বাদুড়িয়ার ঘটনা

বাদুড়িয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন কি? আপনার ভবিষ্যৎ বাঁচবে তো!-দুর্মর

বাদুড়িয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন কি? আপনার ভবিষ্যৎ বাঁচবে তো! পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের বাদুড়িয়াতে শান্তিবাদিরা যে ঘটনা ঘটিয়েছিল, সেই ধরণের ঘটনা যদি বাংলাদেশের শান্তিবাদিরা বছরে ১ বার ঘটায়, পশ্চিমবঙ্গের শান্তিবাদিরা ঘটাবে বছরে কমপক্ষে ৪ বার বা তারও বেশি।

এর ইসলামিক মনস্তাত্ত্বিক কারণ হলো- বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে মুশান্তিবাদিদের দখলে এসে গেছে, এখানে শান্তিবাদিরা ১০% সংখ্যালঘুর উপর যা খুশি তা করতে পারে, ইচ্ছা করলে যেকোনো অমুসলিম মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারে, যাকে খুশি ধর্ষণ করতে পারে, যাকে খুশি খুন করতে পারে,

যার তার সম্পত্তি দখল করতে পারে, যখন খুশি মন্দির প্যাগোডা জ্বালিয়ে দিতে পারে, মূর্তি ভাঙতে পারে; অপেক্ষা শুধু মুসলমানদের ইচ্ছার; আর এইভাবে বাংলাদেশেরে হিন্দু তথা সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশের মুসলমানদের ইচ্ছা অনিচ্ছার অধীন বা শিকার।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শান্তিবাদিরা এখনও সেই পর্যায়ে যেতে পারে নি, তাদের মনে এইভাবে নানারকম ইচ্ছা তো জাগে, কিন্তু তারা বাস্তবায়ন করতে পারে না; কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সম্পূর্ণভাবে তাদের দখলে নেই।

তাই তারা ইস্যু খোঁজে এবং যখনই শান্তিবাদিদের দল বেঁধে পথে নামানোর মতো কোনো ইস্যু পায়, তখনই তাকে হাতিয়ার করে হিন্দুদেরকে দমন করার চেষ্টা করে।

বাদুড়িয়ার ঘটনার কথাটা চিন্তুা করুন, নেট ফেসবুকে হাজার হাজার মানুষ শান্তির ধর্মের দুচে (বর্ণ স্থানান্তর হবে) প্রতিদিন গর্ভবতী করে বাচ্চা বের করে ফেলছে, কোনো শান্তিবাদি কারো বাল ছিঁড়তে পারছে না;

কিন্তু যখনই তারা কাউকে রিয়াল আইডিতে ধরতে পারে, অমনি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সে বার তারা শৌভিক সরকারকে পেয়েছে, জানি না সে এটা নিজে করেছে কি না;

কারণ, ইস্যু বানিয়ে শান্তিবাদি নামক পাগলা কুকুরের দলকে রাস্তায় নামিয়ে হিন্দুদের সম্পত্তি লুঠপাট করার জন্য শান্তিবাদিরা নিজেরা শুধু কোরান বা কাবার অবমাননা ই শুধু নয়, নিজের মাকেও ধর্ষণ করে হিন্দুদের উপর দোষ দিতেও পিছপা হবে না।

এরকম ঘটনার উদাহরণ সম্প্রতি বাংলাদেশে রয়েছে; যেমন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের যে ঘটনায় শত শত হিন্দুর বাড়ি পোড়ানো হয়েছিলো এবং লুঠপাট করা হয়েছিলো,

পরে তদন্তে জানা গিয়েছিলো সেই ঘটনা ঘটিয়েছে একজন মুসলমান। আবার তার কিছু দিন পরেই কোরানের উপর পায়খানা করে আরেক মুসলমান ইস্যু বানিয়ে হিন্দুদের বাড়িঘর লুঠপাট করার চেষ্টা করেছিলো।

ওদিকে ভোলা জেলায় এবং রংপুরের টিটো রায়ের কথা তো সবার জানা। তো যারা নিজেদের ধর্মীয় গ্রন্থ ও প্রধান মসজিদকে অবমাননা করতে ছাড়ে না, তারা যে নিজের মাকে ধর্ষণ করে হিন্দুদের উপর দোষ দেবে না, তার নিশ্চয়তা কী ?

