পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুর ভবিষ্যৎ কি???? পর্ব- ১

” পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সমর্থন পেতে মরিয়া সিপিএম.”
আপাত নিরীহ এই খবরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক অজানা আতঙ্ক, এ যেন শুকনো পাতার আড়ালে লুকোনো চন্দ্রবোড়া সাপ। সাধারণত শুকনো পাতার আড়ালে লুকানো চন্দ্রবোড়া সাপ নজর এড়িয়ে যায় আর ফণাহীন বিষধর এই সাপ পলকে ছোবল বসিয়ে দেয়..।
একবার ভাবুন, এই রাজ্যে বর্তমানে কি পরিস্থিতি..। মালদার কালিয়াচক, বর্ধমানের খাগড়াগড় এসবের পর কালিয়াগঞ্জ, নদীয়ায়, মুর্সিদাবাদ হয়ে আমাদের হাওড়ার ধুলাগড়, তেহট্ট সর্বত্রই এক চাপা আতঙ্ক হিন্দুদের মধ্যে বিরাজ করছে..।
একদিকে যখন এই পরিস্থিতি তখন যাদবপুর এ শ্লোগান ওঠে “কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি “। আবার কলকাতায় এক লালদাড়ি বকরি জানায় ” পাকিস্তানের সাপোর্ট করবো, ভারতের আইন মানিনা “।
আই এন এ জানায় এ রাজ্যে বাংলাদেশী জামাত ঘাটি গেড়েছে। কোথাও মন্দিরে গরুর মাংস ফেলা হচ্ছে, কোথাও মুর্তি ভাঙা হচ্ছে..  আমাদের এখানে শিবলিঙ্গ তুলে ফেলেই দিয়েছিলো..।
সবই চলছে খুব ধীর অথচ সাবলীল গতিতে..। তার মানে কি..?
মানে এ রাজ্যে জামাত ( বাংলাদেশী)  তাদের ছক ভালোই কষছে.. ইসলামিক বঙ্গ বানানোর।

আর তাতে সাহায্য করে চলেছে এ রাজ্যের শাসকদল পরোক্ষভাবে..।  কি রকম.?

