দেশ কি তার প্রতিভাবান সন্তানকে ফেরাতে চেয়েছে কখনও……………………..?

নভেরা সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানতাম না। ওনার মৃত্যুর পর ইন্টারনেট ঘেঁটে যা তথ্য পেয়েছি তাতে মনে হচ্ছে উনি দেশের সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখতে চাননি। যে দেশের শহীদ মিনারের নকশায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে, স্বাধীনতার পর সেই দেশটি একবার দেখতে তাঁর ইচ্ছে হয় নি, এটি সত্যিই অস্বাভাবিক ব্যাপার। একুশে পদক পাওয়ার পর উনি কি কোন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন?

শিল্পীর সৃষ্টিই শুধু তার পরিচয় নয়, তার জীবন যাপনই একটি অনবদ্য শিল্পকর্ম হয়ে ওঠে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে।’ আসলেই তাই, একজন শিল্পীর জীবন তার সময় এবং সমাজ বাস্তবতাকে প্রতিনিধিত্ব করে। তার জীবন মানুষের জীবনের প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সংকটগুলর উপর আলকপাত করে, মানুষের প্রতিক্রিয়া, সংগ্রাম আরও অনেক কিছু উঠে আসে শিল্পীর জীবনীতে। নভেরা ছিলেন আমাদেরি একজন, তাই তার জীবনের অজানা অধ্যায় গুলো নিয়ে আমাদের প্রয়জনেই কাজ করা দরকার। সারা বিশ্বে নির্মীত স্মৃতিস্মারকগুলো অনেক বেশী গুরুত্ব বহন করে সেই দেশ ও সংস্কৃতির জন্য । নতুন প্রজন্মের শিল্পীদেরও কিছু কাজ করবার সুযোগ করে দেয়া উচিৎ, কিভাবে দেবে সেটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব । যদিও কিছু মুরখের দল দাবী করছেন যে শিল্পী নভেরা নাকি বৌদ্ধ দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের শহীদ মিনারের নকশা নির্মাণ করেছেন ; কিন্তু শিল্পী নভেরা আহমেদের আচরণে আমরা বৌদ্ধ দর্শনের ( শান্তি বা ক্ষমা ) কোনো নমুনা পাই না । এমনকি ভাষা আন্দোলনের মূল ভাবনার সাথে নভেরার প্রণীত বৌদ্ধ দর্শনের প্রতিফলনে অঙ্কিত আমাদের শহীদ মিনারের নকশাটিও সামঞ্জষ্যপূর্ণ নয় ।

Scroll to Top