আসল মুমিন হতে এমনি প্রতিযোগিতা কে কত মূর্তি ভাঙ্গতে পারবে।।

জেনে খুব অবাক হই বাংলাদেশের মুসলিমদের মুসলিমঅত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবি করার জন্য একমাত্র উপায় হল হিন্দুদের মূর্তি ভাঙ্গা। প্রতি বছর কম বেশি সংবাদ মাধ্যমে বা, কোন তথ্যের মাধ্যমে জানতে ও দেখতে পারি বিশেষ করে দুর্গা পূজার পূর্বে মূর্তি ভাঙ্গার নানান দৃশ্য, দৃশ্য গুলো দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় কোরআনের আলোয় আলোকিত মুমিনরা খাঁটি মুসলিম হিসেবে প্রকাশ করার জন্য আর কতো নিকৃষ্টতা প্রমান করবে।

আসল মুমিন হতে এমনি প্রতিযোগিতা কে কত মূর্তি ভাঙ্গতে পারবে, অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকে বাঙলার সংখ্যালগু নামক হিন্দুরা।নাই কি এদের পক্ষে কোন আইন বার বার নিঃচুপ সরকার, শুধু নিজের মোহাম্মদ নিয়ে ব্যাস্ত জরিমানা ও জেল। তবে ধর্মানুভূতি কি শুধু মুসলিম ধর্মে রয়েছে হিন্দুদের কি নেই কোন ধর্মানুভূতি? তবে কত ভয়ংকর বাক্য ইসলাম, কত নিকৃষ্ট হলো মুসলিম।
ভিত্তি প্রস্থর শুরু সাড়ে১৪০০ বছর পূর্বে কোরআন নামক পুস্তক আর ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা পায়।
ইব্রাহিম মূর্তি ভেঙ্গে প্রমান করেছেন এবং যুক্তিদিয়েছে যে ভগবান নিজেকে রক্ষা করতে পারেনা সেই ভগবান মানুষকে রক্ষা করবে কি ভাবে, এই ভগবান মূর্তির পূজা করা অর্নথক। সেই ধারনার ভাবধারা এখনো প্রচলিত মুসলিম সাম্রাজ্যে, তবে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান মুসলিমদের ধারনা হিন্দুদের মূর্তি ভাঙ্গালে সোওয়াব/পূর্ন পাওয়া যায়। সোওয়াবের পরিমান বাড়াতে গিয়ে মূর্তি ভাঙ্গতে ভঙ্গতে মানুষ হত্যার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জঙ্গি, হিজবুত তাহেরি, আনসারউল্লায় পরিনত হচ্ছে সভ্য ও শ্রেষ্ট ধর্ম ইসলামের মুমিনগন। ইব্রাহিমের যুক্তির আলোয় আলোকিত হয়ে বর্তমান মুমিনরা যদি মূর্তি ভাঙ্গে, তবে বলতে হয় মক্কায় প্রতিনিয়ত নানা ভাবে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে আল্লা তাদের রক্ষা করতে পারে না কেন, এবং মক্কা নগরি ও কাবা শরিফ নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে লাগানো আছে সিসি ক্যামেরা এবং মোতায়েন আছে হাজার হাজার পুলিশ তবে কেন? আল্লার ঘরকে রক্ষা করারা জন্য নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরা ও পুলিশ মোতায়েন করা হলো। আল্লার ঘর তো এমনিতে নিরাপদ আল্লা সর্বশক্তিমান তবে এগুলো কেন? এই ক্ষেত্রে বোঝা গেল আল্লা নিজেকে রক্ষা করার মত শক্তি নেই তাই পুলিশ ও ক্যামেরার সহযোগিতা নিচ্ছে, তবে এই আল্লার প্রার্থনা করে কি লাভ? সবই বোঝা গেল কিন্তু বাঙলাদেশে কোন হিন্দুকে তো কখনো দেখা যায়নি মসজিদ ভাঙ্গতে, নামাজে বোমা মারতে কোন ধর্মকে অবলম্ব করে মুসলিম হত্যা করতে। তবে এই প্রবনতা শুধু মুমিন মুসলিমদের মধ্যেই দেখা যায়। ইসলাম ধর্মই সেরা ইসলাম ধর্ম শ্রেষ্ট প্রমানে ত্রুটি থাকেনা। মূর্তি ভাঙ্গার এই কাজ্য মুসলিমদের একটি উৎসবে পরিনত হয়েছে। হাদিস কোরান অনুযায়ি মুসলিমদের প্রধান উৎসব দুটি হলেও বর্তমান তা পরিনত হয়েছে তিনটিতে…
১)ঈদুল ফিতর।
২)ঈদুল আহয(গরু জবাই এর উৎসব)।
৩)হিন্দুদের মূর্তি ভাঙ্গা।