তোষণ,  আজ আর তোষণ এর পর্যায়ে নেই এ যেন পদলেহনে পরিণত হয়েছে। যেখানেই কোন দাঙ্গা হচ্ছে সেখানেই সরকার কঠোরভাবে হিন্দুদের দমন করছে..কিন্তু অপরপক্ষকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
দেশের সর্বত্র নোটবন্দী নিয়ে এতো নাটক হয়নি যা এই রাজ্যে হয়েছে..। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে এক শ্রেণীর মুসলিম যারা গরুর মাংস আর চামড়ার কারবারি তাদের বিপুল টাকা আটকে যায় নোট বাতিলের ফলে। আর তাদের চাপে এ রাজ্য টলমল করে উঠেছিলো তাই রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছিলেন নেত্রী। ( জানিনা সত্যি কি মিথ্যা, তবে বুঝি উনি জানতেন কিছুই হবে না তবুও তাকে নামতে বাধ্য হওয়া বোঝায় “কুছ গলদ জরুর থা “)
আবার দেখুন তিন তালাক নিয়ে এ রাজ্যে মিছিলেও সরকারি দলের নেতাদের উপস্থিতি চোখে আঙুল তুলে দেখায়, এদের মৌলবাদী প্রীতি।
মনে আছে নিশ্চই এ রাজ্যেই কলকাতায় দুর্গাপূজা বন্ধ হওয়া, নলহাটিতে দুর্গাপূজা বন্ধ করা, আরে তেহট্টের স্কুলে সরস্বতীপূজা বন্ধ করা ভুলে গেছেন নাকি..? বিজয়াদশমী পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা আর মহরমের মিছিলে সহযোগিতা..  ভুলে গেছেন..?
এ রাজ্যে তৃনমূল এর মুসলিম প্রীতিতেই আমাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, তার উপর আবার সিপিএম মাঠে নামছে..।
এই সিপিএম কিন্তু কম নয়.. উত্তরপ্রদেশে কেউ মরতেই এ খানে প্রকাশ্য রাজপথে গরুর মাংস খেয়ে বিকাশ বাবু নিজের চরিত্রের বিকাশ ঘটিয়ে আমাদের ভাবাতে বাধ্য করলো, শুয়োরের মাংস খেয়ে সেলিমের ধর্মনিরপেক্ষতা একদিন দেখার সুযোগ, এই সিপিএম অবশ্যই করবে।
একদা এই “কমরেট”রা বিজনসেতুতে সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী দের জীবন্ত জ্বালিয়ে হিন্দুত্বকে জ্বালিয়েছিলো। এরাই তসলিমা নাসরিন কে আটকায় নি কিন্তু মকবুল ফিদা কে নিমন্ত্রণ করেছিলো..।
এরা আবার নামছে মুসলিম ভোট পেতে.. তার মানে  কি হতে চলেছে..?
এবার শুরু হবে ” টাগ অফ ওয়ার”, কে কত বেশী পদলেহন করতে পারে সংখ্যালঘু মুসলিমদের। তাই এবার আরো সক্রিয় হবে.. বকরির মতো ইমাম রা.. তাদের বিষাক্ত ফতোয়ায় অন্ধকার হয়ে যাবে পবিত্র সকাল..। 
তৃনমূল ভাববে আমি থাকবো আগে, সিপিএম ভাববে আমি.. দু জনের এই পদলেহনে হিস হিস করে উঠবে লুকানো জামাতি সাপ..।
এই সুযোগ টাকেই কাজে লাগাবে তারা..। আর ছুরি আপেলে পড়ুক বা আপেল ছুরিতে, কাটবে কিন্তু আপেলই..। তেমনি অসংগঠিত হিন্দু, যখনই জামাতিদের খপ্পরে পড়বে ক্ষতি হবে আমাদেরই।
তাই বঙ্গহিন্দু সাবধান..!!!
বিপদ আসন্ন,  রাজনৈতিক মতাদর্শ ভালো কি মন্দ বিচার তখনই সম্ভব, যখন আমি আপনি নিশ্চিন্তে ঘরে মা-বোন-পত্নী-কন্যা নিয়ে বাঁচতে পারবো..। নইলে বাক্স প্যাঁটরা নিয়ে যেমন আজ ওপার বাঙলা থেকে আমাদের কিছু ভাইয়েরা যেমন পালিয়ে বাঁচতে চাইছে, আমাদেরও অবস্থা তাই হবে..।
কি ভাবছেন..?
কি করবো..?
আরে আবার ভাবুন… যে রাজ্যে একদা রাজ করা সিপিএম আমলে, বাংলাদেশী জামাতদের মেটিয়াব্রুজ, খিদিরপুরে পঞ্চাশ পয়সায় রেশনকার্ড করে দিয়ে বসিয়েছিলো তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী কলিমুদ্দিন আর আজ সেই এলাকাকে নিশ্চিন্তে মিনি পাকিস্তান আখ্যা দেয় আজকের এক মন্ত্রী হিরহাদ।
যেখানে বাম আমলে একদা লুটিয়ে পড়েছিলেন ডিসি পোর্ট বিনোদ মেহেতা, সেই এলাকায় এই আমলেই গুলি খেয়ে মারা যান এস আই তাপস বাবু…।
একদা মরীচঝাঁপি করে হিন্দুদের রাতের অন্ধকারে সাফ করে দেওয়া হয় আবার আজকাল ফতোয়ার মুখে বাংলাকে দাঁড় করানো হয়..।
ওয়াটার সিনেমায় হিন্দু বিধবাদের বেশ্যা বলায় শুটিং বন্ধ করায় এই রাজ্যে তা করার আহবান জানান তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আর গবাদিপশু আইনের আওতায় গরু থাকায় তার বিরোধিতা করে আজকের মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু কেন…?
শুধুই মুসলিম ভোট, যা মাত্র সাতাশ শতাংশ, তার জন্যই এদের এতো  কিছু..? আরে, ওই ওইটুকু ভোট ওদের এক..। আর আমি আপনি..?

দিন ঘুরিয়ে, সব বদলিয়ে. মুখে কিছু না বলে ব্যালটে বুঝিয়ে দিন.. হিন্দুরাও ফেলনা নয়..।।

আগে  আজ ব্যালটের লড়াইয়ে এক হোন, নইলে কাল বুলেটের লড়াইয়ে হার জিতে নামতেই হবে..।
আর বাড়িতে, কাটারিও না রাখা হিন্দু বাঙালী অস্ত্রহাতে জামাতদের সাথে লড়ে বউ-মেয়ে-বোন-মা কে গণিমতের মাল হওয়া থেকে আটকাতে পারবে তো..? ভয় হয়..।।

আর কি বলি..?
শেষে বলি রামনবমী তে অস্ত্রমিছিল এ রাজ্যে বে আইনি অথচ মারাত্মক অস্ত্রমিছিল মহরম এখানে শান্ত, আইনসিদ্ধ…।
হাঃ হাঃ হাঃ

পারলে আমার ভুলভাল কথাগুলো মনে রাখবেন..।
ভালো থাকুন…..

রুদ্র প্রসাদ ব্যানার্জ্জী।