এই দেশের বামেদের মূলত দুভাগে করা যায়।

এই দেশের বামেদের মূলত দুভাগে করা যায়।

১) চোট বাম — নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এঁরা চোটপাট অর্থাৎ সশস্ত্র শ্রেণিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলে বিশ্বাসী। “কমরেড” মাও এবং লিন পিয়াও এর আদর্শে বিশ্বাসী এই বামকুল সংসদীয় নির্বাচন থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন। পার্লামেন্টকে শুয়োরের খোঁয়াড় মনে করেন। বুঝতেই পারছেন হার্ডকোর নকশালপন্থী এবং মাওবাদীরা এই শ্রেণিতে পড়েন।

২) ভোট বাম — ভোটে জেতার জন্য যারা সব কিছু করতে পারেন, তাঁরাই ভোট বাম। এঁদের একটাই লক্ষ্য — সংসদীয় গণতন্ত্রে সমস্ত দলকে সুবিধাবাদী এবং প্রতিক্রিয়াশীল আখ্যা দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করা এবং তারপর আখের গোছানো। নির্লজ্জ সংখ্যালঘু তোষণ এঁদের অন্যতম মূলমন্ত্র। উদ্দেশ্য পরিষ্কার।   এঁদের আবার কয়েকটি সাব ক্যাটাগরি আছে!  যেমন —

ক) নোট বাম — মানে যারা নোট অর্থাৎ টাকার জন্য দলটি করেন। এঁদের অনেকেই চাকরি বাকরি জুটিয়ে বেশ ভালই আছেন। 

খ) ঘোঁট বাম — যাদের কাজ কেবল ঘোঁট পাকানো।  ঘুটুবাজি করে কিভাবে টিকে থাকতে হয়, এঁরা আপনাকে হাতে কলমে শিখিয়ে দেবেন।

গ) জোট বাম — ক্ষমতার জন্য এঁরা যে কোনো দলের সঙ্গে জোট করতে পারেন। এর নমুনা আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি। ভবিষ্যতে আরও দেখবেন। এই যেমন এখন লাল সবুজ জোটের কথা উঠেছে। গেরুয়া বধের মহান উদ্দেশ্যে।

ঘ) ফোট বাম –এরা ফুটে যাওয়ার জন্য রেডি থাকে তাই ফোট বাম। গণনা কেন্দ্রের দিকে এদের কড়া নজর!  শকুনের চেয়েও শক্তিশালী ইন্দ্রিয়ের অধিকারী এই বামেরা সরকার বদলের গন্ধ সবার আগে পায়। ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে পতাকা বদল।  অটোচালকদেরই এব্যাপারে অগ্রদূত বলা যায়।

ঙ)লোট বাম — এঁদের সম্পর্কে আর কি বলব!  নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এঁরা লুটে পুটে খায়।

চ) খোঁট বাম — মনের মধ্যে খোঁট,  তাই এরা খোঁট বাম। তবে এটা কমন ফিচার। সব বামের মধ্যেই দেখা যায়।

ছ) মোট বাম — এঁরা হলেন মোটের উপর বাম। সেটা কেমন?  এখন আর পার্টিটা করেন না। বয়স হয়েছে।  শক্তিও তেমন নেই। তবু মনে মনে একটা টান — কমরেড এবার আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে!  এঁরা মোটের উপর ভাল মানুষ। আড়ালে দলের সমালোচনাও করেন। কষ্টও পান। বেনোজল ঢুকে পার্টিটা শেষ হয়ে গেল!