তো শান্তিবাদিদের ভূমি দখল বা দেশ দখলের থিয়োরি মোতাবেক, পশ্চিমবঙ্গের শান্তিবাদিরা এখন জনসংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে এবং মাঝে মাঝে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে,

অনেক ঘটনার মতো বাদুড়িয়ার ঘটনা যার একটি উদাহরণ, যাতে তাদের দেখে হিন্দুরা ভয় পায় এবং তাদের কর্তৃত্ব মেনে নেয়। না হলে, শৌভিক সরকার যদি এই অপরাধটা করেই থাকে,

তাকে তো পুলিশ গ্রেফতার করেই ছিলো, তারপরও তারা কিভাবে দাবী করে যে, তাকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে এবং তাকে গ্রেফতার করার পরও কেনো শুধু তার নয়, আশে পাশে হাজার হাজার বাড়ি ঘর তারা পুড়িয়ে দেয় বা পুলিশকে মারে এবং পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয় ?

এর উদ্দেশ্য কী শুধু শৌভিক সরকার বা নির্দিষ্ট কোনো একজনকে শাস্তি দেওয়া, না দেশ দখলের জন্য সমগ্র হিন্দু সমাজকে ভয় দেখানোর একটা শোডাউন ?

সমগ্র পরিস্থিতির হিসেব নিকেশ করে আমি এটা বুঝেছি যে, আগামিতে বাংলাদেশের হিন্দুরা যতটা না মার খাবে, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা মার খাবে তার চেয়ে বেশি।

কারণ, বাংলাদেশ শান্তিবাদিদের দখলে এসে গেছে, তাই এটা এখন দার-উল-ইসলাম বা ইসলামের দেশ; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এখনও দখলে আসে নি, সেই সূত্রে পশ্চিমবঙ্গ শান্তিবাদিদের কাছে

‘দার-উল-হারব’ বা যুদ্ধের দেশ। তাই যুদ্ধ করে এই দেশকে শান্তিবাদিদের দখলে আনা শান্তিবাদিদের ধর্মীয় দায়িত্ব, শান্তিবাদিরা ইস্যু পেলেই তাদের সেই ধর্মীয় দায়িত্বকে পালন করার চেষ্টা করে মাত্র।

একজন বামপন্থি যখণ হিন্দু ধর্ম অবমানা করে শিবলিং এ কণ্ডম পরায় তখন FIR করলেও পুলিশ তাকে ধরে না। অন্যদিকে শৌবিক সরকাকে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে হিন্দুদের শেষ রক্ষা হয়নি।

ভাবুন কেন এমন হয়, এটি যদি দূরুত না বুঝেতে পারেন  দেখবেন বাংলাদেশের হিন্দুদের মতন আপনার বাড়ির ভিটায় শীতকালীন মূলা চাষ শুরু হয়েগিয়েছে।

এই সব ইস্যু তৈরির জন্য শান্তিবাদিরা ইচ্ছে করে মন্দির বা হিন্দুবাড়ির সামনে গরুর হাড় বা মাথা ফেলে রাখে, যাতে হিন্দুরা ক্ষেপে যায় এবং তাদের সাতে মারামারিতে লিপ্ত হয়।

কারণ, শান্তিবাদিরা দেখেছে, হিন্দু মেয়েদেরকে তুলে নিয়ে গিয়ে রেপ করলে বা তাদেরকে খুন করলেও তো হিন্দুরা কিছু করে না, বলে না, তারা পুলিশ আসার আশায় বসে থাকে, এমনই নপুংসক হয়ে গেছে হিন্দু সমাজ।

তাই তারা অন্যরকম ইস্যু খোঁজে, যার একটা হলো যেকোনো ভাবেই হোক, হিন্দুদের মাধ্যমে বাইনচোদ মুহম্মদ বা সন্ত্রাসী ইসলামের অবমাননা, যেটা পেয়েছে এবার শৌভিক সরকারের মাধ্যমে।

বাদুড়িয়ার মতো বহু ঘটনা, গত কয়েক বছরে মুসলমানরা ঘটিয়েছে বা ঘটানোর চেষ্টা করেছে আসামে, মন্দির বা হিন্দু বাড়ির ভেতরে বা সামনে মুসলমানরা গরুর মাথা বা পা ফেলে রাখতো যখন তখন; ব্যাপারটা আর কিছুই নয় একটা ইস্যু বানানো, আর সেই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুঠপাট করার ফন্দী।

এই রকম ঘটনা গত কয়েক বছর আগেও আসামে ছিলো একটা নিয়মিত ব্যাপার, কিন্তু সেই ঘটনাগুলো বর্তমানে আর একটাও আসামে ঘটছে না, এর কারণ কী ?

