আইনস্টাইনের মাথায় তথ্য ছিলো না, কিন্তু চিন্তা করার ক্ষমতা ছিলো ।

বিসিএস ক্যাডার সুশান্ত পাল এবার যদিও রোজা রেখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রসব করাননি, তবে তিনি রোজার উপকারিতা নিয়ে স্ট্যাটাস প্রসব করিয়েছেন । রোজা রাখলে এই উপকার, রোজা রাখলে ঐ উপকার – অর্থাৎ তার মতে, রোজা রাখলে উপকারের কোনো শেষ নেই । যাই হোক, হঠাৎ বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের কথা মনে পড়ে গেলো । আইনস্টাইন ছাত্রজীবনে খুব মেধাবী ছিলো না, কোনো রকমে টেনে টুনে থার্ড বা সেকেন্ড ক্লাশে বিএ পাশ করে । এরপর সে গেছে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে, সেখানে চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যরা তাকে কিছু প্রশ্ন করেছে, সে জবাব দিতে পারেনি । পরিশেষে তারা বলেছিলো আপনি তো একটা প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারেননি, আপনাকে কি করে চাকরি দেই? জবাবে আইনস্টাইন বলেছিলো, বিশ্বকোষ খুললেই যে প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া যাবে, সেগুলো মাথায় রাখার দরকার কি? সেই চাকরিটা আইনস্টাইন পেয়েছিলো কিনা জানিনা, তবে সে প্রথম জীবনে একটা অফিস কেরানীর চাকরি করতো । সেই কেরানীর চাকরি করতে আইনস্টাইন মহাবিশ্ব সম্পর্কে চিন্তা করতো, সেই চিন্তায় এক সময় তাকে জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী করে তোলে । আইনস্টাইনের মাথায় তথ্য ছিলো না, কিন্তু চিন্তা করার ক্ষমতা ছিলো । তাই সে কেরানী থেকে জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পেরেছেন ।

কিন্তু বিসিএস ক্যাডার সুশান্ত পালের মাথায় মুখস্হ তথ্য ব্যতীত আর কিই বা আছে । সে তথ্য দিয়ে শুধুমাত্র ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের খুশি করা যায় । তবে মাথায় চিন্তা করার মত শক্তি তার নেই । এজন্য সে আজীবন সরকারের কেরানীই থেকে যাবে, জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পারবেন না । যেহেতু সে বিসিএস ক্যাডার সেহেতু তার কেরানীর পদটা একটু উপরে হবে । কাজেই কেরানীর টেবিল না বলে বলতে হবে ডেস্ক, টেবিল বললে তো তার আবার সম্মান চলে যাবে । সুশান্ত পাল মেধাবী কেউ নন, সে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন মুখস্হ বিদ্যায় । বিসিএসে প্রথম প্রতি বছরই কেউ না কেউ হন । তাই আলাদা ভাবে সুশান্ত পালকে সম্মান দেওয়ার কিছু নেই । তিনি কি এখন পর্যন্ত কোনো আবিষ্কার টাবিষ্কার করেছেন? করেননি তো আর পারবেনও না । যে বিসিএস ক্যাডারকে আইনের মাধ্যমে ‘পাগল’ উপাধী দেওয়া হয়, সেই বিসিএস ক্যাডারের কি সম্মান থাকতে পারে?

অনেকে হয়ত বলে থাকবেন, তবুও তো আমাদের স্বজাতি ভাই । হিন্দু সমাজে জন্ম নেওয়া একটা ছেলে কোনো ভাবেই হিন্দু ধর্ম ও সমাজকে অপমান করতে পারেন না । মনে রাখবেন, হিন্দু সমাজে বেড়ে উঠা এক ধর্ষক পরিমল জয়ধর না থাকলেও চলবে । হিন্দু সমাজে বেড়ে উঠা এক দুর্নীতিবাজ নেতা নিম চন্দ্র ভৌমিক না থাকলেও চলবে । তদ্রুপ এক অসভ্য বিসিএস ক্যাডার সুশান্ত পাল হিন্দু সমাজে না থাকলেও চলবে ।