গুনাবলীতে না বেড়ে সংখ্যায় বাড়া লজ্জাজনক!

গুনাবলীতে না বেড়ে সংখ্যায় বাড়া লজ্জাজনক!

বেকুব মুমিনরা প্রায়ই গর্ব করে ইসলাম দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম, মুসলিমের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এই বৃদ্ধি যে, পালে পালে বাচ্চা দেয়ার কারনে হচ্ছে ঘিলুলেস মুসলিমদের বেশির ভাগ তা বুঝে না। আচ্ছা বিশ্বে সবচেয়ে দুর্ভোগে আছে কোন জাতি? কারা সবচেয়ে সস্তায় শ্রম বিক্রি করে? কারা উন্নত বা ধনী দেশের জন্য দাস দাসী সাপ্লাই দেয়? পশ্চাতপদ, অশিক্ষিত, দরিদ্র জনসংখ্যায় রেকর্ড করে বসে আছে কারা? এর সবগুলির উত্তর মুসলিমরা। এই অতিরিক্ত মানুষ শুধু দেশ না সারা বিশ্বের জন্য দুর্ভোগ।  মূর্খের দল বাচ্চা পয়দা করে আর বাচ্চাদেরকে ঝুকিপূর্ণ জীবনের দিকে ঠেলে দেয়।

সংখ্যায় কী যায় আসে? ছাগল ভেড়ার জন্ম হার হাতি সিংহের জন্ম হারের তুলনায় অনেক বেশী, তাই ছাগল ভেড়ার সংখ্যা হাতি সিংহের চেয়ে অনেক বেশী, তাই বলে কি ছাগল ভেড়ার মর্যাদা হাতি সিংহের চেয়ে বেশী? জন্মহার বাড়িয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গর্ব করা আহাম্মকি। ২০৭০ সালে বিশ্বের মোট জনসংখার বেশির ভাগ মানুষ ধর্মবিশ্বাসহীন থাকবে।

মাত্র ২২,০০০ বর্গকিলোমিটারের, ৬০ লক্ষ ইহুদী অধ্যুষিত ইসরাইল পুরো আরবসহ বিশ্বের অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে। জ্ঞান বিজ্ঞানে তাদের রয়েছে বিশাল অবদান। ১৫০ কোটি মুসলমান বরং ইসরাইল আমেরিকার দয়ায় মুসলমান পরিচয়ে বেঁচে আছে।  

সম্পদের তুলনায় বেশী জনসংখ্যা, অশিক্ষা কুশিক্ষা ও নিজেদের মধ্যে ইসলামী শান্তির গুতাগুতিতে আজ বিশ্বের সবচেয়ে বেশী উদ্বাস্তু  মুসলমানরা। কিন্তু তারা কোনো ইসলামী দেশে শরণার্থী হচ্ছেনা, আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে তারা অমুসলিম দেশেই খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য কান্নাকাটি ও হাতেপায়ে ধরছে। আশ্রয় পেয়েই তারা সন্ত্রাসবাদী ইসলাম ত্যাগ করে মুক্তির স্বাদ নিচ্ছে।

জিহাদ না করে একজন মুসলিমকে কি অমুসলিম শাসকের অধীনে বা অমুসলিম শাসিত দেশে বাস করা উচিৎ? কোরান মতে অমুসলিম শাসিত কোনো দেশে কোনো মুসলিম থাকতে পারেনা। যে থাকে সে আর মুসলমান নয়। 

বিশ্বের মোট মুসলিম জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশী বাস করে অমুসলিম শাসিত দেশে। রিজিক ও হায়াতের জন্য অমুসলিমদের অনুগ্রহে মুসলমান বেঁচে আছে। আল্লাহ, মোহাম্মদের জন্য ইসলামের জন্য যা বিরাট পরাজয় ও অপমানকর।

আল্লাহর আইন কোরআনের পরিবর্তে তাগুতি বা মানবরচিত আইনের শাসন মানার অঙ্গীকার করেও নিজেকে যে মুসলিম পরিচয় দেয়, সে আল্লাহর সাথে প্রতারণা করে। সে একটা ভণ্ড, কপটাচারী। আর মানুষের মধ্যে ভণ্ড, কপটাচারীরাই নিকৃষ্ট।

তথাকথিত মুসলিমরা ইউরোপ আমেরিকাসহ অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মানবরচিত সংবিধান শাসিত দেশগুলির তাগুতি সংবিধান মানার অঙ্গীকার করেই সেখানে ‘মুসলিম’ থাকে, যা আল্লাহ অনুমোদিত মুসলমান নয়, মূর্খ-বেকুব বা ভণ্ড মুসলমান মাত্র।