কারণ আর কিছুই নয়, আসামে এখন হিন্দুত্ববাদী সরকার। তাই যতদিন পশ্চিমবঙ্গেও কোনো হিন্দুত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় না আসবে, এই ধরণের ঘটনা শান্তিবাদিরা ঘটাতেই থাকবে, আর ততদিন হিন্দুদের নিজেদের রক্ষা নিজেদরেকেই করতে হবে।

এজন্য প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে সব রকম দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র মজুদ করে রাখতে হবে এবং অবশ্যই রাখতে হবে এক বা একাধিক বড় সাইজের ত্রিশুল; কারণ, এই ত্রিশুল যখন কেউ হাতে নেয়, তখন শুধু তার শক্তিও তার মধ্যে কাজ করে না, শিবের তাণ্ডব লীলার শক্তিও তার মধ্যে সঞ্চারিত হয়।

এজন্যই সানিউর রহমান বলেছে, যতদিন শিব ঠাকুরের ত্রিশুল শিবের হাতে থাকবে অর্থাৎ হিন্দুরা সেই ত্রিশুর নিজের হাতে তুলে না নেবে, ততদিন মুহম্মদের তলোয়ার হিন্দুদের গলা কাটতেই থাকবে।

যখনই আমি হিন্দুদের আত্মরক্ষার জন্য এই সব কথা বলি, তখনই কিছু দিব্যজ্ঞানী নপুংসক হিন্দু নামধারী কুলাঙ্গার বলে, তাহলে আর হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে পার্থক্য থাকলো কী বা উল্টো আমাকেই প্রশ্ন করে, আপনি কি হিন্দুদেরকে জঙ্গী সন্ত্রাসী বানাতে চান ? বা আমাকেই জ্ঞান দেয়, হিন্দুধর্ম মানুষকে এসব করতে শেখায় না !

যারা আমাক এসব দিব্যজ্ঞান দিতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, শোন-

হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে যাতে কোনো পার্থক্য না থাকে, সেই জন্যই তো মুসলমাদের এত চেষ্টা, যাতে সকল হিন্দু মুসলমান হয়ে যায় এবং হিন্দু বলে কিছু না থাকে; বাঙ্গালি হিন্দুদের উপর মুসলমানদের অত্যচারের ইতিহাস পড়ে দেখুন, আমি কী বলছি বুঝতে পারবেন।

আর যেখানে মুসলমানদের মূল থিয়োরিই হচ্ছে জিহাদের নামে অমুসলিমদের উপর সন্ত্রাস, যেখানে মুহম্মদ তাদেরকে বলে গেছে যে, তরবারির ছায়ার নিচেই জান্নাত, সেই মুসলমানের সামনে তুমি কী নিয়ে দাঁড়াবে ?

তারা যখন তরবারি নিয়ে তোমাকে কাটতে আসবে, তখন কি তুমি চৈতন্যদেব এর মতো বলবি,

“মেরেছিস কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেবো না ?”

জগাই মাধাই তো নিমাইকে কলসির কানা মেরেছিলো, তাই সে বেঁচে ছিলো এবং প্রেম দেওয়ার কথা বলতে পেরেছিলো।

কিন্তু মুসলমানরা কলসির কানা মারে না, ওরা একবারে তরবারি নিয়ে গলায় কোপ দেয় বা গুলি বোমা মারে, যাতে বাঁচার সম্ভাবনা ০%; আগে তো বাঁচ, পরে অন্য কথা ভাবিস।

গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছে-তোমাকে যখন কেউ নংড়া নিয়ে ধায়া করবে তুমি যদি নিজের সাদা পোশকটি রক্ষার জন্য পালাতে থাক তবে শেষ রক্ষা হবে না।

সে তোমাকে তাড়া করতেই থাকবে। বরং তোমাকে নংড়ার সাথে নংড়াতে নেমে যুদ্ধ করতে হবে অন্যথ্যাই তুমি পালাতেই থাকবে কিন্ত শেষ রক্ষা হবে না।

তাই আমার মত হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হলে সন্ত্রাস করতেই হবে এবং যতদিন হিন্দুরা সেই সন্ত্রাস না করবে, ততদিন মুসলমানদের হাতে হিন্দুরা মরতেই থাকবে।

আমি মরাই বিশ্বাসী নই, বেঁচে থাকায় বিশ্বাসী।কারণ, মরে গেলেই সব শেষ। তাই আমি চাই সব সময় হিন্দুরা মুসলমানদের আক্রমনকে ঠেকাতে অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকুক এবং তাদের সকল প্রকার সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করুক।

আরো পড়ুন…..