“ভারত ভাগ এক গভীর ষড়যন্ত্রের ফসল”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
ইংল্যান্ডের ওয়ারউইক দুর্গের একটি ঘরে বসে ভারতকে স্বাধীনতা দেবার কথা প্রশাসনিক ঘনিষ্ট মহলে আলোচিত হয়।। সেই ঘরে স্যার উইনষ্টন চার্চিলের সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত হয় ভারতকে পুর্ন স্বাধীনতা দেওয়া হবে এবং তা দেওয়া হবে ১৯৪৮ সালের আগেই “India will be given Full Independence not later than 1948 ). ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সেই সিদ্ধান্ত পাশ ও হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইংল্যান্ডকে আর্থিক দিয়ে সর্ব শান্ত করে দিয়েছিলো। ভারতকে এবং অন্যান্য উপনিবেশ ধরে রাখার মতো আর্থিক অবস্থায় ইংল্যান্ড ছিলো না। শুধু ভারত নয় সব উপনিবেশ থেকে তারা সরেই এসেছে, ১৯৪৫ সালের পর থেকে। ভারতকেও ছেড়ে দিতো।
তাহলে, তড়িঘড়ি করে দেশটাকে ভাগ করার কি দরকার ছিলো ???? কলকাতায় “ডাইরেক্ট একশান’ বলে ১৯৪৬ সালে র আগষ্টে যে “হিন্দু নিধন যজ্ঞ” হয়, যার ফলশ্রুতিতে নেহেরু গান্ধী তড়ি ঘড়ি করে জিন্নার হাতে দেশের এক তৃতীয়াংশ তুলে দিতে রাজী হলো সেটা একটি ” Back door diplomatic negotiation” বলেই আমার ধারনা।
ক্ষমতার অলিন্দে যারা থাকে, নিজেদের স্বার্থে তার সব কিছুই করতে পারে। মাতৃসমা নিজের দেশকে বেচে দিতে তারা অপারগ নয়। গান্ধী নেহেরু তার থেকে কিছু ব্যাতিক্রমী নন।
” দেশ ভাগ/ ভারত ভাগ, তাই একটি গভীর ষড়যন্ত্রের ফসল। এই ষড়যন্ত্রের কুশীলব গান্ধী, নেহেরু, জিন্না এবং ব্রিটিশ সরকার।
হাজার হাজার মানুষের রক্তে রাঙ্গানো এই মানুষগুলি তাই শাস্তি পেয়েছে।— গান্ধী মরেছে গুলি খেয়ে, জিন্না মরেছে টি বি তে, মাউন্টব্যাটন মরেছে Ireland Revolutionary Army (IRA) এর বোমায়, নেহেরুর মেয়ে, দুই নাতির মৃত্যু হয়েছে অপঘাতে।
পাপ কাউকে ছাড়ে না।