারা বোঝার তারা বুঝবেন কি অবর্ণনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে এবং অনেক জায়গায় যাচ্ছে ওই জায়গার সাধারন মানুষরা !অবাক হতে হয় ঠিক যে ভাবে আজকের বাংলাদেশে গণহত্যা বা ধর্ষন এবং অন্যান্য অত্যাচার করেছে ঠিক একই কায়দায় আরো নিষ্ঠুর ভাবে (হয়ত) এই প্রানীগুলো একই কাজ করে গিয়েছে ।  নিয়াজির ভাতুস্পুত্রের কাছে তাই ওই কাজ তার পূর্বসুরীর মতই হয়ত গ্রহন যোগ্য হয়েছে!
১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্থানে আর এরপর উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে তালিবানের অধিষ্ঠান হয় ঐদিকে তাড়া খেয়ে এলে,এবার ঠিক একই কায়দায় এইদিকেও শরীয়ত আইন বলবত থেকে গন হত্যা আর অত্যাচারের একই কাজ শুরু হয় । কি ভাবছেন?পাকিস্থানে তো নিজ্স্ব সরকার ইত্যাদি ছিল সেই সময়ে,তা হলে?হ্যা, একটি সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছিল এই তালিবানরা এবং তার প্রেক্ষিতে আরো লক্ষ লক্ষ মানুষের হতাহতের মাধ্যমে ‘জর্ব এ আজাব ‘ ধাচের একটি নামের সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে হয়েছে পাক বাহিনীর। অনেকটাই সেই ‘সর্প হয়ে দংশন করো ওঝা হয়ে ঝাড় ‘ গোছের কাজ,আজো ওটা চলছে কারন অর্থের আমদানি বজায় রাখতে কোথাও কিছু তো করতে হয় তাতে না হয় নিজের দেশের কয়েক লক্ষ মানুষ মারা গেল,তাতে কি ? ইমরান এর ব্যতিক্রম না বরং একটি সাধারন ক্রীড়ানক মাত্র!কারোর পাক অনুভুতিতে লাগলো?একটু এর উপর তথ্যসূত্র তা হলে দেখুন,চাইলে একদম পাক পবিত্র সূত্র ও দেবো,লাগলেই বলবেন! https://aacounterterror.wordpress.com/2012/10/31/origin-of-pakistani-taliban/

এই পাক সামরিক বাহিনী আর মোল্লাদের সামনের মুখ ইমরান তালিবানদের পবিত্র যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে,বিরোধিতা করেছে এদের উত্খাত করতে অথচ অনেক ‘আলোকপ্রাপ্ত ‘ সুশীলের মতে এই লোকটি বড় ভালো লোক, অনেক বাংলাদেশের সুশীলের কাছে এর পরিচয়,আহা বাংলাদেশের পাকি বাহিনীর কর্মকান্ড নিয়ে লোকটি বড় ব্যথিত আর এইদিকে?কারোর কাছে পুরনো প্রেমের মধুর স্মৃতি কারোর কাছে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকৃত উদাহরন ইমরানের শিশ্নলেহন!কি,কারোর খারাপ লাগলো?তা লাগলে কি আর করবেন?তার আগে এই মহান লোকটির এই তালিবানি কাজ বা সন্ত্রাসের সাফাই গুলো শুনবেন না ? এই যে কয়েকটা নম্বর ধরে দিচ্ছি:

১. আত্বঘাতি বোমা হামলা হলো ড্রন আক্রমনের পাল্টা ফলাফল

২.সামরিক বাহিনী আসার আগে ২০০৪ পর্যন্ত উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে কোনো সন্ত্রাসবাদী কাজ ছিল না ৩.এই অঞ্চলের মানুষ তালিবানদের সমর্থন করে কারন তারা বিশ্বাস করে যে এই লোকগুলো স্বাধীনতা সংগ্রামী ৪.পাকিস্থানি সেনা এদের সাথে লড়াই চাইছে না কারন এই লড়াই অন্যায়ের তাই তারা তালিবানদের কাছে আত্বসমর্পর্ন করছে ৫.আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ৯০ দিনেই শান্তি আনা যায়(সেই নয় এর খেলা) ৬.মাত্র ৮০০ আল কায়দার সদস্য আছে পাকিস্থানে(কি করে জানলো?)৭.আমেরিকাকে সন্তুষ্ট করতে আর কিছু ডলার কামাতে দেশের নিরাপত্তা আর স্বার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দিয়েছে ।  সেই দেশ বিক্রির গপ্প!

