বাঙালীর পুনরুত্থান এক বড়ো প্রশ্ন, তার উত্তর একমাত্র ভবিষ্যত র গর্ভেই নিহিত।

প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আচার্য যদুনাথ সরকার ১৯৪৮ সালে, যখন শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে অকথ্য অত্যাচার হেতু পূর্ব পাকিস্তান থেকে হিন্দু সম্প্রদায় পশ্চিমবঙ্গ র দিকে ধাবমান (তখনো বরিশাল গণহত্যা – ১৯৫০ অনুষ্ঠিত হয়নি), লিখেছিলেন, ” পূর্ববঙ্গ হইতেছে এয়াহুদি বিবর্জিত ফিলিস্তিনের তুলনা। আর আমরা পশ্চিমবঙ্গকে এয়াহুদি শাসনাধীন ফিলিস্তিনের মতন করিয়া গড়িয়া তুলিতে বাধ্য—ইহা হইবে তমিস্রার মধ্যে আলোকবর্তিকাস্বরূপ, মধ্যযুগীয় অজ্ঞানভাব আর অচলিত ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের অন্ধসংস্কারে ডোবা মরুভূমির মধ্যে একখণ্ড মরুদ্যান বিশেষ।”…….আজ বাংলা ভাগ র ৭০ বছর পরে তাঁর অমোঘ উক্তির যথার্থতা উপলব্ধি করা যায় প্রতিপদে। সেই সময় র পশ্চিমবঙ্গ ও বাঙালীরা প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ইজরায়েল ও ইহুদীদের র সঙ্গে তুলনীয়………কিন্তু যথোপযুক্ত নেতৃত্ব ও তার কাঠিন্যের অভাবে তা বর্তমানে হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রত্যেক অর্থে এক বদ্ধ পুষ্করিণী। ইহুদীদের ন্যায় এক প্রবল, প্রতাপান্বিত জাতি হিসেবে সে গড়ে উঠতে পারেনি। সব পেয়েছির দেশ থেকে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস র এক সার্থক লীলাভূমি। হিন্দু বাঙালীর পুনরুত্থান এক বড়ো প্রশ্ন, তার উত্তর একমাত্র ভবিষ্যত র গর্ভেই নিহিত। কিন্তু সেই প্রশ্নের যদি কাম্য উত্তর পেতে হয়, তাহলে এক অকল্পনীয় সাধনা য় মগ্ন হতে হবে আজকে। যার সাফল্য নির্ভর করবে সাধক র অনমনীয় দৃঢ়তা, বাস্তববোধ, প্রত্যুত্পন্নমতিত্ব ও লক্ষ্যে পৌঁছনোর সার্বিক, নিরলস প্রচেষ্টা র ওপর। ইতিহাস সাক্ষী, এই সম্প্রদায় র ওপর অকথ্য অত্যাচার র আর তার বিরুদ্ধে যুগে যুগে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ স্বরূপ বিস্ফোরণ র। তাই বাঙালীর জীবনীশক্তি এখনো ফুরিয়ে যায়নি। ভয়ঙ্করতম সাধনাই একমাত্র তাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে। “পুরুষসিংহমুপৈতিলক্ষী……..মন্ত্রম বা সাধয়েয়ম, শরীরং বা পাতয়েয়ম”……………….