#ভবিষ্যতের_চিকিৎসক_থেকে_সাবধান!!
বিগত বছর রাজ্য মেডিকেল এন্ট্রান্স (২০১৬) পরীক্ষায় “আল আমিন মিশন” নামক একটি মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সন্দেহজনক ভালো ফল করে।
ঐ বছর মোট 4000 ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে 618 জন মুসলিম পাস করেছে শুধু আল আমিন মিশন স্টাডি সার্কেল থেকে যা আল আমিন মিশন নামে একটি মুসলিম প্রতিষ্ঠানের শাখা। মোট মুসলিম পাশ করেছে 1134 জন। সুতরাং, 28.35% মুসলিম ছাত্র ছাত্রী গত বছর মেডিকেল এন্ট্রাস পাশ করেছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড ও কখনোই সন্দেহের উর্ধ্বে নয়।
আশ্চর্যজনক ভাবে এই আল আমিন মিশনের বেশীর ভাগ মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার সেন্টার হয় মূলত; 6টি কেন্দ্রে । কেন্দ্র গুলি হলো 1. সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইন্স্টিটিউশন (Center Code 579312), 2. বজবজ ইন্স্টিটিউট অফ টেকনোলজি (Center Code 589111), 3. ডোমজুড় নেহেরু বালিকা বিদ্যালয় (Center Code 579512), 4. উলুবেড়িয়া ওম দয়াল ইন্স্টিটিউট (Center Code 579112), 5. কলকাতা মিত্র ইন্স্টিটিউট (Center Code 581612) ও সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-উলুবেড়িয়া (Center Code 579113)। এই সব কেন্দ্রে মুসলিম পরীক্ষার্থীর সফলতার হার অস্বাভাবিক যা 90% এরও বেশি।
উপরের ওই ছয়টি কেন্দ্র থেকে মোট সফল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 760 জন যার মধ্যে সফল মুসলিম পরীক্ষার্থী 692 অর্থাৎ 91% সফল পরীক্ষার্থী মুসলিম।
এর আগে 26 শে আগস্ট, 2016 রেজাল্ট বেরোবার পর অনেক পরীক্ষার্থী তাদের ফলাফলে খুশি না হয়ে স্কোর জানানোর জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের রাজারহাট অফিসে ধর্ণা দেয় । স্কোর না জানিয়ে জয়েন্ট এন্ট্রাস দপ্তর OMR উত্তর পত্র প্রকাশ করে তাদের ওয়েব সাইটে। অসংখ্য পরীক্ষার্থীর Ranking ও Score না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়। 2 সেপ্টেম্বর, 2016,হাইকোর্টের নির্দেশে [WP 17757 (W) of 2016] বিস্তারিত রেজাল্ট প্রকাশ করার পরেও মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ওয়েব সাইট থেকে তা তুলে দেওয়া হয়। এরপর মানুষের সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়ে যায়।
পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের শিক্ষার হারের তুলনায় এই সাফল্যের হার অত্যন্ত অস্বাভাবিক।
এই অস্বাভাবিক ফলের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করা হয়। WBJEEB এর বিরুদ্ধে চিফ জাস্টিস(এক্টিং) নীশিথা মাত্রে এবং জাস্টিস তবব্রত চক্রবর্তির ডিভিশান বেঞ্চ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে ৫ লাখ টাকা ফাইন করেছেন এই বেঞ্চ, গত ২০১৬ সালের মেডিকালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অনিয়মের কারনে (“callous and lackadaisical” manner) আর এই টাকাটা কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে আর্থিক দুর্বল ছাত্রদের উন্নতির জন্যে।
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে অকৃতকার্য হওয়া দুই ছাত্রের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায়দান। পরীক্ষায় বহু অনিয়ম দুই বিচার প্রার্থী তাদের পিটিশানে তুলে ধরেন। বিশেষ করে “আল- আমিন মিশন” নামে এক সংখ্যালঘু সমম্প্রদায় পরিচালিত একটি শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্রদের অস্বাভাবিক সংখ্যায় পাশের হার যা যথেষ্টভাবেই প্রশ্ন উত্থাপন করে। মহামান্য হাইকোর্ট জয়েন্ট এন্ত্রান্স বোর্ডের মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তাদের বহু অকর্মন্যতা লক্ষ করেই তাদের উপর এই ফাইন আরোপ করেছেন। কিন্তু এই দুই ছাত্রদের মুল প্রার্থনা ছিল ২০১৬ সালের মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষাটাকেই বাতিল বলে ঘোষনা করা হোক। যেহেতু ইতিমধ্যে একটি শিক্ষাবর্ষ অতিক্রান্ত, তাই মহামান্য উচ্চ আদালত বর্তমানে প্রথম বর্ষের কয়েক হাজার ডাক্তারি পড়ুয়াদের কথা ভেবেই সেই প্রার্থনা মঞ্জুর করেন নি।
আগামী দিনে সদ্য পাশ করা ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা করাতে গেলে তাদের পরিচয়টাও জানার দরকার হবে কিনা!!!