বিশ্বাস হচ্ছে না?তা হলে এই সূত্র ধরে দেখুন,একদম পবিত্র দেশের সূত্র দিচ্ছি: https://tribune.com.pk/story/324147/imran-khans-flawed-logic-on-the-war-on-terror/

লোকটি একটি পুরোপুরি মিথ্যাবাদী তার প্রমান নিজেই রেখেছে নিজের লেখা বই এ,পাকিস্থান এ পার্সোনাল হিস্ট্রি বইতে সম্পুর্ন মিথ্যাচার করে এই তালিবানদের সাফাই গেয়েছে এই বলে যে তারা লাদেন কে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল কিন্তু আমেরিকা আক্রমন করার কারণে ওটা করে নি। একেবারে মিথ্যা কথা, প্রমান দরকার ?হ্যা ওটা ও আছে,এই যে এইখানে দিয়ে দিলাম নিজেই দেখে নিন জাতিসংঘ থেকে আমেরিকার নিজের কুটনৈতিক তত্পরতার তথ্যসূত্র যে তালিবানরা কথা রাখে নি।  এই বইটি একটু পেলে এর আট নম্বর পরিচ্ছদ একটু দেখুন যেখানে ইমরান এই মিথ্যাচার করেছে আর সঙ্গে দিচ্ছি জাতিসংঘের সূত্র । এক এবং দুই নম্বর এই লেখার ঠিক নিচেই রাখলাম ।

১. https://www.amazon.co.uk/Pakistan-Personal-History-Imran-Khan/dp/0593067746 বিনাপয়সায় চুরিধারী করে পড়ে নিলে খুশি হবো কারণ এই প্রানীর লেখা টাকা দিয়ে পড়ার কোনো মানে হয় না !
২. https://en.wikipedia.org/wiki/United_Nations_Security_Council_Resolution_1076 জাতিসংঘের সূত্র,চাইলে বাকি গুলো ও দেবো। 
লোকটি এতটাই তালিবান ঘেষা যে প্রমাণিত হাজারা জনগোষ্ঠির নিধনযজ্ঞের কারন দেখায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। সচেতনভাবে এড়িয়ে যায় এই গণহত্যার নিন্দাকে ।  অনেক প্রমানের একটা তুলে ধরলাম http://www.cssforum.com.pk/general/news-articles/65181-hazara-holocaust-deafening-pakistani-silence.html

লোকটি এই পন্থা নিয়ে চলছে কেন ?
আমার কাছে এর কারন মনে হয়েছে দুটো, এক পাক সামরিক বিভাগের যে গোষ্ঠী এই লোকটিকে পালন করে তাদের তালিবান ও পচ্ছন্দের কারণ নিজস্ব আয়ের রাস্তা বজায় রাখা আর ধর্মের একটা ডামাডোল চালিয়ে যাওয়া ।  দুই নিজের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি কে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করা এক মহান যোদ্ধার মতো করে রাখা । পাকিস্থানের আজকের জনতার কাছে ওটা একটা বড় ঐক্যমত্যের বিষয় সুতরাং এই রাস্তাই মোক্ষম রাস্তা ।

আজকের ইমরান নিশ্চই পরিবর্তিত ?
একদম না,বাংলাদেশ তথা বাংলা ভাষার এক প্রয়াত মুক্তমনা লেখক হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন,আজকের রাজাকার চিরদিনের রাজাকার ।  ওটা এইক্ষেত্রেও এক ।  ইমরান আজো ওই অঞ্চলে সভা করবে কি না তা ঠিক করে দেয় তালিবানরা । ট্রাম্প কে অনুরোধ করে তালিবানদের সাথে আলোচনা করার ।  পেশোয়ার থেকে সীমান্ত অঞ্চলে একের পর এক বোমা বিস্ফোরন বা বিরোধী কতলের রক্তস্নানের পর এই প্রাণীটি আবেদন করে তালিবানদের পাকিস্থানে দফতর খুলে দেওয়ার জন্য । একটিও নিন্দা করার কথা ভাবে না ।

পাকিস্থানে তালিবান বা ইমরানের কর্মকান্ডে আমাদের কি ?
অনেক কিছু কারন ইমরানের সংখ্যা কোনদিকেই কম না ।  আগেও যেমন বলেছি,এর পৃষ্ঠপোষক বা শিশ্নলেহনের অথবা বাংলা কে আফগান করার সুমহান লক্ষ্যে অনেক প্রাণী সরাসরি অথবা সুশীল বেশে আছে আমাদের মাঝে । এদের চিনুন,লেখা ভালো না লাগলে কোনো দুঃখ নেই তবে সূত্র ধরে এই লোকগুলো কে পাল্টা প্রশ্ন করুন,কেন এই তালিবানের পোষা প্রাণীর গদিতে বসার জন্য উচ্ছাস করছে ওই লোকগুলো ? এক্ষেত্রে যদি মনে হয় তারা অজান্তে ওটা করছে তা হলে যুক্তির অস্ত্রে চেপে ধরুন আর যদি দেখেন গোল গোল ঘুরছে? তাহলে ত্যাগ করুন আর ততক্ষনাত লাত্থাষধী মানে লাথি মেরে দূর করুন ।  আগাছা রাখবেন না । 

লেখার সাথে তথ্যসূত্র জুড়ে দিয়েছি তবু দু একটা সূত্র দিলাম

লোকটিকে আরো জানতে :

১. ইমরানের তালিবানদের জন্য পাকিস্থানে দফতর খুলে দেওয়ার আবেদন : https://www.dawn.com/news/1045342/pti-chief-urges-govt-to-allow-opening-of-pakistani-taliban-office
২. ইমরানের সভার অনুমতি দেয় তালিবান https://www.dawn.com/news/753407
৩. তবু কথা চায় https://www.dawn.com/news/1079419