বাংলাদেশের প্রগতিশীলদের লুঙ্গি খুলে দিয়েছিলো।

প্রিয়া সাহা আমাদের সো কলড প্রগতিশীলদের লুঙ্গি খুলে দিয়েছিলো। প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের হিন্দুদের বাঁচাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছিলো। তখন চারদিকে ছি: ছি: পড়ে গিয়েছিলো যে এদেশেরটা খেয়ে, এদেশেরটা পরে, এত প্রোটেকশন দিয়ে রেখেও হিন্দুরা বাংলাদেশের লুঙ্গি খুলে দেয় বারবার…।

…হ্যাঁ, বাংলাদেশের লুঙ্গি খুলে গেছে আবার! ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের’ লুঙ্গি খুলে গেছে!… বিপ্লব চন্দ্র শুভ বাংলাদেশের লুঙ্গি খুলে দিয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে বিপ্লবকে নির্দোষ বলার পরও বিপ্লব এখন এ্যারেস্ট হয়ে জেলে। ভোলার তৌহদী জনতার ৬ দফার মধ্যে একটি ছিলো ‘হিন্দু বিপ্লবকে’ গ্রেফতার করতে হবে। সারা পৃথিবীর মানুষ এখন দেখুক, আইন শংঙ্খলা বাহিনী যেখানে প্রমাণ পায় নির্দোষ, সেখানে শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের কাছে আইন পরাজিত হয়ে কিভাবে বাংলাদেশে অবিচার প্রতিষ্ঠা হয়। প্রিয়া সাহা যে হিন্দুদের বাঁচাতে চেয়েছিলো সেটা কি মিথ্যা ছিলো? ওহে ‘সুধির ভাইরা’ সেদিন তোমাদের যাদের প্রিয়া সাহায় ফোস্কা পড়ে গিয়েছিলো তারা কোথায় বিপ্লবের প্রতি অন্যায়ের বিচার কর তো দেখি! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বিচার চেয়েছিলো কেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভ্রৌমত্বকে অবজ্ঞা করে প্রিয়া সাহা অপরাধ করেছিলো… বাহ বেশ বেশ… তা কি প্রমাণ হলো এদেশে কে স্বাধীন? এদেশের একজন হিন্দুর তুলনায় মোল্লা স্বাধীন না? আজ পর্যন্ত যতগুলো সাম্প্রদায়িত ঘটনা ঘটেছে, রামু, সাঁথিয়া, নাসিরনগর, ভোলা… কোথাও কোন মোল্লার বিচার হয়েছে?

ভোলাতে নিশ্চয় সুধীর ভাইদের কোন প্রতিনিধি দল যাবে। গিয়ে নাকে কেঁদে বলবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্ত হচ্ছে। কমরেডরা অলরেডি একজন একজন করে গর্ত থেকে বেরুচ্ছে। ভোলাতে জনতার উপর গুলি চালানোর বিরুদ্ধে তাদের বুকের ভেতর হু হু করে কাঁদছে। একটা ধর্মান্ধ উন্মত্ত্ব জনতা সেদিন প্রশাসনের বারবার অনুরোধ সত্ত্বে, অপরাধীদের গ্রেফতার করার পরও সমাবেশ ডেকে সেখানে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ভীতি ছড়াতে থাকে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই দুটো লাশকে দিতে পুলিশ বাধ্য হয়েছে যে দুটো লাশের মাথা ছিলো থেঁতলানো। সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহদী জনতার পক্ষ নিলে কমরেডরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠির জনসমর্থন পাবেন এই আশা খালি দুরাশাই নয়, সেদিন সমাগত যেদিন কমিউনিস্ট করলেই ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলবে বাংলাদেশে এই মোল্লারা। এই বিপ্লবরা আর কতদিন, একদিন হয়ত শেষ হিন্দুটি দেশত্যাগ করবে, তখন আজকের সুধির ভাইরা, বেপ্লবী কমেরেডরা, প্রগতিশীল লীগার, জাতীয়তাবাদী, মডারেট কেউ রেহাই পাবে না। মোল্লাতন্ত্র কাউকে ছাড়বে না। প্রিয়া সাহার মত সেদিন যদি এভাবে শরণার্থী হয়ে বিদেশী কাউকে গিয়ে বলেন, প্লিজ আমাদের বাঁচান, বাংলাদেশে আমাদেরকে শেষ করে দেয়া হচ্ছে, ওখানে কোন শুভবুদ্ধির মানুষই আজ নিরাপদ নয়… তখন আপনাদের স্বাধীনতা সার্বভ্রৌমত্ব অক্ষুণ্ন থাকবে তো?