সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের’ মান-ইজ্জ্বত একেবারে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনে পথচারিদের উপর ট্রাক তুলে দেয়া সাইফুলের, এরকম সুন্নতী দাড়ি নিয়ে শিক্ষিত ভদ্র ধার্মীক নামাজি লোক আপনার আমার চারপাশেই আছে। বাংলাদেশে বিমান নিয়ে টুইন টাওয়ারে হামলার আদলে হামলার পরিকল্পনাকারী সাব্বিরকে কে ভেবেছিলো এত বড় জিহাদী সে মনে মনে? বাড়ির যুবক সন্তান অতিমাত্রায় নামাজি, সুন্নতী হয়ে উঠলে বাবা-মার দুঃশ্চিন্তার কারণ হওয়াটা ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের’ মান-ইজ্জ্বত একেবারে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে। লম্বা দাড়ির সুন্নতী কোন পাইলটের বিমানে চড়তে যদি এরপর মানুষ অস্বীকৃতি জানায় তাহলে কি সেটা রেসিস্ট বলে বিবেচিত হবে? বাংলাদেশী পাইলট সাব্বির বিমান ছিনতাই করে যাত্রীসহ মধ্যপাচ্যের কোন দেশে পালিয়ে গিয়ে যাত্রীদের জিন্মি করার পরিকল্পনা করেছিলো। এখন নিরাপত্তার খাতিরে ভীত হওয়াটাও কি রেসিস্ট বলে ধরা হবে? কেন সাইফুল্লারা হামলার সময় আল্লাহো আকবর বলে চিৎকার করে?

সাইফুল ‘আল্লাহো আকবর’ বলে ৮ জন নিরহ পথচারিকে হত্যা করে মেরেছে। সুইফুলের ধর্ম মতে এরা কাফের মুশরিক। এদের মনে ভীতি সৃষ্টি করে দিতে হবে। এতে করে দারুল হার্বে অর্থ্যাৎ কাফেরদের দেশে আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে।… এই ধর্ম বিশ্বাস সাইফুল-সাব্বিরদেরকে ধার্মীক হিসেবে অনন্য করে দিয়েছে। যে কোন ধার্মীক মানেই পশ্চাৎপর অনাধুনিক মানুষ। আজকের পৃথিবীতে বাস করে কয়েক হাজার বছর আগের পৃথিবীর বাস্তবতায় নির্দেশিত নিয়ম মানার মত হাস্যকর বিবেকহীন মানুষ। কিন্তু সাইফুল-সাব্বিররা এই কমন বৈশিষ্ট বাদেও হত্যা সন্ত্রাস দিয়ে ধর্মীয় রাষ্ট্র কায়েমের যে ধর্মীয় নির্দেশ পায়- তার দরুণই ঠান্ডা মাথার খুনিতে পরিণত হয়…।